নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paulo Coelho এর adultery (পরকীয়া)

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩১

(১২)

কেনা ড্রাগগুলো দেখে নিলাম,একটা নকল ই-মেইল একাউন্টও করলাম।plan হলো কোন ঝামেলা ছাড়া ড্রাগগুলো ভার্সিটিতে মারিয়ানের ডেক্সে কি ভাবে রেখে আসা যায়।অবশ্য আমাকে খেয়াল রাখতে হবে ড্রয়ারটার কথা,যেটা মারিয়ান খুব বেশী খুলে না,কিন্ত সেটা কি ভাবে জানা সম্ভব,ওটাই plan এর সবচেয়ে দূর্বল অংশ।ড্রাগ dealer উপদেশ ছিল সেটাই-অভিজ্ঞতা মানুষকে অনেক নতুন কিছু শেখায় সময়ে।

ছাত্রছাত্রীদের কিছু জিজ্ঞাসা করা যাবে না,ভেবে নিয়ে যা কিছু সব আমাকেই করতে হবে। আমি,আমার স্বামীর ‘Detective’,গল্পের মত-জেকবের ফোনে শরীর খেলার নোংরা ছবিতে ভর্তি করে দিতে পারি।ড্রাগ dealer কথায় নতুন একটা idea মাথায় আসলোঃ প্রতিদিন জেকবকে text ম্যাসেজ পাঠানোর ideaটা মন্দ না।জেকব বুঝতে পারবে,গলফ ক্লাবে ওর মন্তব্যে আমি একটুও রাগিনি,আমি এখনও তার সঙ্গের কাঙ্গাল,এখনও সে আমার কামনার পুরুষ।তাতে যদি কোন কাজ না হয় মাদাম কোনিগ এক ফাঁকে স্বামীর ফোন খুলে ম্যাসেজগুলো দেখলে,আর কিছু না হোক,একটা ঝড়ো বাতাস ছুটে আসবে,শান্তির দ্বীপে।

ইন্টারনেট থেকে একটা news copy করে আমার email এ পাঠালাম,জেনেভায় ইলেকশনের পরে নতুন তেমন কিছু একটা ঘটেনি,লেখার জন্যে খোরাক জোগাড় করতে হচ্ছে।জেকবকে নিয়েও তেমন আর হৈচৈ নেই,লেখার আর কিইবা আছে,আমার মনের এই টানাপোড়েন ছাড়া।অন্য একটা বিষয় নিয়ে বেশ চিন্তা ভাবনা,হৈচৈ চলছেঃ নববর্ষের উৎসবটা হবে কি,হবে না।

সরকারী কোন কোন কর্মকর্তার মতে,এ ধরনের খরচ “অযথা লোক দেখানো খরচ,যা জনসাধারণের কোন উপকারে আসে না”।মন্ত্রনালয়ে গিয়ে জানলামঃসব মিলিয়ে প্রায় ১১৫,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক,খরচ হবে নববর্ষের ঐ হৈচৈ এর একদিনে।হিসেব করলে যা প্রায় আমি,আর আমার সহকর্মীর বছর দুই এর আয়।আরেক কথায় ঐ টাকা দিয়ে অনেক কিছুই তো করা সম্ভব,ভবিষৎ তো অজানা,সরকারী টাকাপয়সায় যে টান পড়বে না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে।রাস্তা সংষ্কার,তুষারপাতের পর রাস্তায় লবন ছড়ানো, টাকাপয়সার অভাবে সেগুলো না করতে পারলে,accident এর সংখ্যা হবে অবিশ্বাস্য,আর রাস্তা সংষ্কারের কাজ তো চলছে সব সময়,কোন শেষ নাই তার।

হাসি,আনন্দ সব কিছু অপেক্ষা করতে পারে,তবে শহরের চেহারাটা ঠিক রাখতে হবে,আরেক কথায় সরকারী কর্মচারীরা বলতে চাচ্ছে, ‘আমাদের আসল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার সামর্থ নেই আমাদের’।

সকাল সকাল উঠে কাজে যেতে হবে।জেকবকে ম্যাসেজ দিয়ে কোন উপকার হয়নি তা না,
উত্তর না পেয়ে,স্বামীর সাথে ঘনিষ্ঠতাটা বেড়ে গেছে অনেক।সব কিছু যে ভুলে গেছি তাও না,মনের সুপ্ত প্রতিশোধের আগুনটা তো জ্বলজ্বল করছেই।

খুব একটা মানসিক টানা পোড়েনেও ভুগছি না,তবে আমার planটা ছুঁড়ে ফেলতে চাই না,বেঁচে থাকা হলো নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া আর তার ফল ভোগ করা।সিদ্ধান্ত নেয়া অনেকটা যেন ভুলেই গেছি,সব ব্যাপারেই আমি কেমন জানি দোনোমোনো,ওটাই হয়তো কারণ তাকিয়ে আছি মাঝরাতে ছাঁদের দিকে।

একটা মানুষ আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না,তাকে অযথা বারে বারে কেন যে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছি,
নিজেই জানি না।সুখ-অশান্তি নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না আর।আমি চাই জেকব অশান্তিতে ভুগুক,আমার শরীর সব আনন্দ নিয়ে উপহার দিলাম তাকে,আর সে হয়ে গেল আমার marriage counselor।ঐ মারিয়ান ডাইনীকে জেলে পাঠাতে চাই,তার জন্যে আমার আত্মাকে হাজার হাজার বছর ধরে অভিশপ্তও হতে হলেও আমার আপত্তি নাই।

এটা আমাকে করতেই হবে?এ সব কেন যে মাথায় আসলো,জানি না?ক্লান্ত,তবুও ঘুম আসছে না।

“বিবাহিত মেয়েরা,অবিবাহিত মেয়েদের চেয়ে অনেক বেশী ভোগে মানসিক হতাশায়”,
আজকের এক কাগজে নাকি সেটা নিয়ে বেশ বড়সড় একটা লেখা ছিল।পড়া হয় নি লেখাটা,এই বছরটা বেশ অদ্ভুত ভাবে কাটছে।কৈশোরে যা ভাবতাম,ঠিক সেটা করতে কোন দ্বিধা হতো না।এখন সব কিছুতেই কেমন জানি একটা হিসেব,সুখী ছিলাম...কিন্ত কি যেন বদলে গেছে আমার মাঝে।

একটা ভাইরাস যখন কম্পিউটারকে আক্রমন করে,ধীরে ধীরে ছড়ায় ভেতরে ভেতরে,থেমে যায় কখনও এটা,কখনও ওটা।অনেক ছবি,লেখা হারিয়ে যায় এর ফাঁকে।কোন ভাবেই কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না,বেশ কয়েকজনকে দেখে খোঁজে,তবু কারও যেন জানা নেই কিছু।কম্পিউটারের ভাব ভঙ্গী বদলে যায় একেবারে,ওটা যেন আর আমাদের কম্পিউটার না।অপরিচিত ভাইরাস কম্পিউটার দখল করে নেয়,সম্পুর্নভাবে।

অবশ্যই নতুন একটা কম্পিউটার খুঁজে নিতে পারি আমরা,কিন্ত কি হবে আমাদের পুরোনো কম্পিউটারে বছরের পর বছর সাজিয়ে রাখা সব ইতিহাস।ওগুলো সবই হারিয়ে যাবে চিরদিনের জন্য?

না,ওটা কোনভাবেই ঠিক না।আমার নিজের উপরে কোন দখল নেই আর।এই অবিশ্বাস্য ভাললাগার পর্ব,কোথায় নিয়ে যাবে আমাকে,এমন কি যার জন্যে আমি ছুটে যাচ্ছি সেই মানুষটাও হয়তো ভাবছে অযথা বিরক্তি করছি তাকে।এমন একটা লোককে বিয়ে করেছি যাকে দেখে মনে হয় বেশ ঘনিষ্ঠ,তবে কোথায় যেন একটা দূরতব-ফাক আছে।কোন দূর্বলতা দেখিনি মানুষটাতে,হাসিখুশী কেমন জানি সাজানো সাজানো।পুরোনো একটা মুখ,যার সাথে শুধু একবার দেখা অনেক সময় পার হয়ে,কেন তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছি,আমি।কথায় আছে সময় নাকি সবচেয়ে বড় ওষুধ,তবে কথাটা একেবারেই সত্যি না।একটা শূন্যতা আমার চারপাশের হাসি আনন্দকে গ্রাস করছে,তলিয়ে যাচ্ছি আমি হতাশার চোরাবালিতে।

সময় ঠিক করে দেয়,মধূর স্মৃতিগুলো যা আমরা ধরে রাখতে চাই মনের খাতায়।সময় বলে দেয়, ‘বোকামী করো না,এটাই সত্যি’।মনের মাঝে কোথাও একটা সেই black hole আছে,যা সব কিছু নিয়ে একটা শূন্যতা ছড়িয়ে দিচ্ছে চার পাশে।আমি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছি ঐ black hole এ,জানি না কিভাবে নিজেকে উদ্ধার করবো।

জেকবের মতে আমার একজন marriage counselor এর সাহায্য দরকার,সম্পাদক মনে করে আমি একজন খুব ভাল সাংবাদিক যার চোখে অনেক না দেখা ধরা পড়ে।ছেলেমেয়েরা পরিবর্তন দেখছে আমার ব্যাবহারে তবে প্রশ্ন করে নি,তেমন কিছু অভাবনীয় মনে হয়নি তাদের কাছে।স্বামীকে এক রেস্তোরায় সবকিছু বলার পর হয়তো সে বুঝলো আমার মনের যুদ্ধটা।

বিছানার পাশে রাখা টেবলটা নিয়ে ৩৬৫ কে ৭০ দিয়ে গুন করলাম,উত্তরটা হলো ২৫,৫৫০।
ওটাই মানুষের জীবনের দীর্ঘতা,কত দিন এর মাঝে অযথাই নষ্ট হয়ে গেল।চারপাশের লোকজন সবাই কোন না কোন অভিযোগ করে যাচ্ছে।
‘আট ঘন্টা কাজ করি,যদি আমার promotion হয় তখন হয়তো আমাকে বার ঘন্টা কাজ করতে হবে,টিকিয়ে রাখার জন্যে’।
‘বিয়ের পর নিজের জন্য কোন সময় পাই না,শুধু সংসার আর সংসার’।
‘বিধাতাকে খোঁজার চেষ্টা করছি,চার্চে যাওয়া আরম্ভ করতে হবে,ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে হবে’।

এক সময় আনন্দ উৎসাহ যা আমরা খুঁজি,সেই ভালবাসা,বিশ্বাস,কাজ-বয়সে সেটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।এ সমস্যা থেকে উদ্ধারের শুধু একটাই উপায়ঃভালবাসা।ভালবাসা জীবনের দাসত্বকে স্বাধীনতার আলোতে নিয়ে আসে।কিন্ত আমার মনে ভালবাসা কোথায়,ঘৃনায় ভঁরে আছে মনটা।যতই অবিশ্বাস্য হোক না কেন,ওটাই আমার প্রতিদিনের বেঁচে থাকার মন্ত্র।

পৌঁছালাম,মারিয়ানের দর্শন ক্লাসের বিল্ডিং,যা ইউনিসাভার্সিটির হাসপাতাল বিল্ডিং এর ঠিক পাশে।দেখে অবাক হলামঃএটা কি হতে পারে এই যে নাম করা শিক্ষার নামে হয়তো
এটা কটা extension কোর্স,তেমন কোন ওজন নেই যার।গাড়ীটা একটা সুপারমার্কেটে পার্ক করে প্রায় মাইল আধেক হেঁটে সবুজ মাঠের মাঝখানে এই দালানগুলো,ছোট্ট একটা পুকুর মাঝখানে,তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো নানান দিকগুলো।বয়স্ক আর মানসিক রোগীদের হাসপাতালের পাশে এই সব নিম্নমানের বিষয়ের ক্লাস।

রাস্তাটা দেখতে কিছুটা অনেকটা এয়ারপোর্টের রানওয়ের মত,শেষে একটা মূর্তি আর লেখা passage 2000,কেন জানি মনে হলো এটা কি কোন মানসিক অসুস্থ মানুষের হাতে করা,নীচে লেখা নামটা অবশ্য একজন খ্যাতনামা ভাষ্করের।শিল্পকে সম্মান করতে আমার কোন দ্বিধা নাই,তবে এটা বললে মেনে নেব না যে শিল্পীরাও মানসিক ভাবে সুস্থ।

দুপুরের খাবার সময়টাই-একমাত্র সময় যখন মানুষ নিজেকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে,কিন্ত কেন জানি অদ্ভুত ভাবে ঐ সময়টায় বেশীর ভাগ ইন্টারভিউ,মিটিং এসে জায়গা করে নেয়।এ সময়টায় ক্লাস ঘর ফাঁকা থাকার কথা,আমি তো ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতে যাওয়াটা ঠিক হবে না,ওখানে মারিয়ান বা মাদাম কোনিগ বসে হয়তো তার সোনালী চুলে আচড় কাটছে।ছাত্ররা তার দিকে তাকিয়ে হয়তো মনে মনে ভাবছে কি ভাবে ঐ সুন্দরীর সাথে একটা সম্পর্ক করা যায়,আর ছাত্রীরা ভাবছে কি ভাবে তাকে অনুকরণ করা যায়।

রিসেপশনে বললো,মাদাম কোনিগ তখন লাঞ্চ ব্রেকে।দুপুরের খাবারে বিরক্ত করা ঠিক হবে না বলে,ক্লাসের সময় নিলাম।পোশাকে আষাকে আমি খুবই সাধারণ,মনে রাখার মত কোন একটা চরিত্র না।এটুকুই অস্বাভাবিক যে এই মেঘলা দিনেও আমার চোখে sunglass ছিল,অবশ্য তার নীচে এমন ভাবে ব্যান্ডেজ দেয়া যেন রিসেপষ্টিস্টের চোখে পড়ে।দেখলেই কেউ ভাববে যেন কোন একটা সার্জারী করা আমার চোখে।আমি নিজের স্বাভাবিকতায় বেশ কিছুটা অবাক হলাম,আগে ভঁয় হচ্ছিল হয়তো এমন কিছু একটা করে ফেলবো যা আমাকে বিপদে ফেলবে।

নিজেকে নিয়ে যদি কোনদিন লেখি করি,চরিত্রটা হবে অনেকটা মেরী শেলীর ফ্যাঙ্কেনষ্টাইনের মত।মেরী শেলীর লেখাটা ছিল দানবকে নিয়ে যে নিরীহদের দোষে জড়ায়,দোষীদের সরিয়ে নিয়ে।আমি আমার নীরস জীবন থেকে বের হয়ে আসার কথা লিখবো,যে জীবনে নেই কোন উত্তেজনা।

সকলের জীবনেই একটা অন্ধকার দিক আছে,সবাই চায় সম্পুর্ণ ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে।যুদ্ধের ছবিতে আমরা দেখি অত্যাচার ক্ষমতাশালীদের হাতে মানুষের নিপীড়ন,তাদের মনের লুকোনো দানবের ধাক্কায়,আবার সেই মানুষগুলোয় ফিরে সংসারে হয় ভালবাসার স্বামী,স্নেহশীল বাবা,দেশের জন্যে সহায়ক এক মানুষ।

কৈশোরে,আমার এক বন্ধু ছিল যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসতাম,একদিন সে তার ছোট্ট কুকুরটা আমার কাছে রেখে গেল,কিছু সময়ের জন্যে।কুকুরটাকে ছিল ছেলেটার খুবই প্রিয়, কেমন জানি মনে হলো কুকুরটা আমার ভালবাসায় ভাগ নিচ্ছে।সেটা একেবারেই অসহ্য ছিল আমার,কুকুরটাকে হাতে পেয়ে তাকে আমি ইচ্ছেমত পিন দিয়ে খোঁচালাম এমন ভাবে ব্যাথায় কাতর হয়ে উঠুক,তবে কোন ধরণের প্রমান যেন না থাকে,আরেক ভাবে আমার হতাশার প্রকাশ।

বন্ধু ফিরে আসার পর কিছুই বুঝতে পারলো না,যথারীতি ধন্যবাদ জানিয়ে,আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে,চুমু খেয়ে শরীর খেলার পর্বে চলে গেল।মারিয়ানের অফিসে যাওয়ার সময় ভাবছিলাম,কি ভাবে অত নিষ্ঠুর হলাম আমি?হয়তো ওটাই মানুষের আসল রুপ,আমরা বাইরের একটা সুন্দর চেহার দিয়ে ভেতরের আসল রুপটা লুকিয়ে রাখি।লুকিয়ে রাখি আমাদের নিষ্ঠুরতা,ভাল মানুষের চেহারার ছায়ায়।কত মানুষ যারা পাগলের মত ভালবাসে তাদের বৌকে,আবার তারাই রাগের চোটে মেরে রক্তাক্ত করে দেয় তাদের,কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইতেও ভোলে না।

কেন আমি ক্ষতি করতে চাচ্ছি মারিয়ানের,ও তো আমার কোন ক্ষতি করে নি।এটা হয়তো ঈর্ষা,ও জেকবের ভালবাসা মানুষ,আমি যে হতে পারিনি।তবে এটা কারণ হতে পারে না কারও ক্ষতই করার,তা হলে তো পৃথিবীর ৯৯ভাগ লোক একজন আরেকজনের ক্ষতি করা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো।হয়তো এমনও হতে পারে ঘুম ছাড়া রাতের অস্থিরতায়,এই সব পাগলামিতে আমি স্বস্থি খোঁজার চেষ্টা করছি।শুধু আমি নই,ফ্রাঙ্কেষ্টাইন বইটা যুগের পর যুগ মানুষ পড়ে যাচ্ছে,সকলের মাঝে লুকোনো আছে একজন দানব,একজন বিজ্ঞানী।

আমি হয়তো প্রচন্ড ভাবে অসুস্থ।আমার এখান থেকে বের হয়ে কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।ডাক্তার যদি আমাকে পুলিশের হাতে তুলেঅ দেয় তবু অন্ততঃ এই গোপন কথাগুলো গোপন থাকবে,আর অবিচার তো হবে না।ক্লাসের দরজায় দাড়িয়ে,ভাবছিলাম, “কেন”?তবুও ক্লাসের ঢুকে একটা দেখলাম ডেক্স,কিছু বই,ব্যাগ আর অন্যান্য কিছু রাখার জায়গা।আমার
ভেবে নেয়া উচিত ছিল এটা,কিছুটা হতাশ আর কিছুটা হাল্কা হয়ে গেল মনটা।

বাইরের হল ঘরে তখন ছাত্রদের হৈচৈ আরম্ভ হয়ে গেছে,ক্লাসে ফিরে আসছে সবাই।
হল ঘরের শেষ দিকের পেছনের দরজাটা দিয়ে বের হলাম,পাশেই হাসপাতালের বয়স্ক রুগীদের ওয়ার্ড।অজানা একটা নাম বলে রিসেপশনে অযথা খোঁজ নেয়ার ভান করলাম-জানা কথাটাই জানলাম,হয়তো অন্য কোন হাসপাতালে।নার্স যদিও বললো-সে খুঁজে দেখতে পারে।
আমি বললাম,কষ্ট করার কোন দরকার নাই।

“না,না,কোন কষ্ট হবে না,আমার”।
সন্দেহের কোন অবকাশ না দিয়ে,আর কিছু বললাম না।নার্স কম্পিউটার নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেল,একটা বই নিয়ে আমিও ব্যাস্ত তখন।
“ওটা বাচ্চাদের গল্প”,কম্পিউটারে ব্যাস্ত থেকেই নার্সটা মন্তব্য করলো, “তবে রুগীরা খুব পচ্ছন্দ করে”।
বেশ প্রযোজ্য মন্তব্যটা,এলোমেলোর এক পাতার গল্প,

গল্পটা একটা ইঁদুরকে নিয়ে,যার সবসময় হতাশায় ভুগতো
বিড়ালের ভঁয়ে।তার দুঃখ দেখে একজন যাদুকর তাকে ইঁদুর
থেকে বিড়ালে বদলে দিল।এখন সে আবার কুকুরের ভঁয়ে
অস্থির,তাই যাদুকর ভেবে নিয়ে তাকে কুকুরে রুপান্তরিত
করলো।কিন্ত কুকুর হয়েও তার ভঁয় গেল না,তার ভঁয় তখন
বাঘকে নিয়ে।যাদুকরের ছিল অনেক সহ্য ক্ষমতা আর দুর্বলের
জন্য সহানুভুতি,সে তাকে বদলে দিল বাঘে।তবুও তার মনে শান্তি
ছিল না,ভয় তখনও শিকারীদের নিয়ে।শেষে যাদুকর তাকে ইদুরে
বদলে দিয়ে বললোঃ
‘আমি যতই যাই করি না কেন,তোমার ভঁয় দূর
করার কোন উপায় নাই।তুমি যে ভাবে আছ,সেটাই
ভাল তোমার জন্যে’।

নার্সটা চেষ্টা করেও আমার কাল্পনিক রুগীকে খুঁজে পেল না,তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলাম,দেখে মনে হলো কিছুক্ষন কথা বলে মহিলা বেশ সন্তষ্ট ছিল।

‘প্লাষ্টিক সার্জারীতে মানুষের চেহারার কি কোন উন্নতি হয়’?

প্লাষ্টিক সার্জারি?ওহ,মনে পড়লো,চশমার নীচের টেপের কথা।
‘এখানে অনেক রুগী প্লাষ্টাক সার্জারী করে,আমি যদি আপনি হতাম এখান থেকে দূরেই থাকতাম।ওতে শরীর আর মনের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরী হয়’।
আমি যদিও তার কাছে কিছু জানতে চাইনি,তবুও স্বেচ্ছায় সে মন্তব্য করা থেকে থেমে থাকেনি,যেন এটা তার দায়িত্ব, ‘বয়স তাদের কাছেই সমস্যা যারা ভাবে সময়কে তারা
আয়ত্ব আনতে পারবে’।

জিজ্ঞাসা করলাম,সে কোন দেশেরঃহাঙ্গেরী।ওটা বোঝাই যাচ্ছিল,অন্য কোন দেশ থেকে মেয়েটার আসা,সুইস লোকজন অযাচিত মন্তব্য করতে খুব একটা অভ্যস্ত না।ধন্যবাদ দিয়ে,বের হয়ে চশমা,ব্যান্ডেজ খুলে হাঁটা দিলাম।ছদ্মবেশটা কাজ করলো ঠিকই তবে ideaটা কাজ করেনি।ভার্সিটির ক্যম্পাস তখন প্রায় খালি,সবাই ব্যাস্ত,কি ভাবে চিন্তা করা যায়,কি ভাবে চিন্তা করানো যায়,কি ভাবে যত্ন নেয়া যায়।

০০০০০০০০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.