somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিন ড্রপ ভায়োলেন্স (ভালোভাবে ১৬+);)

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি এতো দূর আসব কখনো কল্পনা করতে পারি নি! এতো বড় অফিস, দামী গাড়ি, দামী বাড়ি, সম্মান অনেক কিছুই আমার কল্পনার বাইরে ছিল। শুধু একটা জিনিস পাই নি সেটা হচ্ছে শান্তি!

আমি এতো অশান্তি কখনোই চাই নি। চাইনি আমার অফিসের বসের সাথে এইগুলা করতে! চেয়েছিলাম তাঁর সাথে মায়ের কাছে দেয়া কথা মত মিলে কাজ করতে। তাকে সম্মান করতে। কিন্তু পারলাম না মাকে দেয়া কথাটা রাখতে। কিভাবেই বা রাখব।

অফিসের বস, খারাপ একটা লোক। নিজের ঘরে বউ রেখেও অন্যদের দিকে কুনজরে তাকাতো। কোন, প্রোগ্রামের সময় আগত প্রতিটি অতিথি মহিলার দিকে তার দানব সদৃশ হাতকে এগিয়ে দিত, অনেক সন্তর্পনে ওই মহিলার হাতটিতে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ একে দিত। একদিন এক পার্টিতে আমার স্ত্রী’র দিকে ওর নজর যায়। শালা বদ তার দিকে হাত বাড়ায়। নীরবে পেয়ে আমাকে হুমকি দেয় যদি আমার বউ তাকে না দেই তাহলে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে যেকোন কারনে। সেইদিন অনেক শান্ত ছিলাম। কিচ্ছু বলিনি। কয়েকদিন পর অফিসের কাজের নাম করে আমাকে চট্টগ্রাম পাঠায়। অনেক ইচ্ছা ছিল বউকে নিয়ে যাব, কাজের কাজ ও হবে ছোটখাট একটা হানিমুন ও হবে। কিন্তু কিসের কি। বসের মানার কারনে আর যেতে পারলাম না।

চট্টগ্রাম যাবার পর থেকে ব্যাস্ততার কারনে খুব কম কথা হত মিলির সাথে। একদিন বিকেল বেলা ওকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম কিন্তু বারবারই সে কেটে দিচ্ছিল। কারন উদঘাটনের চেষ্টাও করলাম না। বেশ কিছুক্ষন পর ওর ফোন পেলাম কিন্তু কোন কথা শুনার বদলে শুনলাম একটা চিৎকার। আরে এতো মিলির আওয়াজ। ওর আবার কি হলো! কিন্তু কিছুক্ষন পর আমাকে অবাক করে দেয়া শব্দটি হলো আমার বসের! তার মানে বস…! আমার পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছিল। যত দ্রুত সম্ভব আমার ঢাকা পৌছানোটা জরুরী ছিল। আবহাওয়ার কারনে বিমান চলাচল বন্ধ, শেষ কোন উপায় না দেখে বাসে রওনা দিলাম। ঢাকায় আসতে আট ঘন্টা লেগে গেল। বাসায় এসে যা দেখলাম তাতে জ্ঞান হারানোই বাকী ছিল আমার। মিলি আমার আত্মহত্যা করেছে! ও পারেনি সমাজের সামনে দাঁড়ানোর সাহস করতে। সঠিক হিসেবে বেঁচে নিল তার চলে যাওয়াটাকেই। আমার মথায় তখন একটা জিনিসই কাজ করছিল।

অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকলাম। বস যখন অফিস শেষে ওর বাসায় যাবার জন্য রওয়ানা হয় তখনই ওকে জোর করে আবার অফিসে নিয়ে আসি। বেসবল বেট দিয়ে তার মাথায় আস্তে করে বাড়ি দেই। সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার হাত পা বেঁধে তার গলার দিকে চকচক করা ছুরিটা আগাই। নাহ, এতো তাড়াতাড়ি ওকে মারা যাবে না। অনেক কষ্ট দিয়ে মারতে হবে। হঠাৎ করে চোখ পড়ল টেবিলে রাখা আলপিনের বক্সের দিখে জলমল করে উঠলো। আস্তে আস্তে করে প্রতিটা পিন ওর শরীরে ঢুকালাম। ওর অবশ শরীর কি কারনে জানি মাঝে মাঝে নাড়া দিয়ে উঠছিল। অনেক মজা পাচ্ছিলাম। তার শরীরটা দেখতেও সুন্দর লাগছে বৈকি! শেষ দুইটা পিন বাকী ছিল। এইগুলা পরে ব্যবহারের জন্য রেখে দিলাম। সাথে একটা ছুরি ছিল। দুই দিন আগেই চট্টগ্রামে কিনেছি এইটা। কিনেছিলাম ফল কাটার জন্য। কিন্তু ফল কাটার বদলে যে তাকে কাটব আমি বুঝতেও পারিনি। ওর হাত গুলো চেয়ারের সাথে বাধলাম। প্রতিটা আঙ্গুল ছুরি দিয়ে কেটে ছুড়িটার ধার পরীক্ষা করলাম। তার এই পিশাচ স্বরুপ আঙ্গুল গুলো আমার মিলির উপর অত্যাচার করেছে। ১০ টা আঙ্গুল একত্র করে আগুল জ্বালালাম। মনে হচ্ছে আগুনের সাথে আমার সব কষ্টগুলো উড়ে যাচ্ছে।ওর গলায় যখন ছুড়িটা স্পর্শ করি তখন আমাকে অবাক করে দিয়ে যে জেগে উঠতে থাকে। পুরোপুরি জেগে উঠার আগেই ছুড়িটার ঠোট বসের গলার গভীর দিয়ে চলে যায়। ধীরে ধীরে মেঝেটা লাল হতে লাগলো। লাল রঙ আমি কখনো পছন্দ করতাম না। কিন্তু আজ কেন এতো ভাল লাগছে জানি না। গরু জবাই করার পর যেমন শব্দ করতে থাকে ঠিক তেমনি বসের গলা দিয়ে এই রকমের শব্দ বের হতে লাগলো। আসাধারন সে শব্দ। আমি ভাবতেও পারি নাই মানুষ এইরকম শব্দ করতে পারবে। আমার মাথায় আর কিছু কাজ করছিল না। আমার ব্রেন ঠিকভাবে কাজ করছে না। শুধু একটা জিনিস বুঝতে পারছি ওকে অনেক শাস্তি দিতে হবে। অনেক শাস্তি। পকেট থেকে মোবাইল বের করে শব্দটা রেকর্ড করে রাখলাম। রিংটোন হিসেবে দেয়া যাবে। থেকে যাওয়া দুইটা আলপিন বসের চোখের মধ্যে সুন্দর করে সেট করে দিলাম।



আমি কখনোই এইরকম ছিলাম না। অনেক শান্ত ছিলাম। কিন্তু আজ নিজেকে একটা পশু মনে হচ্ছে। মনে কোন মায়া নেই। নেই চোখের মধ্যে কারো জন্য জল, আছে শুধু প্রতিশোধ পরণায়তা, আর জলের বদলে রক্ত।। মেঝেতে লেগে থাকা বসের রক্তগুলো দুই হাত দিয়ে তোলে মাথার উপর দিতে লাগলাম। কেমন লাগছিল জানিনা শুধু এতটুকুই মনে হচ্ছিল যে আমি অনেক বড় পাপীকে সরিয়ে দিয়েছি। মিলির আত্মাকে শান্তি দিয়েছি। সব কিছুর পর মারাত্মক জোরে একটা চিৎকার দিলাম। সব কষ্টকে মন থেকে সরিয়ে দেয়ার চিৎকার।

নিজেকে আবিষ্কার করলাম বিছানায়।অনুভব করলাম শরীরে কিঞ্চিত ব্যাথা। পাশে দেখলাম কুংফু স্টাইলে আমার বোন দাঁড়িয়ে! বদটা লাথি মেরে আমাকে নিচে ফেলে দিল! “কি রে, অফিসে যাবি না? নতুন নতুন জয়েন করে ফাইজলামি শুরু করে দিলি? জলদি উঠ! আর শোন, এইসব হরর মুভি দেখা বন্ধ কর! প্রতিদিন তোর এই চিল্লানী শুনে ঘুম থেকে উঠতে ভালো লাগে না!”

হায় হায়! বলে কি? তার মানে আমি এতক্ষন ................... !! ;););):D:D:D

সবাই ভালো থাকবেন

পেক পেক পেক

ডর না লাগলে লুল দেখেন। আমার প্রিয় লুল পশু সমাজ!!
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×