জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে তাদের মন খারাপ , সংস্কারে তাদের এলার্জি আছে ,পরিবর্তনের কথা শুনলেই সংবিধান এর দোহাই দেয় ,ছাত্র জনতার উপর তারা ভীষণ বিরক্ত। বয়স্ক গাভী যখন দুধ দেওয়ার ক্ষমতা হারায় তখন খামারিরা সেই গাভী মাংস ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।আমাদেরকেও এখন এই বুড়ো গরু গুলোকে সাইড করে দিতে হবে তা না হলে রাষ্ট্র সংস্কার কাজে এরা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
“একই অঙ্গে কত রূপ “ সেটা জাতীয় পার্টিকে না দেখলে বুঝা যাবে না । সকাল বেলা দলের নেতৃত্ব দেয় রওশন এরশাদ আবার বিকালে নেতৃত্ব দেয় জি এম কাদের। দেবর ভাবীর এই নাটক যে সাজানো সেটা দেশের মানুষ খুব ভালো করে জানে ।নির্বাচনের আগে জি এম কাদের কে ভারত ডেকে পাঠালো সফর থেকে ফেরার পর এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলো কি আলাপ হয়েছে উনি উত্তরে বললেন কি আলাপ হয়েছে সেটা বলা যাবে না ভারতের নিষেধ আছে।এখন জাতীয় পার্টি বলে তারা নাকি বাধ্য হয়ে ডামি নির্বাচিনে অংশ নিয়েছে। নিশ্চই সবার স্পষ্ট মনে আছে নির্বাচনের আগে আসন নিয়ে দেন দরবার করার জন্য সংসদ ভবনের পাশে এমপি হোস্টেলে আমির হোসেন আমু ও হানিফের সাথে চুন্নু পর পর তিন দিন দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং করে।
ডামি নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগ এর সাথে মহাজোট করার ঘোষণা না দিলেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির নির্ধারিত আসন গুলো থেকে তাদের প্রার্থী উঠিয়ে নেয়। বাজারে এমন কথাও শুনা যায় যে জি এম কাদের উনার স্ত্রীকে সংসদ সদস্য বানানোর জন্য সিনিওর নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ এর আসন বলিদান দিয়েছেন ।মজার বিষয় ডামি নির্বাচনের আগে মিডিয়ার সাথে চুন্নু কথা বলতো তখন জি এম কাদের কে দেখা যেতো না আর এখন জি এম কাদের কথা বলে কিন্তু চুন্নুকে দেখা যায় না ।
সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ ভোট হলে জাতীয় পার্টি কয়টা আসন পাবে ? আমার ধারণা দুইটা আসনে জিততেও কষ্ট হওয়া যাবে । এমন একটা নীতি বিবর্জিত রাজনৈতিক দল ছাত্র জনতার বিপক্ষে দাড়ানোর সাহস পেলো কথা থেকে ,স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পিছন থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে । জাতীয় পার্টির যৌবন শেষ এখন বার্ধক্য চলছে । পরবর্তী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে সেটা তাদের কর্মীরাও জানে ।গত বার মানোনয়েনের টাকা নিয়ে সিনিয়র নেতারা ভাগছিলো তখনই কর্মীরা নাকে ক্ষত দিয়া বলছে আর জাতীয় পার্টি করুম না ।
ঢাকায় শেষ কবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ হইছে বলেন দেখি আমার তো মনে পড়ে না ।মহা সমাবেশ আয়োজন করতে তো অনেক খরচ হয় । কর্মীদের বিরিয়ানি খাওয়ানো লাগে ,যাওয়া আসার খরচ দেওয়া লাগে , অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল ,মাইক ভাড়া করা লাগে ।এমন খরচ করার মতো জাতীয় পার্টিতে কোনো নেতা আছে -? আমি তো দেখি না । বুঝাই যাচ্ছে একটা ফ্লপ মহা সমাবেশ হবে জাতীয় পার্টিকে কেউ গণায় ধরে না ।