কথা নেই বার্তা নেই গত কয়েক বছর যাবত আলুবাজারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এই বছর আলুবাজারের আগুন এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যাতে করে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যব্ত্তি ও মধ্যব্ত্তি পরিবারের জন্য হয়েছে বিপদ। আজ তারিখ: ০৮-১১-২০২৪ইং রোজ শুক্রবার, খুচরা বাজারে আলুর দর ৭৫ টাকা কিলোগ্রাম! বিগত কয়েক বছর যাবত আলুর দর সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কিলোগ্রাম পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু এই বছর বিপদ সীমা অতিক্রম করে ৭৫ টাকা কিলোগ্রাম ছুয়ে গিয়েছে! অথচ প্রান্তিক পর্যায়ে যারা কৃষক আছেন তারা আলু কতো করে বিক্রয় করেছেন?
বৃষ্টি ও বন্যার ভয় সহ দেশের সামগ্রিক অস্থিতিশীলতা’র কারণে আলু চাষে কৃষকদের এই বছর কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তাছাড়া, যদিও বাজারে নতুন আলু আসা শুরু হয়েছে তবে তা সাধারণ পরিবারের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরেই আছে। শখ করে হয়তো অনেকে এক কিলোগ্রাম নতুন আলু ক্রয় করে নিতে পারবেন, কিন্তু প্রায় প্রতিদিন ১৪০-১৬০ টাকা কিলোগ্রাম দরে আলু ক্রয় করা সহজ কথা না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আলু বাজার সহজ হয়ে আসবে। তবে এখনও হাতে প্রায় ৩০ দিন আছে, যাতে করে আলুর দর হয়তো আরোও বেড়ে যেতে পারে। সর্বশেষ খবর, ভারত ও মিয়ানমার হতে হাজার হাজার টন আলু আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলুবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বেশ কিছু বাংলা ব্লগ, ফেসবুক সহ অনলাইন পত্র পত্রিকাতে অনেকেই লেখালেখি করেন। যা নিয়ে লেখালেখি করেন তার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো হচ্ছে - বিরহ প্রেম ভালোবাসা, ভ্রমণ, আড্ডা, হোটেল রেষ্টুরেন্টে হাভাতে’র মতো ভক্ষণ, গল্প, কবিতা সহ রাজনীতি ও ধর্ম। - দুঃখজনক হলেও সত্য লেখাগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের ও রুচির দুর্ভিক্ষ বহন করে।
প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম, ও বিশেষ কলাম ব্যতিত অন্যত্র নিত্যপণ্য খাদ্যদ্রব্য চাষাবাদ, বাজার দর, বাজার নিয়ন্ত্রণ, হিমাগারে সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি হতে আমি তেমন লক্ষ্য করিনি। হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ব্লগ ও অনলাইন পত্র পত্রিকাতে যারা লেখালেখি করেন তাঁদের খাদ্যপণ্য নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। জীবনে হয়তো খাদ্যপণ্যের সমস্যা নেই। প্রতিবেশী ও সমাজ নিয়ে ভাবতে হয় না। - সমস্যা আছে প্রেম ভালোবাসা ও বিরহে, সমস্যা আছে ধর্মকর্মে, আর তাই হয়তো উক্ত বিষয়ে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। অথবা খাদ্যপণ্য বিষয়ে লেখালেখি করার মতো পর্যাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের অভাব! অথবা তাঁদের ভাত খেতে হয় না, তাঁরা চা খেয়ে জীবন যাপন করেন, মনে হয়।