খুলনা থেকে রওয়ানা হওয়ার পর।
নীচ থেকে রূপসা ব্রীজ
কোন মিল টিল হবে আরকি
সোনালী সূর্যের আলোয় সোনালী নদী
দূর থেকে সুন্দরবন
সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল
হাড়বাড়িয়া পয়েন্ট
আমি আর আমার এক সম্পর্কে ভাই অন্যরা রওনা হওয়ার আগেই এদিকে ঢুকে পড়েছিলাম। তাকে বললাম, যদি অন্যরা বা ফরেস্ট গার্ডরা কিছু বলে। সে বলল, চিন্তার কিছু নাই। এই এলাকার সব ফরেস্ট অফিসার, গার্ড সবার সাথে আমার খাতির আছে। একটু পর রাইফেলধারী ফরেস্ট রেন্জার অন্যদের নিয়ে এসে আমাদের যখন ঝাড়ি দিল, আমার সেই ভাই তখন মিনমিন করে বলল, "স্যরি"। মেয়েদের সামনে ঝাড়ি খাওয়ার টেস্ট খুব একটা ভালোনা।

এটা কোন সাধারন কাঁকড়া না, এটা অসাধারন। কারন অন্য কাকড়া থেকে এটার চেহারা কিছুটা আলাদা।

এই গুড়িটার ভিতরে বলে কিছুদিন আগে একটা বাঘিনী ডিম দিয়েছে থুক্কু বাচ্চা দিয়েছে।
গভীর জঙ্গল
বনের ভিতর একটা খালে ফোটা শাপলা
এরপর লঞ্চে উঠে ভরপুর খাওয়া দাওয়া। তারপর করমজলের উদ্দেশ্যে রওনা। স্রোত অনুকুলে থাকায় ২ ঘন্টার মধ্যে করমজলে পৌছায়ে গেলাম। আগেরবার করমজলে এসে ফাঁকা দেখেছিলাম। অফসিজন ছিল। কিন্তু এবার বেশ ভীড়।
করমজলের সামনেই রাখা বাঘের কঙ্কাল
হরিনের মাথা আর কুমীরের মাথা আর ডিম
একবার ঝাড়ি খেয়েছি তাতে কি, আবার বনের গভীরে ঢুকে পড়লাম। বেশ দূর থেকে লুকিয়ে তুললাম এই বন্য হরিনের ছবি
এইবার ব্যাটা আমাকে দেখে ফেলেছে। ছবিটা তোলার পরপরই ভোঁ দৌড়।
বেশ নামকরা একজন ব্লগারের "কুমীর দর্শন" নামক একটা পোষ্ট পড়েছেন নিশ্চই। এটা সেই রোমিও। জুলিয়েট কে দেখতে পাইনি।
আগেরবার এদের মধ্যে কেউ একজন আমাকে ধাওয়া করেছিল। বাট দিস টাই আই টেক মাই রিভেন্জ। আমি এদের একটাকে এবার ধাওয়া করেছি।

বুনো বাঁদরের পানি পান
পোষা ছোট্ট হরিণশাবক
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে আর টিনটিন তোলে সূর্যাস্তের ছবি।
আমার দেখা সেরা সূর্য়াস্ত
আশা করি আপনাদের দেখাও অন্যতম সূর্যাস্ত এটা
আর নীচে নেমেন না এবারের মতো টিনটিনের সুন্দরবন ভ্রমন এখানেই শেষ।
