এনা মারিয়া গালোজান
এস্তোনিয়ান রিফর্ম পার্টির সদস্য এই মেয়ে ভোটের রাজনীতিতে খুব একটা সফল না হলেও তরুণদের মনের রাজ্যে নিয়মিত ঝড় তুলেন।পলিটিকাল সায়েন্স এ এম,এস,সি করা এনা রাজনীতিটা ভালই বুঝেন তাই এনজিও এর টাকা তছনছ এর অভিযোগে এখন সাজাপ্রাপ্ত। পাক না সাজা তাতে কি? আমাদের দেশের চোরগুলোও তো এমনি।
লুসিয়ানা লেওন
১৯৭৮ এর ৩০শে জুন পেরুর লিমায় জন্ম নেওয়া লুসি একদম ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে ঝড় তুলছেন সাথে সাথে অসংখ্য তরুণের মনেও।২০০৬ থেকে কংগ্রেসওম্যান লুসি আইনে ডিগ্রিধারী।
অর্লি লেভি
ইসরাইল এর পার্লামেন্ট মেম্বার অলির জন্ম ১৯৭৩ এর ১১ নভেম্বর এ। তার বাবাও ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং মন্ত্রী। ইসরাইলের অন্যতম সুন্দরী ধরা হয় তাকে।
ইউরি ফুজিকাওয়া
মনোবিদ্যায় ডিগ্রিধারী ইউরি ফুজিকাওয়া জন্ম নেন ১৯৮০ এর ৮ই মার্চ। তরুণদের মনে ঝড় তুলা এই মেয়ের রয়েছে রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য। তার বাবাও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ইউরি বর্তমানে সিটি কাউন্সিলের মেম্বার।
এলিনা কাবেইভা
১৯৮৩ এর ১২ই মে সোভিয়েত ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া এলিনা সাবেক জিমন্যাস্ট। জিতেছেন অনেক পদক। তার চেয়ে বড় কথা হল জিতে নিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পুতিন এর মন। দুজনে গোপনে বিয়ে করেছেন এবং তাদের সন্তান রয়েছে এমন গুজবও চালু আছে বাজারে।এলিনা রাশিয়ান পার্লামেন্ট এর মেম্বার ২০০৭ থেকে।
ইউলিয়া তিমোশেংকো
২৭ নভেম্বর ১৯৬০ এ জন্ম নেওয়া ইউলিয়া ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইউক্রেন এর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। উনার প্রতি আমার রয়েছে বিশাল দুর্বলতা। কারণটা ঠিক নিজেও বুঝিনা। হয়ত চুলের এই বিচিত্র নকশার কারণে। তবে এখন অবশ্য খুব একটা সুবিধায় নেই তিনি। গত আগস্টে গ্রেফতার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার এর জন্য।
মারা কার্ফাগনা
ইটালির সমধিকার বিষয়ক মন্ত্রী মারা রাজনীতিতে আসেন লম্পট বার্লোসকুনির হাত ধরে। ১৯৭৫ এর ১৮ই ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া মারা এর আগে নাইট ক্লাবের শো-গার্ল ছিলেন।
সেতরিদা জিজিয়া
১৯৬৭ এর ৩১মে ঘানায় জন্ম নেওয়া এই মহিলা রাজনীতিতে আসেন আমাদের হাসিনা খালেদা টাইপে। স্বামী জেলে যান তারপর পার্টির নেত্রিত্ব আসে উনার কাঁধে। মহিলা অবশ্য যথেষ্ট সাহসী পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বাইরে থেকে নানা চাপ,গ্রেফতারের হুমকী এমনকি মেরে ফেলার হুমকির পরও রাজনীতির মাঠ থেকে পিছু হটেন নি তিনি।বয়স ৪৪ হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে সেক্সি মহিলা রাজনীতিবিদ এর তালিকায় তিনি রয়েছেন একদম প্রথম দিকে। আর হবেনই না কেন? বয়স যে এত তা বুঝা যায় কি?
রুবী ডালা
১৯৭৪ এর ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া রুবী ডালা লিবারেল পার্টির সদস্য এবং পার্লামেন্ট এর এমপি ২০০৪ থেকে।
ভারতে জন্ম নেওয়া শিখ ধর্মাব্লম্বী এই মেয়ে একদম ছেলেবেলা থেকেই রাজনীতির মাঠে নামেন। এর ফাকে অবশ্য একবার বলিউডে নেমেছিলেন। ১৯৯৩ এ মিস ইন্ডিয়া হওয়ার লড়াই এ ও ছিলেন। বয়স তো কম না প্রায় ৩৭ কিন্তু তাতে কি??মাঠে নামলে ভক্ত কম পাওয়ার কথা না।
ক্রিস্টিন কেলি
৩৯ বছর বয়স্ক কেলিকে সারকোজি ওভারসীজ টেরিটরিস বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। বিকিনি গার্ল হিসাবে খ্যাত কেলি এর আগে টিভি উপস্থাপিকা হিসাবে কাজ করতেন।
হিনা রব্বানি খার
রাজনীতিতে হিনার রয়েছে পারিবারিক ঐতিহ্য। ১৯৭৭ এর ১৯ নভেম্বর মুলতান এ জন্ম নেওয়া হিনা পাকিস্তানের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কি মনে হয় আপনার? এরা আসলে এদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আসবে না? তরুণ তো বটেই আমার তো মনে হয় লুলীয় দল ও লুলীয় লীগ এর বুড়া ভাম গুলোও মাঠে লাফিয়ে নামবে উনাদের পাশে থাকার জন্য।