মেয়েদের স্বাধীনতা ও তার পড়ালেখা, কাজ ও পরবর্তিতে সংসার ধর্ম। সমাজে যেন শ্রেনীবিন্যাসকরন চলে বিবিধ ভাবে। এই বিবিধটা আমার একদম পছন্দ না।
যেহেতু মেয়েটি পড়ালেখা করে নাই, তাই সে কিছু করতে পারবে না জীবনে। যে একান্তই ভুল কথা । যেহেতু মেয়েটি পড়ালেখা করেছে তাই মেয়েটি স্মার্ট।
স্মার্ট ও ওভারস্মার্ট নিয়ে যখন দ্বন্ধ , এরপর দ্বন্ধ শুরু হয় মেয়েটি কততা সতী।
এ যুগে কোন মেয়ে ছেলেদের সাথে কথা না বলে বড় হয়েছে এমন কোন মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ছেলেদের সাথে কথা বললে কি হয়? পড়ালেখা ও একসাথে যদি ছেলেদের সাথে কাজ করে তাহলে কি হয় ?
আচ্ছা মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত হয়েছে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা কোন বিষয়ে মাস্টার্স পাশ করেছে তাই সে ঘরের কোন কাজ পারে না । সে নিজের টাকা নিজে কামাবে আর তার স্বামী টাকে কোন ভরনপোষন দিবে না।
এমন কিছু উদ্ভট সংঙ্গা দাড়াচ্ছে। একটা মেয়ে যদি পড়ালেখা ভাল করে , সব কাজে পরদর্শী হয় তাহলে সে কেন তার স্বামীর ভরনপোষন পাবে না?? আর মেয়েটি ভাল লেখাপড়া করেছে দেখে সে অনেক বেশী আধুনিক এমন ভাবার কি কারন তাও বুঝি না।মেয়েটি বাবা মায়ের সেবা করে, পাড়া প্রতিবেশির উপকার করে , সহপাঠী ও ছোট ভাই বোনদের স্নেহ করে তাই বলে এ গুনগুলো শিক্ষিত মেয়ের মধ্যে থাকতে পারবে না তাতো কোথাও লেখা নাই।
কোন ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে যদি বাসায় রান্না বান্না করে ঘরের কাজ করে ও চাকুরীও করে সেটা সে করবেই । ভাল মেয়েরা সব কাজে পারদর্শী হয়। তাই বলে কি সে বাকী আর পাচটা মেয়ে যেমন স্বামীর সোহাগ ও ভরন পোষন পায় তা থেকে কি বঞ্চিত হবে। এখনকার মেয়েদের মূল্যায়ন যেন ছেলেরা করতেই চাচ্ছে না । তারা ভাবছে সেই মেয়েটি নিজের খরচ নিজে চালাবে।কিন্তু কিছু কর্তব্য আছে যা সেই স্বামীকেই করতে হয়। বাচ্চার দুধের টাকা যদি কোন স্বামী যদি না দিতে পারে তার নিজের সামর্থ থাকা স্বত্তেও তা খুব দুখজনক।
একটা কাহিনী বলি। গ্রামীন ব্যাঙ্কে জব করা এক মেয়ের সাথে স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাঙ্কের ছেলের সাথে বিয়ে হল। ছেলেটার গুলশানে বাড়ি মেয়েটার ধানমন্ডিতে বাড়ি।
হীরার সেট দিয়ে বিবাহ হল। খুব ধুমধাম । কিছু দিন পরে মেয়েটির বাবু হওয়ার পর থেকে বাপের বাড়িতে আসা শুরু হল। ছেলেটার বাবা মা নাকি বাবুটিকে দেখতে পারে না । এরপর বাবুর দুবছর হওয়ার পর শোনা গেল বাচ্চার সমস্ত ভরনপোষন ও খরচ সব নাকি মেয়ের চাকুরী থেকে চালাতে হয়। এত বড়লোকের মেয়ে এত বড়লোকের ছেলে তাদের এত বেতনের জব করে অথচ মেয়েটিকেই তার বাচ্চার দুধের টাকা জোগার করতে হয়। আমাদের আব্বা আম্মাদের যুগে দেখতাম আব্বাই সব চালাতেন। আম্মাকে কোনদিন শুনি নাই তোর বাপ আমাকে কিছু দেয় না ।
এখনকার মেয়েরা এত শিক্ষিত জব করে অথচ ওদেরকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে একটা কুত্তা বিলাইকেও এভাবে মূল্যায়ন করে না । আর সারাক্ষন ছেলেগুলি মেয়েগুলির থেকে খালি নেওয়ার জন্য অস্থির থাকে। কি জামানা চলে আসল।
মেয়েটা এত কষ্ট করে পড়ছে ওর বাবা মা ওকে কত কিছু দিয়ে বড় করেছে অথচ ছেলের বাবা মা ও ছেলে মেয়েটার কোন মূল্যায়নই করছে না ।
আমরা শিক্ষিত মেয়ে দেখে কি আমাদের স্বামী আমাদের দেখবে না , আমাদের ভরনপোষন ও বাচ্চার দায়ভার নিবে না ??
প্রশ্ন রইল সমাজের কাছে ??