ছোটবেলায় আব্বার কাছে একটা গল্প শুনেছিলাম।
এক লোকের খুব শখ ছিল একটা জ্বিন বশে আনবে। তাই মন্ত্র শিখতে জ্বিনসাধকের কাছে গেলো।
সাধক বললো মন্ত্র তেমন কঠিন কিছু না তবে জ্বিনকে বশে রাখা খুব কঠিন। আপনি হয়তো পারবেন না।
লোকটা অনেক অনুনয়বিনয় করার পর সাধক তাকে মন্ত্র শিখিয়ে দিলো।
বাড়ি গিয়ে লোকটা মন্ত্রজপ করে একটা জ্বিনকে বশে আনলো। প্রথম প্রথম সবকিছু ভালোই ছিলো।
কিন্তু কয়েকদিন পরে লোকটা পড়লো মহাবিপদে। কারণ জ্বিনকে সারাক্ষণ কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে হয়। কাজ না দিলেই সেই জ্বিন লোকটাকে মারধর করতো।
জ্বিন দেখার সৌভাগ্য বা দূর্ভাগ্য না হলেও আট মাস বয়সী মেয়ের কাজকর্ম দেখে সেই অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সারাক্ষণ কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে হয়। ব্যস্ত না রাখলে তিড়িংবিড়িং করে, এদিকওদিক গিয়ে উল্টো আমাদের ব্যস্ত রাখে!
আরেকটা জিনিস এতোদিনে বুঝলাম, ছোটবেলায় আব্বা কেন দুষ্টু জ্বিনের সেই গল্প শুনিয়েছিলেন।
মেয়েটা আরেকটু বড় হোক, দুষ্টু জ্বিনের গল্পটা শুনাতে হবে।