আসলে আমাদের হুশ অতীব অল্প সময়ের জন্যই বিদ্যমান। নির্দিষ্ট সময় যাওয়ার পর যেই আলু ভাজা সেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
আজব একটা জিনিস বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করছি। কিছু বীর মানুষ আছেন যারা রাস্তাঘাটে চরম ভাব নিয়ে সিগারেটে সুখটান দেন এবং সেই সুখটান শেষ হলেই আরেকটু বেশী ভাবের সাথে জ্বলন্ত সিগারেটটা রাস্তাতেই ফেলে দেন। পা দিয়ে মাড়িয়ে নিভানোর ও সময় থাকে না। তাদের এহেম কাজকর্মে মনে হয় যে তারা সিগারেট জ্বালাতে যে পরিমান সুখ পান প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া সিগারেট নিভাতে তার থেকে কয়েকগুন বেশী কষ্ট পান। আসলে সিগারেটের প্রতি তাদের ভালবাসা এতই বেসম্ভব রকমের বেশী যে তাদের পক্ষে জ্বলন্ত সিগারেটকে নিভতে দেখা অসম্ভব। এই জন্য যে খারাপ কিছু ঘটতে পারে তাতে তারা থোড়াই কেয়ার করেন। কোন খেয়ালই নেই।
যারা এই বেসম্ভব রকমের ভাল কাজটি করেন তাদের অনুরোধ করে বলছি, অনেক হয়েছে এইবার ব্রেক মারেন। এমনিতেই ধোয়া দিয়ে অনেক উপকার করেন। আর উপকার করা লাগবে না। ক্ষেমা দেন। বুকে পাথর রেখে আল্লাহর ওয়াস্তে সিগারেটে দেয়া সুখটান শেষ করার পর পা দিয়ে মাড়িয়ে নিভিয়ে ফেলবেন। আশা করি বেশী শক্তি খরচ হবে না। সেই সাথে আরো আশা করি যে সিগারেতটি নিভিয়ে দেয়ার ফলে অনাকাংখিত কিছু দুর্ঘটনা থেকে আপনি আমাদের বাঁচাতে পারবেন। ভালো থাকবেন।
** বিগত তিন সপ্তাহে কম করে হলেও এইরকম ৫০ জন বীরের চোখের সামনে তাদের ফেলে দেয়া জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছি আর তাদের কাছে গিয়ে একটা কথাই বলেছি, “আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।”