ভীষণ একটা অস্বস্তি অস্থির করে তোলে
চারিদিকে অশোভনের জয় জয়াকার ।
আমি বিদগ্ধ বিকারহীন মস্তিষ্কের মতোই
বার বার নিজের অনস্তিত্ব খুঁজে পাই।
এখানে অনিয়ন্ত্রিত লোকালয়ে আমরা ভীরু,
কাপুরুষতা মজ্জায় মজ্জায় বসত গড়েছে,
ঘুণে খাওয়া বিবেক বারংবার বলাৎকারে নিশ্চুপ।
বেজম্মাদের কামনার লালসাবহ্নি এখন লাগামহীন।
অচেনা কোন অপার্থিব ভাবনায় ডুবি
ভেসে যায় হিম কুয়াশার ডানায়, অশান্ত
শুন্য মনের গহীনে শিকড় গাড়ে,
লজ্জা ও অপমানের উতপ্ত লাভা- শ্বাস।
ভয়ঙ্কর অট্টহাসির দাপটে ধ্বংস হয়
পরিপূর্ণ নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের দৃশ্যপট।
সুস্পষ্ট ঘৃণার ছাপ পড়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষার পিঠে,
চন্দ্রগ্রহণে পরিসমাপ্তি ঘটে একটি স্বর্গমন জীবনের।
রক্তিম সুর্য্য, দিন শেষে বিদায় নিলে,
রেখে যায় অন্তিম কালের ক্ষুধিত অনল।
সর্বত্র এখন নগ্নতার দেয়াল লিখন
লজ্জা ছেড়েছে ঘর, করেছে বাহুল্য বচন।
শিকার এখন শিকারিকে হন্যে হয়ে খোঁজে,
কত জারজ বিবেক আপন খোলস ছেড়ে
নিষ্পাপ কুমারী কবিতা হয়ে ঝুলে রয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭