নৈর্ব্যক্তিকতা আসলে দুরূহ প্রাপ্য...আর এইকারনেই এই দেশে অনেক কিছু ঘটে...ইটের বদল ইট...ঢিলের জওয়াব পাটকেল...চিন্তার এই প্রক্রিয়াতেই গন্ডগোল হইয়া যায়। কোন ঘটনার অন্তর্নিহিত মর্তবা থাকতে পারে, চিন্তার ডিসকোর্স ভাঙনের প্যাটার্ন থাকতে পারে এইরম ভাবনার কোন অবকাশ দেখি না। সমস্যাটা আদৌ দেশের না সেইটা জানি, কিন্তু গড়পড়তা দেশরে গালি দিয়া দায়বোধ এড়াইবার কৌশলটা অনেক সাবলীল মনে হয় আজকাল।
নৈর্ব্যক্তিকতা নাই বইলাই চাইলের দাম বাড়লে সেইটা সোজাসাপ্টা ষড়যন্ত্রের আভাষ হয়...নৈর্বক্তিকতা নাই বইলা বিদ্যুতের ভোগান্তি সব আগের সরকারের দোষ হইয়াই চলে...নৈর্ব্যক্তিকতা নাই বইলা এই দেশে সন্ত্রাসীরা হিরো হয়, মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিষয় না হইয়া হয় বেচাবিক্রির পণ্য। নৈর্ব্যক্তিকতা নিয়া কথা কইতে গেলে যেই বিষয় চইলা আসে অবশ্যম্ভাবী সেইটা হইলো পুঁজির ব্যক্তিকেন্দ্রীকতার খেলা। পুঁজির এই ব্যক্তিকেন্দ্রীকতার সন্ত্রাসী মনোভাব থাকবোই...কিন্তু যেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মাত্র ৩৬ বছরের পুরানা, সেই দেশের সবাই আমেরিকান হইয়া একজন আরেকজনরে টপকানের কথা ভাবতে আছে...এইটা মাইনা নিতে কষ্ট লাগে...কলিজায় কর্কটের অবস্থান টের পাই।
ব্লগে আসতে পারি কম রুটি-রুজির কারনে। কিন্তু আসলে পর যখন নৈর্ব্যক্তিকতার একই অভাব দেখি তখন মনে হয় না আসাটাই ভালো ছিলো। রাশেদ আর এস্কিমো'র ব্যান কাহিনীটারে আমার আর কিচ্ছু মনে হয় না। মনে হয় কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিকেন্দ্রীক আক্রোশের একরম প্রকাশ। তাগো ইগো'তে আঘাত করছে রাশেদ আর এস্কিমো'র প্রতিবাদ...
আমি নিজে একসময় সংগঠন করছি সক্রিয়ভাবে...আর এই সাংগঠনিক পরিক্রমায় একটা বিষয় হাড়ে হাড়ে বুঝছি, তা হইলো নৈর্ব্যক্তিকতাই পারে কোন ক্ষেত্ররে মহত্তর কইরা তুলতে। এই ব্লগরে যেহেতু একভাবে ভালোবাসি...তারে ইগোর খেলাতে বিলীন হইয়া যাওয়া কোন ক্ষেত্র হিসাবে দেখতে চাই না। পুঁজির আগ্রাসনে আসা এই ইগো শেষতক মনে হয় ব্লগটারেও খাইলো...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯