
ঠাঠা গরমে ইচ্ছে হলো ঘুরে আসি বান্দরবানের জাদিপাই থেকে।

ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান শহর হয়ে চলে এলাম রুমা বাজার।

এই হোটেলে রাতে থাকলাম।

খেলাম এই হোটেলে।

আর ইনার নামই মামুন ভাই।

নৌকা এবং চান্দের গাড়ির লিষ্টটা আপলোড হলেও রুমা থেকে গাইড নেওয়ার লিষ্টটা কিছুতেই আপলোড হলো না।

সন্ধ্যার আগে রিজুক ঝরনা দেখার ইচ্ছে হলো।

আর এইটাই রিজুক।

রিজুকে পোজ দিলেন একজোড়া ডাক্তার।

সকাল সকাল বগা লেকের উদ্দেশ্যে চান্দের গাড়িতে রওনা দিলাম।

যেতেপথে চান্দের গাড়ির যাত্রা বিরতি। এখানে চা চু খাইলাম।

বগা লেকের নিচে ওইখানে আমাদের নামিয়ে দিল। এইটুকু পাহাড় বেয়ে উঠতেই হবে।

উঠে আসতে পারলেই আর্মি ক্যাম্পের পাশের রাস্তাটি দেখতে পাবেন।

আর এটাই বগা লেক।

বগা লেকের ওইপাড়ে মারমা পাড়ার উপরে নতুন বাজার।

আর ওই যে সেই মারমা পাড়া।

এবার পুরোটা একবারে দেখুন।

বগা লেকের কালো কালো কুকুর-বিড়ালের মিছিল।

দুপুরে রওনা দিলাম দার্জিলিং পাড়ার উদ্দেশ্যে।

চিংড়ি ঝরণায় হালকা বিশ্রাম। রোদে মগজ ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছে।

রাহাদ দুর থেকে কেউকারাডং এর ছবি তুলে নিলো। বর্ষা বা শীতে এখানেই মেঘ জমে থাকে।

শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যে নাগাদ দার্জিলিং পাড়া এসে পৌছুলাম। সে এ কষ্টকর হাটার অভিজ্ঞতা হলো আমাদের।

সন্ধ্যে নেমে এলো দার্জিলিং পাড়ায়।

এই পিচ্চিটার সাথে যখন খেলছিলাম তখন রান্নার ব্যবস্থা হচ্ছিল। সারাদিনে তেমন কিছু পেটে পড়েনি।

এই ঘরেই রাতে ছিলাম।

সকালের আলোয় দার্জিলিং পাড়ার সেই ঘরটি।

আর এ হল গাইড বেলাল।

আমার দেখা পাহাড়ের সবচেয়ে পরিস্কার এবং সুন্দর পাড়া।

দার্জিলিং পাড়ার দুজন কারবারীর একজন।

কারবারির বাড়ির উঠানে জীবনে প্রথম ব্লাকবেরী গাছ দেখলাম। ওরা এই ফলটা খায়না। এটা খেলে নাকি মানুষ পাগল হয়ে যায়। আমি টপাটপ কটা মুখে পুরে দিলাম।

ব্লাকবেরী গাছের মালকিন।

এবার কেউকারাডং যাত্রা। পেছনে দার্জিলিং পাড়া।

এইটা সবারই চেনা।

এই ছবিটাও চেনা।

কেউকারাডং এর ডেনজার ম্যান লালার ফোন নম্বর এটি। তার দাপটে আশপাশের গ্রামে কোন টুরিস্ট থাকতে পারে না।

কেউকারাডং থেকে নেমে আসলেই পাসিং পাড়া।

পাসিং পাড়ায় চা নাস্তা খেয়ে নিলাম।

পাসিং পাড়া পার হলে একটা স্কুল আছে। যায়গাটা হলোগিযে পাহাড়ি পথের জংসং।

পথে দেখা হয়ে গেল ময়নার সাথে। ওদের জন্য মনটা খারাপ হলো।

প্রায় ঘন্টা দুয়েক অমানুসিক হেটে আমরা পৌছুলাম জাদিপাই পাড়ায়।

এটা পাড়ার চার্চ।

জাদিপাই পাড়ায় হালকা বিশ্রাম নিয়ে চললাম আমাদের শেষ গন্তব্য জাদিপাই ঝরনায়।

দুর থেকে ঝরনার ছবি লুফে নিচ্ছে রাহাদ।

গরম থেকে রোহাই পেতে ঝরণার শীতল পানিতে গলাডুবে বসে থাকলাম।

মিশন শেষ তবে এতটা পথ আবার ফেরত যেতে হবে ভেবে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

হাটতে হাটতে জুতার এই হাল।

আর এটা হলো দার্জিলিং পাড়ার গৌরব। আমাদের নতুন বন্ধু এবং জুতোর মালিক।
এই পুরো ভ্রমণটাই আপনারা বাংলারপথে দেখতে পাবেন।
আপাতত আজ বিদায় নি।
সবাই ভাল থাকুন সুখে থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:২৮