ভাগ্য আবদুল বারীকে ছেড়ে যাচ্ছে।
পূর্ব-বাংলার হাজারো মানুষের মত সে ভুল করেছে। ভয়ংকর ভুল। পাকিস্তানী আর্মির টহলদলের সামনে দিয়ে দৌড়ে দিয়েছে সে।
তার বয়স চব্বিশ। শুকনো শরীরের মানুষটিকে পাকিস্তানী সেনারা ঘিরে রেখেছে। যে কোন সময় গুলি খাবার আতংকে সে কাঁপছে।
সাধারনত ওরা যখন দৌড় দেয় তখনই আমরা ওদের মেরে ফেলি। কিন্তু কেবল তোমরা খাতিরে ওর পরিচয় যাচাই করছি। তুমি এখানে নতুন এবং এসব অবস্থায় ধারনা করছি তোমার পাকস্থলীর শক্তি বেশী না। আলাপের সুরে কথাগুলো বললেন ৯ম ডিভিশন জি-টু-অপস মেজর রাঠোর। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম মুদাফরগঞ্জ এর কাছের ছোট এক গ্রামের বাইরে। জায়গাটা কুমিল্লা থেকে ২০ মাইল দক্ষিনে।
প্রচন্ড উৎকন্ঠিত অবস্থায় আমি জিজ্ঞেস করি, কেন ওকে মারতে হবে ?
কারন সে হয়ত হিন্দু কিংবা বিদ্রোহী। তবে ছাত্র বা আওয়ামী লীগারও হতে পারে। তারা জানে আমরা তাদের খুঁজছি এবং প্রায়শই দৌড়ে পালাতে গিয়ে নিজেদের পরিচয়টুকু আমাদের কাছে প্রকাশ করে ফেলে।
কিন্তু ওদের মারতে হবে কেন? আর হিন্দুদের ওপরই বা এত ক্ষোভ কিসের?
তোমাকে কি মনে করিয়ে দিতে হবে কিভাবে ওরা পাকিস্তানকে ধ্বংস
করতে চায় ? এখন এই গন্ডগোলটার আড়ালে ওদের একেবারে শেষ করে দেবার অপূর্ব সুযোগ পাওয়া গেছে।
একটু থেমে ভেবেচিন্তে সে যোগ করে, অবশ্য আমরা কেবল হিন্দু ছেলেদেরই মারছি। আমরা সৈনিক। বিদ্রোহীদের মত কাপুরুষ না যে ওদের মত মহিলা ও শিশুদের হত্যা করব।
এভাবেই পূর্ব বাংলার সবুজ মাটিতে ছড়িয়ে থাকা রক্তের দাগের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম আমি। প্রথমে চলেছিলো বাঙ্গালীদের হাতে অবাঙ্গালীদের হত্যা। এখন চলছে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
পরিকল্পনা মোতাবেক যে পূর্ব বাংলার ৭৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হিন্দুরাই হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে তা নয়। সেই সাথে হাজার হাজার বাঙ্গালী মুসলমানদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এর ভেতর আছে বিশ্ববিদ্যালয়- কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং ২৬ শে মার্চ এ স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র তৈরীর জন্য বিদ্রোহ করা ১৭৬,০০০ বাঙ্গালী সৈন্য ও পুলিশের ধরা পড়া প্রতিটি সদস্য।
এপ্রিলের শেষের দিকে আমার পূর্ববাংলায় দশ দিনের অবস্থানকালে যা নিজের অবিশ্বাস ভরা চোখ আর কান দিয়ে যা দেখেছি আর শুনেছি তাতে তখনই এটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে কেবল মাঠে অবস্থানরত সেনা অধিনায়কদের একার সিদ্ধান্তে এমনটা হচ্ছে না।
অবশ্য কেবল পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা যে কেবল পূর্ব-বাংলায় হত্যাকান্ড পরিচালনা করছে তা নয়। ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেন্সরশিপ কর্তৃপক্ষ এ খবর প্রদান করে যে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত বাঙ্গালী সৈন্য এবং আধা-সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলো বিদ্রোহ করেছে এবং অবাঙ্গালীদের উপর নিষ্ঠুরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হাজারো হতভাগ্য মুসলিম পরিবার যাদের অধিকাংশ বিহার থেকে শরনার্থী হিসেবে ১৯৪৭ এর দেশভাগের দাঙ্গার সময় পাকিস্তানের এ অংশে এসেছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। মহিলাদের ধর্ষন করা হয়েছে। কিংবা তাদের স্তনগুলো বিশেষ রকমের ছুরি দিয়ে কেটে নেয়া হয়েছে। শিশুদেরও রেহাই দেয়া হয় নাই। তাদের ভেতর যারা সৌভাগ্যবান তাদের মা-বাবার সাথেই হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে চোখ উপড়ে নেয়া কিংবা হাত-পা ছিঁড়ে নেবার পর। ২০,০০০ চেয়ে বেশী অবাঙ্গালীর লাশ পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং যশোরের মত বড় শহরগুলোতে। পূর্ব বাংলার সর্বত্র আমাকে বলা হয়েছে সত্যিকার সংখ্যটা প্রায় ১০০,০০০; হাজারো অবাঙ্গালী যেন রাতের আঁধারে কোন নিশানা ছাড়াই হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে।
পাকিস্তানী সরকার বিশ্বকে প্রথম ভয়াবহতা জানতে দিয়েছে। যা সে চেপে গিয়েছে তা ছিল দ্বিতীয় এবং আগের চেয়েও বেশী ভয়াবহতা যা শুরু করেছিল তার নিজের সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে। পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের বেসরকারীভাবে হিসেবে উভয় পক্ষে মারা গিয়েছে প্রায় ২৫০,০০০ এবং হিসেবটা করা হয়েছে দুর্ভিক্ষ এবং রোগে মারা যাওয়াদের বাদ দিয়ে।
যে প্রদেশটিতে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশী বসবাস তা ধ্বংস করার ভেতর দিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার পূর্ব বাংলার সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান বাস্তবায়ন করে চলেছে।
আমরা পূর্ব পাকিস্তানের সকল সমস্যা এবং চিরজীবনের জন্য এর বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা দূর করার জন্য বদ্ধ পরিকর। যদি এর জন্য বিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং প্রদেশটিকে কলোনী হিসেবে ৩০ বছর শাসন করতে হয় তাও করা হবে - এ কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঢাকা এবং কুমিল্লার সামরিক ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তারা বারবার আমার কাছে করেছে। পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ নিপুনতায় পরিকল্পনাটুকু বাস্তবায়ন করে চলেছে।
আমরা যখন সূর্যাস্তের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে চাঁদপুর থেকে ছুটছিলাম (পূর্ব বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা রাতের আঁধারে ঘরের ভেতরে অবস্থান করে) তখন আমাদের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজারের পেছন থেকে একজন জোয়ান আচমকা বলে উঠে, ঐ যে এক লোক দৌড়াচ্ছে , সাহেব।
মেজর রাঠোর সাথে সাথে ব্রেক কষে গাড়িটাকে দাঁড় করায়। হাতে উঠে আসে গাড়ির দরজায় ঠেস দিয়ে রাখা চায়নার তৈরী লাইট মেশিনগানটা। ২০০ গজের থেকেও কম দূরত্বে ধানক্ষেতের ভেতর দিয়ে একটা মানুষ ছুটছে।
আমি চেঁচিয়ে বলি, খোদার দোহাই, গুলি করো না। সে নিরস্ত্র। হয়ত সে কেবলই গ্রামবাসী।
রাঠোর আমার দিকে অবজ্ঞা আর বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে সর্তক করে একটা গুলি ছোঁড়ে। মানুষটা সবুজ জমিনের ভেতরে লুকাতে যায়। দু’জন জোয়ান এর ভেতরই ওকে ধরে আনার জন্য এগিয়ে গেছে। রাইফেলের বাঁটের আঘাতের সাথে সাথে চলতে থাকে প্রশ্নোত্তর।
তুই কে?
দয়া করেন সাহেব। আমার নাম আবদুল বারী। ঢাকা নিউমার্কেটে দর্জির কাজ করি।
মিথ্যা বলবি না। তুই হিন্দু। না হলে দৌড়াবি কেন?
কারফিউর সময় হয়ে এসেছে সাহেব। আমি দৌড়ে গ্রামে যাচ্ছিলাম।
সত্য কথা বল। কেন দৌড় দিয়েছিলি?
মানুষটা উত্তর দেবার আগেই একজন জোয়ান অস্ত্রের খোঁজ শুরু করে অন্যজন টান দিয়ে লুঙ্গিটা খুলে নেয়। অস্থি সর্বস্ব শরীরে খতনার চিহ্ন দেখা যায়। মুসলমানদের জন্য খতনা করা আবশ্যিক।
এটা অন্তত বুঝা গেল আবদুল বারী হিন্দু না। জেরা চলতে থাকে। বল। কেন দৌড়াচ্ছিলি?
এবার ভীত সন্ত্রস্ত বারী কোন উত্তর দিতে পারে না। হাঁটু ভেঙ্গে বসে পড়ে সে। পা জড়িয়ে ধরে সে।
জেরায় সহায়তাকারী যে জোয়ানের পা ধরে বারী বসে আছে সে বলে, একে তো ফৌজির মত মনে হচ্ছে ( উর্দুতে ফৌজি বলতে বোঝায় সৈনিক। মেলেটারী বাঙ্গালী বিদ্রোহীদের এ নামেই ডাকে)।
আমি শুনতে পেলাম রাঠোর বিড়বিড় করে বলছে, হতে পারে।
রাইফেল এর বাঁট দিয়ে আবদুল বারীকে আরও কয়েক ঘা দিতে দিতে ওকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হল একটা দেয়ালের কাছে। সৌভাগ্যবশত তার চিৎকার শুনে দূরের এক কুঁেড়র ভেতর থেকে একটা মাথা উঁকি দেয়। বারী তাকে চেঁচিয়ে বাংলায় কিছু বলে। মাথাটা উধাও হয়ে যায়। দু-চার মূর্হুত পর সাদা দাঁড়ির একজন বৃদ্ধ মানুষ দৌড়ে আসে। রাঠোর তাকে থামায়।
তুই একে চিনিস ?
জ্বি, সাহেব। ওর নাম আবদুল বারী।
ও কি ফৌজী?
না ,সাহেব। ও ঢাকায় দর্জির কাজ করে।
সত্য কথাটা বল।
খোদার কসম সাহেব। সে একজন দর্জি।
হঠাৎ জায়গাটা নীরব হয়ে আসে। এর ভেতর যখন আমি তাকে বলি, খোদার ওয়াস্তে ওকে যেতে দাও। ওর নির্দোষতা প্রমানের জন্য আর কি প্রমাণ লাগবে - তখন রাঠোর বিরক্ত হয়।
জোয়ানরাও সন্তুষ্ট হতে পারে নাই। ওরা তার চারপাশে ঘুরঘুর করছে। আবারও আমি যখন রাঠোরকে অনুরোধ করলাম কেবল তখনই বারীকে ছেড়ে দেবার জন্য সে হুকুম দিল। বারী মুক্তি পেল। এর ভেতরে বারী আতংকে কুঁকড়ে গেছে। মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে। কিন্তু তার জীবনটা রক্ষা পেল।
অন্যরা তার মত এত সৌভাগ্যবান না।
টানা ছয়দিন কুমিল্লার নবম ডিভিশন হেডকোয়ার্টারের আর্মি অফিসারদের সাথে থেকে আমি দেখেছি হত্যার মাত্রা। গ্রামের পর গ্রাম খুঁজে খুঁজে হিন্দুদের বের করে হত্যা করা হত। শরীরের ছোট হাতটুকুতে খতনা করা আছে কিনা তা দেখেই গুলি করা হত ওদের। মৃত্যু যন্ত্রনায় চীৎকার করতে থাকা মানুষগুলোর আতনার্দ শুনেছি কুমিল্লা সার্কিট হাউসে কম্পাউন্ড থেকে। আমি দেখেছি ট্রাকে তোলা হয়েছে মানুষ্য নিশানাগুলোকে। আমি দেখেছি শহরে ও গ্রা থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দেবার পর আর্মি ইউনিটগুলোর কিল এন্ড বার্ন মিশনগুলোর নিষ্ঠুরতা। দেখেছি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের নামে কিভাবে পুরো গ্রাম ধ্বংস করে দেয়া হত। অফিসার্স মেসে বসে রাতের বেলা শুনেছি অন্যসময়ের সাহসী ও সম্মানিত মানুষগুলো কি অবলীলায় আলাপ করছে নিজেদের কৃত হত্যাগুলো নিয়ে। প্রশ্ন করছে, আজ কয়টা হল?
উত্তরগুলো আমার স্মৃতিটাকে ছ্যাঁকা দিয়ে গিয়েছে।
পশ্চিম পাকিস্তানী অফিসারদের ভাষায় এ সব কিছুই করা হয়েছে কেবল পাকিস্তানের অখন্ডতা, ঐক্য এবং আদর্শকে রক্ষা করার জন্য। ওগুলো রক্ষার জন্য তখন বড্ড দেরী হয়ে গিয়েছে। যে সামরিক ব্যবস্থা দেশের দু’অংশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য নেয়া হয়েছে, সে ব্যবস্থাই হাজার মাইলের ভারতীয় ভূ-খন্ড দ্বারা বিচ্ছিন্ন দু-অংশের আবেগ ও আদর্শগত অবস্থানকে একেবারেই সম্পূর্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। পূর্ব বাংলা এখন কেবল মাত্র সামরিক বাহিনীর শক্ত হাতের মাধ্যমেই পাকিস্তানে যুক্ত থাকতে পারে। এবং সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হল পাঞ্জাবী যাদের সাথে ঐতিহ্যগত ভাবে বাঙ্গালীদের সম্পর্কটা কেবলই ঘৃণার।
দুই অংশের ভেতর ভাংগনের প্রক্রিয়া এতটাই সুসম্পন্ন হয়েছে যে খুব অল্প ক’জন বাঙ্গালীই নিজ ইচ্ছায় কোন পশ্চিম পাকিস্তানীকে সংগ দিতে ইচ্ছুক। এমনি এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি আমি আমার শেষ ভ্রমনের সময় হয়েছিলাম যখন বহুদিনের পুরানো এক বাঙ্গালী বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাই। মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সে আমাকে বলে, দুঃখিত। সময় পাল্টে গেছে। যে পাকিস্তানকে তুমি আর আমি জানতাম তা এখন আর নেই। ওটাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের জন্য ভাল।
ঘন্টাখানেক পর এক পাঞ্জাবী আর্মি অফিসার অবাঙ্গালী হত্যাকান্ড নিয়ে আমার সাথে আলাপকালে বলে, এরা আমাদের সাথে ১৯৪৭ এ দেশভাগের দাঙ্গার শিখদের চাইতেও জঘন্য ব্যবহার করেছে। কিভাবে আমরা এদের ভুলে যাব বা ক্ষমা করব?
সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর এ অপারেশনে প্রধান দুটো বৈশিষ্ট্য। গনহত্যার মোড়কে পরিচ্ছনতা অভিযান। অন্যটা হল পূর্নবাসন। এভাবেই পূর্ব বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তানের ইশারায় চালিত কলোনী বানাতে চায় তারা। বিশ্বকে বোঝাবার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে দুটি শব্দ। বিচ্ছিনতাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী। সরকারী এ প্রোপাগন্ডার আড়ালে চলছে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে কলোনী বানাবার প্রক্রিয়া।
এপ্রিলের ১৮ তারিখ এক রেডিও সম্প্রচারে হিন্দুদের শেষ করে দেওয়ার ব্যাপারে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক গর্ভনর লে.জেনারেল টিক্কা খানের যুক্তি আমি শুনতে পাই। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিমরা, যারা পাকিস্তানের তৈরীতে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল , তারা এই পাকিস্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু এই বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের আকাঙ্খাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে নিয়ন্ত্রন করেছিল জঙ্গী এবং আগ্রাসী সংখ্যালঘুরা যার উপর ভর করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংসাত্মক পথ গ্রহন করেছে।
অন্যরা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় আরও ভোঁতা যুক্তি গ্রহন করেছিল। (চলবে , , , , , , )
(Genocide- Anthony Mascarenhas , The Sunday Times, June 13, 1971 )