তুমি ছিলে সিনড্রেরেলার মত-
কিংবা এলিসের মত ভুলোমনো.
হাসির দমকে তোমার মুখ চুল দিয়ে ঢেকে যেত,
আটপৌড়ে শাড়িতে যেন এক সত্যিকারের রূপকথা.
রাক্ষসদের ভীড়ে-
তুমি বড় অসহায় ছিলে,
ছিলে কি?
-হয়ত.
টাকা দিয়ে কিনে-
যৌতুক নিয়ে,
ওদের বেহায়া হাসিতে-
চারপাশে প্রতাপশালী এক রাসক্ষসকাল রাজত্ব.
রাজকুমারেরা চাকরি পেত না.
আহা,যদি এই রূপকথা কাল্পনিক হত-
বড় ভালো হত.
খোলা তরবারীর ঝিকঝিকে কোপে-
তোমাকে দেখতে এসে,
যে ৫০০ টাকার নোট দিয়েছিল,
তা দুভাগ করে দিতাম.
আধোচাঁদ রাতে,এক রূপোর কাঠিতে-
পৃথিবীকে ঘুম পাড়িয়ে- দুজনে পালিয়ে যেতাম,
ঘর বাধতাম-
সন্ধ্যার বিশুষ্ক জাফরান আকাশের নীচে-
ছায়াঘেরা অশ্বত্থের বিষন্ন কুয়াশায়-
তারাখসা এক লক্ষ নক্ষত্রের রাতে-
আমরা বসে থাকতাম.
তারারা খসে যেত.
এই শহরময় দালানের সোডিয়াম জোছনায়,
রূপকথার ধবধবে চাঁদ সাত সমুদ্রে ডোবেনি-
তুমি এই পৃথিবীর নিষ্ঠুর রূপসী ছিলে,
বিক্রি হয়েছিলে,ভুলোমনা এলিস হওনি.