পায়ে বেড়ির বয়স তখন উনিশ,
পায়ে বেড়ি আমার সাথে ছিলো বারোটি বছর,
এখন তিরিশোর্ধ বয়স তবে তার?
এভাবে অংক হলো শেখা;
অংকের ভেতর অনেকগুলো জীবন হলো লেখা,
জীবনগুলো হাঁটতে শেখে চলতে শেখে
পড়তে শেখে জোড়তে শেখে দৌড়াতেও শেখে,
দৌড়াতে দৌড়াতে ভাবতে শিখতে পারে যে,
অনেক জীবনের আবার মানেই থাকে না।
জীবনের কাঁধ ঘেষে দুঃখ এসে দাঁড়ায় খালি গায়ে,
মাঝে মাঝে তিরিশোর্ধের গলায় আটকে থাকে।
দুঃখগুলো তিরিশোর্ধের বুকের ডানদিকটাতে
অসুখ, আর দুঃখগুলো তিরিশোর্ধের বুকের তিলটাতে
উঠে লাফ দেয় আমার বুকের উপর,
আমার বুকের উপর উঠে মাড়িয়ে দেয় হাড়-পাঁজর,
আর খান খান হয়ে যাওয়া বুক নিয়ে আয়নার
ভেতর কালো রঙ দেখি একটা দীর্ঘ ছায়া দেখি,
ছায়ার অপর পারে কালাপাতার আড়াল সরিয়ে
একটা আবছা মুখ দেখি,
চেনার মধ্যে অচেনারা হাসে,
আমার নবুয়ত লাভের বয়স পার হয়ে যায়।
আচ্ছা, আমিও তবে রাখাল বালক?
আমার হাতে বাঁশি, রাধিকার মনে পরকীয়ার যাতনা!
তিরিশোর্ধ মেয়েটির স্বপ্ন মুখ বাড়ায়,
মুখটা লাফিয়ে পড়ে শান্ত দীঘির জলে, বৃত্তকার টেউ
দৌড়ে এসে খামচে ধরে কাঁধ, তখন মেয়েটি দীঘির
তীর ভেঙে ঢেউগুলো বইয়ে দেয় নদীতে সাগরে,
স্বপ্নগুলো বইতে দেবে আকাশ পারে।
নদীর জলে শুভদৃষ্টি ফেলে ঢেউগুলো কুড়িয়ে
বুকে জড়িয়ে নিয়ে সুপ্রিয় কার্ল মার্ক্সের নাম নিয়ে
কেউ কী বলেছে তাকে- ‘চল আমরা ঘর ভরে তুলি!’
৩০.১২.২০১১, ঢাকা।