নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১৮)
ছেলেমেয়েদের সবসময় চোখে চোখে রাখতে হচ্ছিল,নাড়াচাড়া করে কোন কাঁচের জিনিষপত্র ভেঙ্গে না ফেলে,তখন খেসারত দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।অবশ্য ঘোরাফেরা করে তাদের অন্ততঃজানার সূযোগ হচ্ছে,ভিডিও খেলার বাইরেও আরেকটা...
(১৭)
ছোট্ট একটা ঘর,সাজানো অফিসঘর হিসাবে-ঘটা করে বসলাম আমরা।দেয়ালে ঝুলানো ইন্ডিয়া থেকে আনা একটা ছক,রাশি চক্র।একটা বৃত্ত মাঝখানে সৌরমন্ডলের সব শক্তি আর রহস্যের উৎস,চারপাশে অন্যান্য চিহ্ন দিয়ে সাজানো রাশিচক্র।টেবিলে সাজানো...
(১৬)
সময় খুব একটা বদলায়নি,জেকবের কথা ভেবে ষোল বছরের যে মেয়েটা,দিনে বেশ কবার হস্তমৈথুনে ব্যাস্ত থাকতো,সেই মেয়েটাই জেকবের মাথাটা বুকে জড়িয়ে বলছিল, ‘দুধের বোঁটার কামড়ে তছনছ করে দাও,ইচ্ছামত।
আমার শরীরে কিছুই ছিল...
ইন্দ্রাণী তুমি যতই যাই বল,
ভালবাসা সে তো শরীর খেলার ডাক,
স্তনের স্বাধীনতার গল্প,
চুমুর স্বাদে আকাশ ছোঁয়ার গান,
সৃষ্টির আনন্দের জঙ্খা,
আর যা কিছু-সেটা ক্যানভাসে এলোমেলো আঁচড়।
‘হয়তো,
জানি ক্যানভাসে আসে শরীর কথা,
আছে স্তন,নিতম্বের মাংসের ডাক,
তবু-তুমিই...
রোঁদে ভঁরা-তবুও বর্ষার দুপুর,
পাশাপাশি দুজন,
আলতো হাতটা,কখনও ঠোঁটে,কখনও গালে,
কথা দুটো মাঝে ফাঁকে।
বাতাস ছোঁয়া হাল্কা চুমু দিলে তুমি,
বললে না কিছুই-ভেজা চোখে ডাকলে নেশায়,
আমিই অচেনা আমার কাছে,
অজানা,হারানো এ কোন পৃথিবী।
‘ভালবাসি,ভালবাসি আমার ইন্দ্রাণীকে’,
দেবী ভালবাসার,
শরীর...
(১৫)
শীতের হাল্কা একটু আঁচড়,তবু খুব একটা অসুবিধা হচ্ছিল না,বললাম দিনটা ছোট হয়ে আসছে,এর পরে দেখা করলে যেন বেলা পড়ে যাওয়ার আগে দেখা করি,তাতে সব কিছু মানিয়ে নেয়ার একটা সূযোগ থাকবে।মাথা...
(১৪)
কি ভাবতো মানুষটা,কি ঝড় বয়ে যাচ্ছিল জন ক্যালভিনের মনে?ভেবে কোন কুলকিনারা পাই নি।রাতে কি ঘুম হতো লোকটার নাকি জেগে জেগে অযথার ফানুস তৈরী করতো?তার কথায় হত্যা করা হচ্ছে হাজার হাজার...
(১৩)
পেছনের লম্বা রাস্তা দিয়ে গাড়ীতে গেলাম,ফেলে আসা মানসিক হাসপাতালটা তখনও দেখা যাচ্ছিল,হয়তো আমার ওখানেই যাওয়া উচিত ছিল।ছেলেমেয়েরা ঘুমোতে যাওয়ার পর,স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলাম,আমরা সবাই কি এ ধরণের মানুষ?
‘কি ধরণের,কি বলতে চাচ্ছ,ঠিক...
(১২)
কেনা ড্রাগগুলো দেখে নিলাম,একটা নকল ই-মেইল একাউন্টও করলাম।plan হলো কোন ঝামেলা ছাড়া ড্রাগগুলো ভার্সিটিতে মারিয়ানের ডেক্সে কি ভাবে রেখে আসা যায়।অবশ্য আমাকে খেয়াল রাখতে হবে ড্রয়ারটার কথা,যেটা মারিয়ান খুব বেশী...
(১১)
(বেশী কিছু না বলে হাঁটা দিল লোকটা,কাকুতি মিনতি করে লাভ হলো এটুকুই-দামটা দ্বিগুন হয়ে গেল।)
যার কথা বলছি,যে আমার প্রেমের পথের কাঁটা প্রতিবন্ধক,তার জন্যেই তো আমার ভালবাসার সম্পর্কে বিরাট ফাটল,একটা ফাঁদ...
(১০)
সোমালিয়ার বুভুক্ষদের জন্যে,ত্যাগের নামে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা চাদা তুলি,দয়া করে দুটো টাকা দেই ভিখারীকে,তবে আমাদের মনে সত্যিই যদি সহানুভুতি থাকতো,ভালবাসার একটুকু রেশও যদি থাকতো,আমরা ওখানেই ক্ষান্ত হতাম না।
সেইন্ট পলের ভাষায়...
(৯)
জেকবের সাথে দেখা হওয়ার দিন আসছেঃআগামীকাল বিকেল তিনটায় জেনেভা কলোনীর গলফ ক্লাবে।শহরের একটা রেস্তোরা হলে ভাল হতো,তবে গলফ ক্লাবটাই জেকবের পচ্ছন্দ।
বিকেলের ঐ সময় চারপাশটা বেশ ফাঁকা থাকে,আর গোপনীয়তা বলতে যা...
(৮)
আমি বেশ ক্লান্ত,হাতদুটো আমার হাঁটুতে,শ্বাসপ্রশ্বাসের সুরটাও বেড়ে গেছে অনেক,না ঘুমানোর ক্লান্তি সারা শরীরে।আমার স্বামী তবুও বলে যাচ্ছে, “থামবে না,চেষ্টা করো অন্ততঃ আমার জন্যে,চেষ্টা করো অন্ততঃ তোমার ছেলেমেয়েদের জন্যে।তুমি শুধু দৌড়াচ্ছো...
(৭)
খাবার একটুকুও ছুঁয়ে দেখেনি আমার স্বামী,অজানা একজন কেউ পাশে বসেছিল যেন,
মনের কথাগুলো বলে অবশ্য বিরাট একটা বোঝা নেমে গেছে।রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে,মদের আমেজে তখন আমি নতুন কেউ,একা নই আমি,জেকব কোনিগ...
(৬)
বেশ উদ্দীপ্ত ছিল মনটা আজকে,ভাবছিলাম জীবনের সেই সময়ের কথা,যা সবাই একসময় পার হয় স্বপ্ন খোঁজার আশায়।স্কুলের শেষ দিনটা-চারপাশে অনুষ্ঠানের হৈহুল্লোড়,কথায় কথায় অযথাই হাসছিল সবাই,তবে চলে যাওয়ার,সময় কারও চোখ শুকনো ছিল...
©somewhere in net ltd.