বর্তমানে দেশে সেনা প্রধানের ভুমিকা নিয়ে অনেকের মনেই নানা রকম ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রতি সাধারণ জনগনের যে আস্থা বিশ্বস্ততা তৈরী হয়েছিলো, তাতে বেশ ভাটা পড়তে শুরু করেছে। আমার কাছে প্রথম যে বিষয়টি ধাক্কা লাগে সেটা হলো তার পিল খানার ইস্যুতে কোন বাট ইফ ফুল স্টপ জাতীয় বক্তব্য। খুবই অবাক হয়েছি সেদিন। যেখানে বিডিআর হত্যায় বাইরের দেশের ভাষাভাষি লোক জনের আনাগোনার প্রমাণ স্পষ্ট, যেখানে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে শেখ হাসিনা এবং তার সমর্থনেই দেশের ৫৭ জন চৌকশ সেনা কর্মকর্তাকে বলি দেয়া হয়েছে, সেখানে সে সেনা সদস্য হয়ে বাট ইফ বাদ দিয়ে ফুল স্টপ দিতে চান এবং প্রচলিত বিচার ব্যবস্থাই সঠিক বলে এগিয়ে নিতে চান। কাক কাকের মাংস খায় না, অথচ উনি রক্ত মাংসের একজন সেনা সদস্য হয়ে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার খুনের রহস্যকে আড়ালে রেখে নিজেকে খুনি হিসাবে দাড়া করাতে চাইলেন।
৫ই আগষ্টের পর আমরা শুনেছি আওয়ামি বড় বড় নেতা কর্মি সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছে। সেনা বাহিনী তাদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছে। কত জন সেইফ এক্সিট নিয়েছে। কেনো? কেনো সেনা বাহিনী এই দ্বায় কাঁধে নিলো? তাহলে কি হাসিনাকে সেইফ এক্সিট দেয়া একটি পাতানো নাটক ছিলো? হয়তো তিনি ভেবেছিলেন এই উত্তপ্ত পরিসস্থিতি সামাল দিয়েই তিনি আবার শেখ হাসিনাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসিয়ে দেবেন আর সেনানিবাসে নিরাপদে থাকা তার সভাসদ বৃন্দ পুনরায় হায়েনার বেশ ধরে সংসদে প্রবেশ করে তাদের দুঃশাষন চালাবে। কিন্তু ড ইউনুস এর উপস্থিতি সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো। তার কারণেই হয়তো সেনা প্রধান বা তাদের ঐ ছক ভেস্তে যায়।
দেশে এখন যে অস্থিরতার পসার তা কি এখন সেনা প্রধান ও তার অনুগত ভারতীয় চরের সৃষ্টি?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১১