যমুনা ফিউচার পার্কে গেলাম। ইচ্ছা ছিল ব্যাট ম্যান ভার্সেস সুপার ম্যান মুভিটা দেখব। মুভির টিকেট শেষ। একপ্রকার বাধ্য হলাম দ্যা গড অফ ইজিপ্ট মুভির টিকেট কিনতে। সিনেমা শুরু হল। আমি চোখের সামনে এসব কি দেখছি?
রাজপুত্র হোরাসকে রাজা ঘোষণা করা হবে। তার চাচা সাইরাস এসে রাজাকে হত্যা করে। আর ভাতিজা হোরাসের চোখ তুলে ফেলে। অন্ধ হোরাস পড়ে থাকে পিতার কফিনের পাশে।
সাইরাস হয়ে ওঠে শৈরাচারী। আমাদের দেশের মত একে একে সমস্ত ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে শৈরাচারী সাইরাজ।
রাজ্যের বারটা বাজে। কিন্তু শক্তিকে কুক্ষিগত করার মোহটা কাটেটা সাইরাসের। সে ভাতিজার চোখ নিজের চোখে লাগায়। বোনের ডানাকে নিজের পিঠে বসায়। আর শক্তিমান দাদাকে হত্যা করে তার অস্ত্রটিও কেড়ে নেয়।
দ্যা গড অফ ইজিপ্ট মনে হবে বাংলাদেশর গল্প। এখানো ক্ষতবিক্ষত হোরাস আছে! আছে ভেংগেপড়া জনপদ। আছে চাটুকার বেঈমান। আছে শক্তিশালি কালোসাপ আর সাদাসাপ। যারা নিজের নেজে আগুন দিয়ে আত্মহনন করার জন্য রেডি। দ্যা গড অফ ইজিপ্ট কোন সিনেমা না। এটা শৈরাচারের চলমান ডকুমেন্টারি। যার শুরু আছে আছে পরিনতি।
তবে দ্যা গড অফ ইজিপ্ট কোন নির্মাতার কাজ মনে হবে না। ইজিপ্টের পিরামিডের মতই রহস্যময় শিল্পিকর্ম। পরিচালককে এই মাটির পৃথিবীর কেউ না। তার বুদ্ধিমত্তা সময়কে ছাড়িয়েছে। স্যালুট দ্যা গড অফ ইজিপ্ট টিমকে।