এঘটনার বাংলাদেশের সব ধরনের মিডিয়া জগত তোলপার, বিভিন্ন পত্রিকার বরাত দিয়ে বিষয় টি উপস্থাপন করছি এবং সাথে ধিক্কার জানাচ্ছি সেই পশুদের যারা এই কাজটি করেছে।১৩ বছরেরর একটা শিশু। শিশুটিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেদম প্রহার করছে ৪ যুবক। যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদছে শিশুটি। শিশুটির নাম রাজন।রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নাকি চুরি করতে গিয়েছিলো। এই তুচ্ছ অভিযোগে বিভৎস নির্যাতন চালিয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।একনাগাড়ে প্রায় ১৬ মিনিট রাজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রোল দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে মাটিতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে পানি খাওয়ার আকুতি জানায় রাজন। কিন্তু পানির বদলে ‘ঘাম খা’ বলে মাটিতে ফেলে রাখা হয় তাকে।
শিশুটিকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এবং এতে দেখা যাচ্ছে যে অসহায় শিশুটি কাতর ভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি করছে কিন্তু এই চার নরপশুর কিছুতেই মন গলেছে না।
তাই তো ইতিহাসের পাতা উল্টাতে চলে গেলাম, সেই আরবের বরর্বর যুগে, যেখানে কন্যা শিশু জন্ম নিলে জীবন্ত কবর দেয়া হত।বিনা বিচারে হত্যা করা হত,মানুষের মুল্যবোধ ছিলো না মানুষের মাঝে।কিন্তু এখন আমরা সভ্যতার জগতে আর এই সত্য সমাজে অসভ্য কাজ দেখে মনে হয় এখনো হাজার বছর পিছনে পরে আছি,পরে আছি আমরা বাঙালী,আমরা কি এখনো সভ্য জগৎ এ আসতে পারনি।উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় একটা পাখি মারলে তারও হিসেব দিতে হয়,একটা পাখি মারলেও কঠিন সাজার বিধি বিধান আছে।
আজ মানবতার চরম অপমান করা হয়েছে,এভাবে আর কত কি হচ্ছে তার কতই বা হিসেব আছে আমাদের কাছে,পত্রিকার পাতা উল্টালে প্রতিদিন কত কি যে দেখতে পাই তার হিসাব রাখার জন্য একটি supper computer এর দরকার হবে। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোন রাজন না মরে,রাজন হত্যার সুষ্ট বিচার চাই ?এটাই আশা করি সরকারে কাছে।
পরিশেষে এটাই বলতে চাই সমাজের এই ব্যাধি দুর করতে আমাদের প্রতিটি মানুষ সচেতন হতে হবে,তাহলে আমরা পৌঁছব সভ্যতার দুনিয়াতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮