কাশান মূলতঃ অনেক পুরনো শহর। হাজার বছর পুরনো স্থাপনা আছে। মূলতঃ এসবই দেখার বিষয়।
দুপুর ১২টা নাগাদ কাশান পৌছে প্রথমেই আমরা গেলাম ফিন বাগান দেখতে। ছবিতে দেখুন।
ফিন বাগানের প্রবেশ পথ
বাগানের ভেতরের স্থাপনার ছাদে নকশা
অত আহামরি টাইপ কোন বাগান ছিল না, আসলে গত বছর কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী মোঘল বাগানগুলো দেখে আসার পর এই বাগানটিকে নিতান্তই সাধারণ মনে হল।

বাগান দেখে আমরা এগুলাম শত বছর পুরনো কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে। ছবিতেই দেখুন।
এটা সম্ভবতঃ রেফ্রিজারেটর
পার্ক
এরপর গেলাম বুরুজেরদি ঐতিহাসিক বাড়ী দেখতে। কাশানের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হাজী মেহদি বুরুজেরদির স্ত্রী’র জন্য ১৮৫৭ সালে স্থপতি উস্তাদ আলি মারয়াম এই বাড়ীটি তৈরী করেন। তার স্ত্রী ছিলেন তাবাতাবেইন বংশোদ্ভূত। ছবিতেই দেখুন।
এই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাড়ীতে সূর্যের আলো প্রবেশের ব্যবস্থা...
দুপুরে একটা জম্পেশ খাওয়া দিয়ে আমরা চলে গেলাম অঘা বুজুর্গ মসজিদে। আসরের নামায ওখানেই পড়েছিলাম। আঠার সতকে উস্তাদ হজ শা’বান আলি এই মসজিদ এবং মাদরাসা নির্মান করেন।
অঘা বুজুর্গ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল উপাসনা এবং মোল্লা মাহদি নারাঘি (২য়) কর্তৃক ধর্ম প্রচার এবং শিক্ষা প্রদানের জন্য। এই মোল্লা মাহদিই অঘা বুজুর্গ (বাংলা অর্থ করলে, “বড় মানুষ”) নামে পরিচিত।
অঘা বুজুর্গ মসজিদের প্রবেশ দ্বার
সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ায় আমাদের ভ্রমনের সমাপ্তি টানতে হল। কাশানে আরো কিছু দেখার জায়গা আছে যা ইন্টারনেটে দেখতে পেলাম। সবই মূলতঃ ঐতিহাসিক স্থাপনা। যাহোক, দিনটি ভাল কেটেছিল...

আমার যত ভ্রমন ব্লগ...