ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে। আমার নিজের শহরে প্রতি সন্ধ্যা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই গ্রুপ, তিন গ্রুপের মারামারি। নতুন বাড়ি তৈরি করতে চাঁদা চাই, জমি কিনলে মিষ্টি মুখ করাতে হয়— ভাবতে কষ্ট হয় সুতার, বিদ্যুৎ মিস্ত্রি, রাজ মিস্ত্রিদের কাজ পেতে গেলে চাঁদা দিতে হয়।
আওয়ামীলীগ দৃশ্যপটে নেই। ওদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া ছিল এক গ্রুপ চাঁদা নিলে অন্য গ্রুপ দ্বিতীয়বার যেন না নেয়। এখন সেই বালাই নেই। সকালে একদল বিকেলে আরেক দল। আবার এলাকা নিয়ে নিজেরাই হানাহানিতে ব্যস্ত।
গ্রামে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনা জানলাম— আপনারা জেনে থাকবেন ছাগল ব্রিডিং করাতে যে পাঁঠার প্রয়োজন হয় সেগুলো সাধারণত দুঃস্থ-জনেরা পালন করে থাকে। তিনটি গ্রামের ঘটনা শুনলাম ওখানে সকালে এক দল চাঁদা নিতে যায় তো বিকেলে আরেক দল। তারপর আবার অসামাজিক(!) কাজের হুমকি। বাধ্য হয়ে তারা ব্রিডিং ফার্ম বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিন। দেশটাকে বাঁচান।
সরকার কিছুই করবে না। তারা পলিথিন, দিবস বাতিল নিয়ে আছে।
সেয়ানা জামাত এসব থেকে নিজেদের দূরে রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। মাঠের অবস্থা— বিএনপির জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে, উল্টো জামাতের বাড়ছে।
জামাতিরা যদি নির্বাচনে ভাল অবস্থায় চলে যায় এই দেশটা আর আমাদের থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৫