শুধু খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত নই আমি,
কখনো কখনো ক্ষুধা পায়
স্মৃতির কুয়াশায় হারানোদের জন্য।
একটি হৃদ স্পন্দন থামিয়ে দেয়া
যাদুকরি কন্ঠের জন্য,
একজোড়া চঞ্চল চোখের চঞ্চলতার জন্য,
একটা উষ্ণ হাতের উষ্ণতার জন্য।
তুমি, তুমি কি এখনো আকাশ দেখ?
কিংবা তুমি, প্রতিজ্ঞা করেছিলে সারাজীবন পাশে থাকবে,
সেই তুমি কি কোনো এক দুপুরে আমায় খোঁজে?
অথবা পরন্ত বিকেলে কিশোরীর কোলাহলে?
আমি কিন্তু খুঁজি,
ক্লাসের করিডোরে,
স্কুলের গেটের কাছে,
পাশের বাড়ির ঝুল বারান্দায়,
লুকিয়ে ছোড়া হুলুদ খামে,
কিংবা কোনো পুরনো খাতার ভাঁজে।
যারা দূরে, দৃষ্টি সিমার আড়ালে,
তাদের নিঃশ্বাসও অনুভব করি,
চোখ বন্ধ করলেই শুনতে পাই,
তাদের দ্বির্ঘ নিঃশাস,
কারনে বা অকারনে ফিসফাস,
নিঃশব্দে বলা কোনো কথা,
কিংবা পুরনো দিনের হাসি।
রোজ রাতে মৃতরা আমার ভেতর
জীবন্ত হয়ে জেগে ওঠে,
তৃ-প্রহরে তাদের বের করে আনি,
কারো হাত, কারো কণ্ঠ, কারো চোখ,
কারো অভিমান, কারো শোক,
এভাবেই জড়াই স্মৃতির চাদরে।
আমার শুধু খাবার জন্য ক্ষুধা পায় না ,
মানুষের জন্যও ক্ষুধা পায়।
ভালোবাসার ক্ষুধা,
জড়িয়ে ধরার ক্ষুধা,
নিঃশ্বাসের ক্ষুধা,
চোখের জলে আঁচল ভেজানোর ক্ষুধা,
মৃত শহর থেকে জেগে ওঠার ক্ষুধা,
একসাথে থাকার ক্ষুধা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৯