যত বিতৃষ্ণা এক লহমায় যায় দূরে চলে, বৃষ্টি এলেই,
কী ফুরফুরে হাওয়া বয় দেহ জুড়ে, ভালো লাগে আমার
ভালো লাগে জমানো কর্মে মন দিতে,
দেহ যেন পাখিরর পালক, ছুটোছুটিতে নেই ক্লান্তি;
আমি বৃষ্টি ভালোবাসি তাই!
বৃষ্টি এলেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়াই,
এক বিন্দু বৃষ্টির স্পর্শ আমাকে নিয়ে যায় হিমপুরি,
হিমপুরির বৃষ্টিগুলো সুর তুলে কাঁচভাঙ্গা যেমন
রিনিঝিনি সুরের মাতমে আমি হারাই
ভালোবাসি তাই বৃষ্টি।
আকাশ বিবর্ণ হলেই বৃষ্টির অপেক্ষায় রই উন্মুখ
অপেক্ষার বুকে নেমে আসে অথৈ বৃষ্টি
মন যেন টিনের চাল, ঝুমঝুমানি শব্দে উথাল পাথাল সুখ সুর,
ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠে মুগ্ধতার হাসি,
বৃষ্টি যে ভালোবাসি খুব।
বারান্দার গাছগুলো নিথর হলেই মনে বৃষ্টির আকাঙ্খা
আকাশে তাকিয়ে ফেলি দীর্ঘশ্বাস,
আমাকে অবাক করে দিয়ে আকাশ ফুটো হয় আর
ঝরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি,
খুউব ভালোবাসি বৃষ্টি।
যখনই জ্যৈষ্ঠের উত্তাপে পুড়ে হই ছাই,
রান্নাবাটির খেলাঘরে দাঁড়ালের ঘামের লহর,
ভীষণ ক্লান্তি আর কষ্ট যখন আসে ধেয়ে,
আমি বৃষ্টির প্রার্থনায় হই নত, আহা বৃষ্টি ঝরে সহসা
কী যে শান্তির হাওয়া এসে মনে দেয় দোলা
বৃষ্টিকে ভালোবাসি বলে সুখ এসে ধরা দেয় মনে।
পাতার বুক যখনই ধুলোয় হয় মলিন, সবুজ'রা হয় বিবর্ণ,
মন হয়ে যায় মন্দ, বেজার থাকে মুখ,
স্নিগ্ধতা এসে ধরা না দিলে আমি বৃষ্টির আশায় আল্লাহকে বলি
ও প্রভু তোমার নিয়ামতে দাও ভিজিয়ে আমাদের,
আর বৃষ্টিরা হুড়মুড় করে নেমে আসে ধরায়-আহা শান্তি;
ভালোবাসি বৃষ্টি, তোকে ভালোবাসি খুউব খুউব।
©কাজী ফাতেমা ছবি
২০-০৬-২০২১
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০