"সাইফুর রহমান বাথরুমে বসিয়া বসিয়া ছেরি দেখে" সেই গল্পখানা পড়িয়া আমারও একখানা গল্প মনে পড়িয়া যায়।
একবার আজাদ সাহেব ভার্সিটি থেকে ফিরছিলেন অন্য পথে। হঠাৎ সাইফুর সাহেবের সাথে দেখা। জিজ্ঞাসা করিলেন - কি আজাদ সাহেব আইজগা ভার্সিটি যাননাই। আজাদ সাহেব কয় - গেছিলাম। সাইফুর জিগাই তয় ইখান দিয়া কোথা থাইককা আসিতেছিলেন। আজাদ সাহেব জবাব দিল - পুরি খাইতে গেছিলাম। সাইফুরতো হতবাক! চোখ তাহার কপালে উঠিয়া যায়। এদিক ওদিক থাকায়। কন কি মিয়া, এ বয়সে পুরি হাইবার যাও? আজাদ সাহেব কয়- তয় অসুবিধাটা কোথায়? আমিতো ডেইলি পুরি খাইতে যাই। সাইফুর রেগে কয় মিয়া তুমি এতো বড় সম্মানি মানুছ হইয়া ডেইলি পুরি হাইবার যাও। তোমার ডর করেনা। আজাদ সাহেব বলিল অসুবিধা নাই সাথে গ্যাষ্টিকের অষুধ নিয়া যায়। সাইফুরের মাথা গরম বিধায় গ্যাষ্টিকটা শুনিলনা। অষুধটাই শুনিল। বলিল - কি ? অষুধও নিয়া যাও? আজাদ সাহেব কয় - কি করব সইতে পারিনা। রাগ কর ক্যান, সামনে থেইককা তোমারে নিয়া যামু। সাইফুরতো রেগে মেগে আগুন। মিয়া তুমার লজ্জা হরেনা। ঘরে ভাবিরে রাইকখা তুমি রোজ পুরি খাইতে যাও। আজাদ সাহেব কয় - আরে তোমার ভাবিরে আবার কইতে যাইওনা। রাগ কইরব। লোভ সামলাইতে পারিনা। গলির দোকানের ছনা মিয়ার তেলে ভাজা পুরি খাইতে না পারলেযে আমার রাতে ঘুম হয়না। সাইফুরতো এবার আকাশ থেকে পড়ল। মনে মনে লজ্জা পাইয়া যায়। ধুরু মিয়া আমিতো ভাবতাছিলাম আমাগো পুরি...............। এবার দুজনেই হাসিতে গড়া গড়ি খায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৫০