প্রথমেই বলে রাখি আমি রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে লেখাটা লিখছি না। সংখ্যালঘু শব্দটা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অপছন্দ করি। বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি দেশের বাকি ১৬ কোটি মানুষের যে অধিকার একজন সংখ্যালঘুর অধিকার তার থেকে কম নয়। তাহলে আমাদের গায়ে কেন সংখ্যালঘুর তকমা? আর যখন এর সাথে নির্যাতন যোগ হয় তখন কতটা বিবেক কে কাঁদায়, যার মধ্যে একটু মানবতা আছে সে নিঃসন্দেহে বুঝতে পারবে।
দেশের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস যে কোন পর্যায়ে গেছে আর তার চূড়ান্ত পরিনতিও প্রতিনিয়ত দেখতে পারছি চোখে। আমি শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কথা বলবো না রামুর বৌদ্ধ মন্দির ভাঙ্গার মত ঘটনাও তো একই সুতোয় গাঁথা। যে দেশের ৯০% মানুষ মুসলিম এবং সেখানে বাকি ১০% অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ কিভাবে একটা নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে তা আমার বোধগম্য নয়। কিন্তু প্রতিটা নির্বাচনের পরেই দেখা যায় এই ১০% মানুষের উপর শুরু হয়ে যায় অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন। এটা কি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো কোনও উদ্দেশ্য? প্রতিমা ভাংচুর, ঘরবাড়ি লুটপাট, মন্দির ও বসতবাড়িতে আগুন, মেয়েদের উপর নিপীড়ন এটাই কি সভ্য দেশের নব্য সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে ধীরে ধীরে?
এর সমাধানের পথ আমার জানা নেই কিন্তু কেন এই পাশবিক কর্মকাণ্ড বারবার আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে সেটা কারোরই অজানা নয়। এ পর্যন্ত ঘটা কোনও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের কোনও বিচার তো দুরের কথা তদন্ত পর্যন্তই হয়নি। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বারবার সেটার অপব্যাবহার করছে কিছু নররূপী পশু। আবার কেউ কেউ এই ইস্যুটাকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাচ্ছে।
আবার প্রচার করা হচ্ছে যে পুরানো ছবি গুলাই ফলাও করে দেখান হচ্ছে। তাদের বলবো ভাই জেগে জেগে আর কত ঘুমাবেন? যদি ঘুমুতে চান ঘুমান কিন্তু যদি জাগতে চান তাহলে ওই নিঃস্ব মানুষগুলোর পাশে একটু দাঁড়ান । তাহলে ওই নিঃস্ব মানুষ গুলোর কষ্ট আপনি পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও তারা বুঝতে পারবে যে আপনারা তাদের পাশে আছেন।