সামু যদি ক্লাসরুম হতো তবে ক্লাসরুমের চিত্রটা দেখে নিই
জানা ম্যাডাম ক্লাস নিচ্ছেন। কাল্পনিক_ভালোবাসা নামক ছাত্রটিকে কানে ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তার অপরাধ আজও সে নিজের জায়গায় ফেলে মেয়েদের পাশে বসেছে। কবে যে ছেলেটা ঠিক হবে।
তৃতীয় বেঞ্চের কোনায় চোখে কান্না নিয়ে হাসান মাহবুব তার লাষ্ট হোমওয়ার্ক লিখছেন। কথা বলে জানা গেল এটা তাকে মোট একশোবার লিখতে হবে। তিনি মনে করেন এমন শাস্তি থেকে মরে যাওয়া ভাল। তার অপরাধ আজও তার হোমওয়ার্ক জানা ম্যাডাম একটুও বুঝেনি!
দরজার বাইরে কাঁদো কাঁদো চোখে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে একজন আরমান । তার অপরাধ অতি ছোট। সে দাবি করেছে ক্লাসে যাতে কোন ছেলে না থাকে। সব মেয়ে আর সে একা!
এরমধ্যে হুট করে অপরিচিত এক ছাত্র প্রবেশ করল। তার নাম ধাম খাতায় পাওয়া যাচ্ছে না। রোল নম্বরও মিলছে না ঠিক মত। জানা আপা গেলেন রেগে। অপরিচত ছাত্রটিক টানা মিনিট দশেক বেত্রাঘাত করা হল। ছাত্রটি চলে যাবার পর ক্লাসের এক কোণায় ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না জুড়ে দিলেন অন্য এক ছাত্র। ঘটনা কি জানতে চাওয় হলে তিনি বলেন " ব্রো ওটা আমার মাল্টি নিক ছিল, আমি বেঈমান আমি "
তন্ময় ফেরদৌস কে দেখা গেল মন খারাপ করে ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। জানা গেলে জানা ম্যাডাম তাকে বের করে দিয়েছে। কিন্তু কেন? কারণ তাকে পীথাগোরাসের সূত্র বলতে বলার পর সে বলেছে "বিজ্ঞাপনী মিডিয়াতে পীথাগোরাসের সূত্রের কোন ভিত্তি নাই। আপনাকে বুঝতে হবে মার্কেটিং বিষয়টা কি? ধরুন ম্যাডাম আপনি জুতার বিজ্ঞাপন করবেন? তখন আপনাকে ভাবতে হবে আপনার জুতার গ্রাহক কারা?
ক্লাসের বাইরে হাতে হাজিরা খাতা নিয়ে রেগে আছেন আরজুপনি । কারণ সে দাবি করছে ক্লাসটা তার নেবার কথা ছিল। তার নেট ছিল না এই সুযোগে জানা ম্যাডাম লগইন করে ক্লাসে ঢুকে গেছেন।
কলেজের বাইরে দেখা গেল আসিফ মহিউদ্দিনকে । তিনি গুটি কয়েক মানুষকে সামনে রেখে ব্ক্তব্য দিচ্ছেন। তাকে ক্লাস থেকে নয় কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বের করে দেয়া হয়েছে। কারণ জানা ম্যাডাম উনাকে পড়া বলতে বললে উনি বলেন "আমি,আমি ...আমি.............আমিই ...........আমিই........ঈশ্বর" পুরোটুকু শোনার আগেই ম্যাডাম বের করে দেন উনাকে। উনি কি বলতে চেয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে উনি বলেন "আমি,আমি ...আমি.............আমিই ...........আমি...বলতে চেয়েছিলাম আমি,আমি ...আমি.............আমিই ...........আমিই...ঈশ্বর.......বিশ্বাস করি না"
নাজিম-উদ-দৌলা পাওয়া গেল নীল ডাউন অবস্থায়। ঘটনা তেমন কিছুই না। জানা ম্যাডাম ক্লাস ওয়ার্ক লিখতে বলেছিলেন। তিনি বলেছেন আমার সময় লাগবে, পড়াশোনা করতে হবে, উইকি ঘাঁটতে হবে,গুগল করতে হবে। এমনি এমনি ক্লাসওয়ার্ক লিখে ফেললেইতো হল না!
সেলিম আনোয়ার এর কঠিন শাস্তি হয়েছে, বিশবার কান ধরে উঠবস। হোমওয়ার্ক জানা ম্যাডামের কাছে না দিয়ে উনি সব ছাত্রছাত্রীর ইনবক্সে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রীদের লিংকের পাশাপাশি লাভ ইমোও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সবাই যখন শাস্তি ভোগ করছে তখন ক্লাসের প্রথম টেবিলে বেশ আনন্দের সাথে হাসছিলেন মামুন রশিদ । জানা ম্যাডাম তার উপরে ভীষন খুশী। ছাত্র-ছাত্রীদের গত একমাসের হোমওয়ার্ক সে একসাথে জোগাড় করে ম্যাডামের কাছে পৌছে দিয়েছে।
এবার একটি প্রশ্ন। বলুনতো জানা ম্যাডাম কেন ছাত্রী না হয়ে টিচার?
-কারণ উনার অনেক জানা!
পোষ্ট আইডিয়া হামা ভাইয়ের সামু যদি স্কুল হতো পোষ্ট থেকে ধার করা।