এবার আমাদের এখানে খুব স্নো পড়েছিল, অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশী। এক রকম বিরক্তিই চলে এসেছিল,..কাজ না থাকলে বরফপড়ার রুপ দেখতে ভালই লাগে! কিন্তু আমার তো প্রতিদিনই বের হতে হয়,-- রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাল থাকেনা, পার্কিং এর বেহাল দশা! এখন একটু ভাল ওয়েদার, মোটামুটি পরিস্কার আকাশ, ঠান্ডা অবশ্য এখনোও প্রকট!
ব্লগে কম লিখি এখন, মাঝেমাঝে সবার লেখায় চোখ বুলিয়ে যাই শুধু---কি হবে লিখে? খুবি আলসেমী লাগে, সারাদিন কাজের পরে রাতে একটু অবসার পেলে নেটফ্লিক্সে কিছু দেখি..অবশ্য প্রায়দিনই সোফায় টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যাই, গভীর রাতে ঘুম ভেংগে গেলে উপরে চলে যাই আবার ঘুমাতে---বড় নিথর, নিরব এলাকা আমাদের..যেন কোন জনমানব নেই! মেয়ে বাসায় আসলে একটু ভাল লাগে,-- ওর কথা, হইচইয়ে বাসাটা একটু ভরাভরা লাগে। বাচ্চারা হোস্টেলে চলে গেলে শুধু আমরা দুজন..পাথর সময় যেন, কাটতেই চায়না কিছুতেই!
সেদিন কাজ থেকে ফিরে নীচ তলার ফ্যামিলি রুম থেকে শেষ বিকেলের আলো দেখছিলাম,... একটা মন খারপ করা সৌন্দর্য্য নিয়ে আমার ব্যাকইয়ার্ড টা সাদা স্নো তে মায়াবতী রুপে সেজেছিলো, একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো আমার শুন্য বুক থেকে! কি ভাবে কাটিয়ে দিলাম এতগুলো বছর প্রবাসে! ..তবু কত মায়া আমার এই নিজস্ব আংগিনা টুকু ঘিরে!...এক শিকড় ছিঁড়ে আরেক শিকড়ে আবার নিজেকে কখনো গাঁথা যায়?
আমার ফোনের ক্যামেরায় তোলা শেষ বিকেলের ছবিটা!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৫০