নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন পড়বেন, ফিকাহ জানবেন ও মানবেন

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০০



সূরাঃ ৯৬ আলাক, ১ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। পাঠ কর, তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
২।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে
৩। পাঠ কর, তোমার রব মহামহিমাম্বিত
৪। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* সুতরাং কোরআন পড়বেন। ফিকাহ জানবেন ও মানবেন। আর এটাও জানবেন যে, আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তিনি আর সব হাদিস বাতিল করেছেন। ফিকাহ কোথায় পাবেন?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

* ফিকাহ ছিলো রাসূলে (সা.), সাহাবায় (রা.), ওলামা সমর্থিত আমিরে এবং আমির নিযুক্ত ওলামায়।তাবেঈগণ ছিলেন ফিকাহ প্রচারক। মোনাফেক ফিকাহ প্রাপ্ত ছিলো না।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

* ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মোনাফেক হাদিস বানিয়ে প্রচার করে। কিন্তু মোনাফেক ফিকাহ প্রাপ্ত ছিলো না। সেজন্য আল্লাহ মোনাফেকের বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষায় ফিকাহ জানা ও মানার আদেশ প্রদান করেছেন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

* আমিরগণ ফিকাহ সংকলন না করায়, মোনাফেক তার বানানো হাদিস দিয়ে ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট পাঠিয়ে দেয়। সেজন্য ষষ্ঠ আমির ইমাম হোসেন (রা.) খেলাফতের দায়িত্বগ্রহণে সক্ষম হননি। তিনি তাঁর প্রতিপক্ষ দলে কোন ঈমানদার পাননি। তারা কারবালায় তাঁর মাথা কেটে অভিশপ্ত ইয়াজিদের দরবারে উপহার হিসাবে পাঠিয়ে দেয়। তারপর ইয়াজিদ, মারওয়ান ও বনু মারওয়ান এবং মোনাফেকেরা ইসলাম বিনষ্ট করে। তারপর পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) চার হাজার তাবেঈ থেকে ফিকাহ সংগ্রহ করে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান ফিরিয়ে আনেন ও ইসলাম মেরামত করেন। তারপর আমির হারুনুর রশিদ ওলামা পরিষদের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফার (র.) সংগৃহিত ফিকাহ পরিশোধন করে হানাফী মাযহাব নামে অনুমোদন করেন। তারপর মোনাফেকেরা হানাফী মাযহাবের বিরোধীতায় লিপ্ত হয়।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত হানাফী মাযহাব অভিন্ন পথ দেখায়। হানাফী মাযহাবের সাথে মতভেদকারী মোনাফেকরা বিভিন্ন পথ দেখায়। তারা মুমিনদের পথছেড়ে অন্য পথে চলে যায়। আল্লাহ তাদেরকে এবং তাদের অনুসারীদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। তারা দায়েমী জাহান্নামী হবে। কারণ তারা যা দিয়ে হানাফী মাযহাবের সাথে মতভেদে লিপ্ত হয় তা’ আমির নিয়োজীত ওলামা পরিষদে পরিশোধীত ছিল না এবং তা আমির অনুমোদীত ছিল না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৬

আহরণ বলেছেন: আচ্ছা জাগতিক ভাইয়া : আপনার আল্যা অমুসলিমদের এত বকাঝকা করেন ক্যান!! উনি কি ভদ্র ভাষায় কথা বলতে শিখেন নি??


১। সূরা ২৫:২৪

"তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শোনে অথবা বুঝে? তারা কেবল পশুদের মতো; বরং তারা আরো অধিক পথভ্রষ্ট।"
Bengali- Mujibur Rahman


২। সূরা ৬২:৫

"যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছিল তারপর তারা তা বহন করেনি, তারা গাধার মত!" Bengali- Mujibur Rahman

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ যদি ঘরে আগুন দিয়ে এর বাসিন্দাদেরকে পুড়িয়ে মারে আপনি তাকে কি বলবেন? আল্লাহ কোন প্রেক্ষাপটে কি বলেছেন সেই প্রেক্ষাপট সহ আয়াত উপস্থাপন না করলে বুঝা যাবে না আল্লাহ কেন কি বলেছেন?

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

নজসু বলেছেন:






ভ্রাতা আহরণ, আপনি কখনও বিপথে গেলে কিংবা অন্যায় করলে আপনার অভিভাবক কখনও আপনাকে বকাঝকা করেন নি? মা বাব কি কখনও রাগ হয়ে শাসন করেন নি? আপনার ক্ষেত্রে না হলেও অন্য অভিভাবকরা কিন্তু তার সন্তানের সুপথে ফেরানোর জন্য তাদেরকে আদর করে, বকাঝকা করে, কিংবা লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। আমাদের আল্লাহও ঠিক আপনাদের মতো কিছু অবিশ্বাসী লোকদের আদর করে, বকাঝকা করে কিংবা লোভ দেখিয়ে সঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করেন।

আপনি অবশ্য আল্লাহর বকাঝকাটাই দেখেছেন। আপনাদের চোখে শুধু বাঁকাটাই আটকাবে। ভালো কিছু কুরআনের আয়াত হয়তো চোখ এড়িয়ে যাবে।

‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫৩)

জুনদুব (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে—‘এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহর কসম! অমুককে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বললেন, কে আমার নামে শপথ করে বলে যে, আমি অমুককে ক্ষমা করব না? বরং আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (সহিহ মুসলিম: ৬৫৭৫-১৩৭/২৬২১)

কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে তিনবার জান্নাতের দোয়া করে, জান্নাত তখন বলে, ’হে আল্লাহ একে জান্নাতে দাখিল করে দাও।’ আর কোনো ব্যক্তি যদি জাহান্নাম থেকে তিনবার পানাহ চায়, তখন জাহান্নাম বলে, ’হে আল্লাহ একে জাহান্নাম থেকে পানাহ দিয়ে দাও।’ (জামে' তিরমিজি: ২৫৭২)

প্রিয় অহরহ ভাই, অনুগ্রহ করে শুধুমাত্র বকাঝকার আয়াতের দিকে নজর না দিয়ে আল্লাহর রহমতমূলক আয়াতগুলোর দিকেও নজর রাখুন।
ভালো থাকবেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহকে সঠিকভাবে বুঝা সৌভাগ্যের বিষয়। যাদের সেটা নাই তারা আল্লাহকে সঠিকভাবে বুঝবে না।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মরুভূমির ডাকাত সাহেব পৃথিবীর সব চেয়ে নিম্নমানের একটি বই রচনা করেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁকে বুঝার মত আপনার তেমন উঁচুমানের বিবেচনা নাই।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মাইয়াদের ফুটবল খেলা নিয়া এতো মাতামাতি কা?

ফুটবল খেলা হারাম জানেন না?
তাই বৈলা হাফ পেন্ট পৈড়া নেপালে যাইয়া ফুটবল খেলবো?
ইহা নবীজি খেলিয়াছেন?
মুসলিমদের মাতা আয়েশা খেলেছেন?
বঙ্গ ললনারা কেন খেলিবেক?

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা ইহকাল কামনা করে এর জন্য তারা কি করে সেটা দেখার দায়িত্ত অন্য কারো নয়। রাষ্ট্রীয় আইনের ভিতর কে কি করে সেটা দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.