নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paulo Coelho এর adultery (পরকীয়া)

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:২২

(১০)
সোমালিয়ার বুভুক্ষদের জন্যে,ত্যাগের নামে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা চাদা তুলি,দয়া করে দুটো টাকা দেই ভিখারীকে,তবে আমাদের মনে সত্যিই যদি সহানুভুতি থাকতো,ভালবাসার একটুকু রেশও যদি থাকতো,আমরা ওখানেই ক্ষান্ত হতাম না।

সেইন্ট পলের ভাষায় ভালবাসা আর-উৎসর্গ,বিসজর্নের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।পলের কথাগুলো এখন আমার আর বুঝতে খুব একটা কষ্ট হচ্ছে না,সার্থকতাই জীবনের সবকিছু না,মাদাম কোনিগের মত একেবারে উঁচু সিড়িতে বসে থাকলেও,যখন ভালবাসার অভাব,কিছুই নেই সেখানে।

শিল্পী বা রাজনীতিবিদ,ডাক্তার,সমাজসেবী,ছাত্রদের সাক্ষাতকারে আমি একটা প্রশ্ন করি, “তোমার জীবনের উদ্দেশ্য কি,কি করতে চাও তুমি”?কেউ বলেঃ সংসার যুদ্ধে নেমে পড়বো।কেউ বলেঃনিজের জীবনে সফলতা নিয়ে আসে।তবে পরে সবাই শুধরে নিয়ে বলেঃপৃথিবীতে একটা সুস্থ পরিবেশ নিয়ে আসা,যেখানে সবাই থাকবে,সুখে শান্তিতে।

আমার ইচ্ছা করছে জেনেভার মন্ট ব্ল্যাঙ্ক ব্রিজে দাড়িয়ে সবাইকে লিফলেট বিলাতে,
যেখানে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবেঃ

যারা ভাবছে সভ্যতার জন্যে,
ভাবছে মানুষের উপকারের কথা,
নিজের শরীর বিলিয়ে দিলেও হয় না দেয়া কিছুই,
যদি ভালবাসা না থাকে সেখানে।

জীবনে ভালবাসা চেয়ে আর বড় কিছু দেয়ার নেই,ভালবাসা একটা ভাষা,যা বুঝতে চীনা,ভারতীয় কারও কষ্ট হয় না।ছাত্রাবস্থায় বেশ কিছু দেশে ঘোরাফেরা করার সূযোগ হয় আমার-ধনী,গরীব দু ধরণেরই দেশ।অনেক জায়গার ভাষা জানা ছিল না,তবু ভালবাসার নিস্তব্ধতায় যোগাযোগে কোন অসুবিধা হয়নি।ভালবাসার সুরেই বেঁচে থাকা,অযথার কথায়,ভাষায় না।

করিনিথিয়ানদের কাছে সেইন্ট পলের লেখা ছোট্ট তিন লাইনের চিঠিতে ছিল,
ভালবাসায় আছে আলো,যা অনেকটা প্রিজম দিয়ে ছুটে যাওয়া রং এর ছটায় আমাদের জীবনকে রঙ্গীন করে দেয়।

ভালবাস শেখায় আমাদেরঃ
সহিষ্ণুতা,দয়া,মহত্ব,নম্রতা,ভদ্রতা,নিঃশ্বার্থ ভাব

ভালবাসা বদলে দেয় আমাদের চলার ধরণ,মানুষ এগুলো যোগ করে ঈশ্বর ভালবাসার সুরে,কিন্ত মানুষের ভালবাসার সাথে ঈশ্বরের ভালবাসার যোগসাজসটা কোথায়?আকাশে শান্তি খোঁজার আগে আমাদের খোঁজা দরকার ভালবাসা এই পৃথিবীতে,ভালবাসা ছাড়া জীবনে সব কিছুই অর্থহীন।

আমার ভালবাসার মনটা আমারই,কেউ কেড়ে নিতে পারবে না সেটা।আমি ভালবাসি সুখ দুঃখের সাথী,আমার স্বামীকে।ভালবাসি কৈশোরের সেই মুখটা যে এখনও নাড়া দেয় আমার মনটাকে।শরতের বিকেলে আমার সব নিয়ে হেঁটে গেলাম তার কাছে,ফিরে এলাম শূন্যহাতে,
তবুও দুঃখ নাই আমার মনে।

সকালের আলোতে কফির কাপে চুমুক দিয়ে ভাবছিলাম,আমার ব্যার্থতার কথা।আমি কল্পনার রাজ্য থেকে ফিরে যাচ্ছি হতাশার দ্বীপে।গত ক মাসের হতাশ ভাবটা ছুটে আসছে আবার আমার কল্পনায়?

এতই কি নিষ্ঠুর আকাশের ঐ মহাশক্তি,আমাকে এমন একটা প্রেমের গোলক ধাঁধাঁয় ঠেলে দিল,যেখানে উদ্ধারের কোন আশা নাই আর।ভালবাসার মানুষটার জন্যে যুদ্ধ করতে হয় অনেক সময়,আমিও তাই করবো।ভালবাসার স্বার্থে,রাগ,হতাশাকে জয় করে ফেলতে হবে অশুভ যা আছে সব।মারিয়ান ছাড়া নতুন জেকব সারা জীবন ধন্যবাদ জানাবে আমাকে,যন্ত্রনার জীবন থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্যে।একসময় হয়তো ছেড়ে যাবে আমাকে জেকব,আর দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে নিজের সাথে যুদ্ধ করে যাব,তবু আমার স্বপ্নের মানুষটাকে অত্যাচারের দেশ থেকে বের করে আনছি,ওটা এমন কম কি।

আমি এখন নতুন আরেক নারী,ছুটে যাচ্ছি এমন একজনের কাছে,যে নিজের ইচ্ছায় আসবে না আমার কাছে।বিবাহিত মানুষ জেকব-তার বিশ্বাস,হিসেবের বাইরে কিছু হলেই শেষ হবে তার রাজনীতির জীবনটা।কি করবো আমি?জানি না,গোপনে তার বিয়েটা ভাঙ্গার চেষ্টা করবো নাকি?

নেশা বিক্রি করে যারা,ঐ সব লোকজনদের খুঁজে বের করতে হবে।আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে একপাশে রেখে,আছে একঘরে।জেনেভায় গাড়ী পার্ক করার জায়গা থাকে নামকোন রাস্তায়।এটাই যেন বলা বাইরের পৃথিবীকেঃজায়গা নেই,ফিরে যাও!আল্পস এর তুষারের সৌর্ন্দয্য,আঙ্গুর বাগানের সোনালী আলো ওগুলো আমাদের পুর্বপুরুষের ঐতিহ্য-আমরা নষ্ট করতে চাই না বাইরের কারও সাথে ভাগাভাগি করে।এমন কি তোমার জন্ম যদি ওপাশের শহরটাতে হয়,তবুও এসো না এখানে।গাড়ী নিয়ে অন্য বড় কোন শহরে যাও,তবে আমাদের এখানে না।

পৃথিবী ছাড়া আমরা আছি আরেক পৃথিবীতে,আমাদের এখনও ভয় আছে আনবিক যুদ্ধ নিয়ে,
তাই আইনগত ভাবে সুইজারল্যান্ডের সব দালানকোঠায় একটা গুপ্ত আশ্রয় থাকতেই হবে।মাঝে এক সংসদ সদস্য বেশ চেষ্টা করলো এই আইনটাকে বাতিল করার জন্যে,তবে সম্পুর্নভাবে বাতিল হলো তার প্রস্তাব।এটাও ঠিক আনবিক যুদ্ধের ভঁয় না থাকলেও,রাসায়নিক যুদ্ধ হলে কি হবে?আমাদের লোকজনদের বাঁচাতে হবে,তাই এখনও তৈরী হচ্ছে খরচবহুল সব গুপ্ত আশ্রয়,আর বেশীর ভাগই ব্যাবহার করা হয় মদ রাখার জন্যে।আমরা নিজেদের মনে করি শান্তিপ্রিয় একটা দেশ,তবে আমাদের বাঁধা নেই সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে অশান্তির সুর ছড়াতে।নেশার কথাই ধরা যাক না,সরকারের যত ধরনের সম্ভব আইন কানুন আছে যারা বিক্রি করে তাদের জন্যে,তবে যারা কেনে তাদের ব্যাপারে অনেকটা উপেক্ষা যেন সবার।স্বর্গে হয়তো বাস করি আমরা,কিন্ত আমাদের কি হতাশা নেই যানজট নিয়ে,দায়িত্ববোধ,আর একাকীত্বের বিষন্নতায়।নেশা মানুষকে হয়তো যন্ত্রনা থেকে অব্যাহতি দেয়!পৃথিবীর কাছে কোন খারাপ উদহারণ তুলে না ধরে,আমরা অনেক কিছু নিষিব্ধ করি,আবার সহ্যও করে নেই অনেক কিছু।

যখনই কোন বিখ্যাত,নামকরা লোক ধরা পড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ে,উদহারণ হিসাবে জনসাধারণের কাছে আইনের কঠোর বিচার হয় তার।বছরে কমপক্ষে একজন কেউ এই উদহারণের চেহারা হয়ে দাঁড়ায়।কিন্ত এটা এমন না যে শুধু বছরে একবারই মানুষজন যায় মন্টে ব্ল্যাঙ্কের ব্রিজে নেশা কিনতে।ও রকম হলে ঐ সব লোকজনের ব্যাবসায় করার কোন কারণই থাকতো না।

ব্রিজের নীচের রাস্তায় বেশ কিছু লোকজন আসা যাওয়া করছে,আর সন্দেহজনক কয়েকজন এমনই দাঁড়িয়ে আছে,বিরক্ত করছে না কাউকে,মাঝে মাঝে সুটকোট করা পরা লোকজনের সাথে চোখাচোখি করে হেঁটে যাচ্ছে একসাথে।ব্রিজের নীচের রাস্তাটা পার হয়ে ওপারের দাএক মহিলার সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলাম,উত্তর না দিয়ে চলে গেল মহিলা।ফিরে গেলাম,
আবার ব্রিজে লোকগুলো সবাই সেখানেই ছিল,চোখাচোখিও হলো কজনের সাথে।দুপুরের খাবারের সময় লোকজনের থাকার কথা রেস্তোরায় বা এলাকার অন্যধারে।

হেটে যাচ্ছিলাম,একজন মাথা নেড়ে আমাকে তার সাথে যেতে বললো।কল্পনার বাইরে,কিন্ত আমার ব্যাবহারও খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না,হেঁটে গেলাম লোকটার পেছন পেছন।

জারডিন আংগালিসের ছবির দোকান,ফুলের ঘড়ি ছেড়ে,লেকের ধারের ছোট্ট রেলগাড়ীর ষ্টেশনের পর ‘জেট ডে এয়াউ’-শ খানেক ফুট আকাশ ছোঁয়া ফোয়ারার ধারে,।লোকটা অপেক্ষা করছিল,আমি কিছু একটা বলবো,ভঁয়ে কিছু না বলে আমি চুপ করেই ছিলাম।

“কি নিবে,গাজা,এসিড,কোকেন না অন্যকিছু”?


আমি তো একেবারে হতবুদ্ধি,কি উত্তর দেয়া উচিত জানা ছিল না,লোকটা যেন না ভাবে আমি অনভিজ্ঞ কেউ।আমার পরীক্ষা হয়ে গেছে তাদের,পাস করিনি।লোকটা হেসে উঠলো-জিজ্ঞাসা করলাম,সে কি ভাবছে আমি কি পুলিশ।

“অবশ্যই না,পুলিশ হলে তাদের চিনতে কষ্ট হতো না”।

বললাম,এটা আমার প্রথম চেষ্টা।

“সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে,এ রকমত পোষাক করে কেউ নেশার জিনিষ কিনতে আসে না।বাড়ীর বা কাজের পরিচিত কমবয়সী কারও কাছ থেকে একটু চেয়ে নিলেই পারতে,এ জন্যেই তোমাকে লেকের এ ধারটাতে আনলাম।না হলে,হাঁটতে হাঁটতে ব্যাবসার কাজ সেরে নিতাম।কেন তুমি নেশার দিকে ছুটছো,তোমাকে কি কোন পরামর্শ দিতে পারি”।

আসলে সময় নষ্ট করছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একঘেয়েমিতে ভুগছিল,হয়তো,কেন না একজন খদ্দেরও দেখিনি তার সাথে।

“ঠিক আছে আমি আবার জিজ্ঞাসা করছি,কি লাগবে amphetamine,lsd,hashish না cocoaine”?

আমি জিজ্ঞাসা করলাম,হিরোইন জাতীয় কিছু আছে নাকি।সে উত্তর দিল ঐ ড্রাগগুলো সম্পুর্ন নিষিব্ধ।আমার বলার ইচ্ছা ছিল যে ড্রাগ বলতে যা আছে,সবই নিষিব্ধ,তবে বলা হয়নি।শেষে বোঝানোর চেষ্টা করলাম,ও গুলো আমার এক শত্রুর জন্যে,প্রতিশোধ নিতে চাই।

“প্রতিশোধ?কাউকে overdose দিয়ে মারতে চাচ্ছ?দয়া করে তুমি অন্য কাউকে খুজে বের কর”।
০০০০০০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিকে কারো মন্তব্য নেই কেন?

২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৬

ইল্লু বলেছেন: হয়তো কথাগুলো ঠিকমত সাজানো হ্য়নি,ওটা আমারই অক্ষমতা।ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.