যাইহোক দেশের বাইরে বলতে আমি যে দেশটির কথা বলছি সেটা খুব দূরের কোন দেশ না। আমার মতে এই দেশটা হচ্ছে ঘোরাঘুরির জন্য খুবই ভাল একটা জায়গা, অপার সৌন্দর্যের একটি দেশ – ভারত।তবে আমি যেভাবে সেখানে গিয়েছিলাম, সেই গল্পটা একটু ইন্টারেস্টিং !
উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। সেশন জট ছিল। খোজ নিয়ে জানা গেল, তখন যেভাবে চলছে, অন্তত নয় মাস দেরি হবে ক্লাস শুরু হতে। আমার মা ছোট বেলা থেকেই আমাদের বেশ কড়া শাসনে রাখতেন। তিনি সাধারণত গল্পের বই কেনা বা কোন শখ পুরণ করার ক্ষেত্রে আমাদের কখনই টাকা পয়সা দিতেন না। ওনার মতে এগুলো করে কোন লাভ নেই। সেই কারণেই হয়ত আমার মধ্যে একটা স্বনির্ভর মানসিকতা চলে আসে ছোট বেলা থেকেই। আমি ভাবলাম একটা কম্পিউটার কেনার টাকা আমাকে টিউশনি করে যোগাড় করতে হবে।কারণ বিষয়ের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একটা কম্পিউটার দরকার হবে। তাই কিছু টিউশনি করা শুরু করলাম। আমার এক বন্ধু ঢাকায় আগে থেকেই টিউশনি করত। সেই আমাকে কিছু টিউশনি যোগাড় করে দিল।
ঘটনা চক্রে আমি যাদের পড়াতাম, তারা সবাই ভারতের দার্জিলিং জেলার কালিম্পং শহরে একটা স্কুলে পড়ত। কালিম্পং প্রায় ৪০০০ ফুট উচ্চতার ছিমছাম একটা পাহাড়ি এলাকা। ফাইনাল পরীক্ষার পর ওরা প্রায় ৩ মাসের জন্য দেশে আসত। আমার কাজ ছিল ওদেরকে পরবর্তী ক্লাসের পড়াগুলো আগেই কিছু পড়িয়ে দেয়া।ওদের পড়াতে থাকলাম। প্রায় ৬/৭ জন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ওরা ইন্ডিয়া যাবে, নতুন বছরের ক্লাশ শুরু হবে। আমার ওই বন্ধুটি যে কিনা টিউশনি ঠিক করে দিয়েছিল, সে অভিভাবকদের একটা আইডিয়া দিল, যে ওর (মানে আমার) তো ক্লাস শুরু হতে আরও কয়েক মাস বাকি আছে, আপনারা ওকে বাচ্চাদের সাথে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিন, ওখানে সে মাস তিনেক পড়িয়ে আসুক। যেই কথা সেই কাজ, আংকেলদের মনে ধরল। সিদ্ধান্ত হলো আমিও ওদের সঙ্গে ইন্ডিয়া যাব।
সত্যি কথা বলতে মনে মনে খুবই উত্তেজনা আর আনন্দ অনুভব করলাম। বড় কথা আমি দেশের বাইরে কোথাও যাব। মনে শঙ্কা, বর্ডারে আবার আটকে দেবে না তো ! জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করা হল। ফেব্রুয়ারির ২৭/২৮ তারিখের দিকে নাইট কোচে সবার সাথে রওনা দিলাম বুড়িমাড়ীর দিকে। সালটা ২০০০।ভোরে গিয়ে বর্ডারে পৌছলাম। বাসের স্টাফরা পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন/কাস্টমস সেরে দিল। ওইদিকে বিএসএফ। দেখলেই কেমন ভয় লাগে। ব্যাগ খুলে সব চেক করল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যখন পাসপোর্ট হাতে পেলাম, তখন একটা হাফ ছেড়ে বাচলাম, বুঝতেই পারছেন, প্রথম বিদেশ ভ্রমন, হোক সেটা ইন্ডিয়া !!!



ওই পাশে জায়গাটির নাম চেংরাবান্ধা। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে শিলিগুড়ি, এটাকে আপনারা একটা হাব বা গেইটওয়ে বলতে পারেন। এখান থেকে উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের অনেক জায়গায় যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেই রাত আমরা শিলিগুড়িতেই থাকলাম। হোটেল রাজবীর। মোটামুটি একটা হোটেল।আমার এক ছাত্রের মামার সাথে রাতে একটু হাটতে বের হলাম। কাজু বাদাম দেয়া দুধের মালাই খেলাম, খুব ভাল লাগল। ওখানে তখন বাণিজ্য মেলা টাইপ কিছু একটা চলছিল, ঘুরে দেখলাম। শিলিগুড়ি শহরটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ একটা শহর সেই তুলনায় জাক জমকপূর্ণ না। খুব সাধাসিধে গোছের একটা চেহারা। পরের দিন সকালে একটা হোটেলে নাস্তায় আলু পরাটা খেলাম। অসাধারণ লাগল, হওত জীবনে প্রথম, তাই।


এরপর একটা জীপ ভাড়া করে আমরা কালিম্পং রওনা হলাম। এখন পর্যন্ত আমার মনে হচ্ছে না যে আমি দেশের বাইরে আছি। কারণ শিলিগুড়ি আমাদের দেশের মতই লাগে। আধা ঘন্টা চলার পর দূরে পাহাড় চোখে পরল। মনটা এক অজানা আনন্দে নেচে উঠল। একটা ব্রিজ পার হয়েই জীপটি পাহাড়ে ওঠা শুরু করল। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং দুই-আড়াই ঘন্টার পথ। শিলিগুড়িতে মোটামুটি গরমই ছিল।গাড়ি পাহাড়ে উঠছে, আর আমার সামনে অপার সৌন্দর্য উন্মোচিত হচ্ছে।তিস্তা নদীর পাড় বেয়ে পাহাড়ি আকা বাকা পথ। পাহাড়ী নদী এত সুন্দর আমার তা জানা ছিল না। আমি মুগ্ধ চোখে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। মাঝে মাঝেই পাহাড়ী নদীর জলের কল কল ধ্বনি। অদ্ভুত সুন্দর একটা পরিবেশ। নদীতে বিশাল বিশাল পাথর।আমরা যত উপরে উঠতে থাকি, আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমে যেতে থাকে। পথে কিছু বানরের সাথেও দেখা হল। ওরা হেলে দুলে এদিক ওদিক ঘোরা ফেরা করছে। পথে কিছু কড়া বাক পার হলাম (যেগুলোকে বলে “Hair Pin Bent” ), মানে ১৮০ ডিগ্রি টার্ণ! পথ যথেষ্টই বিপদ সঙ্কুল, ড্রাইভারের একটু ভুলের মাশুল আপনাকে দিতে হবে কয়েকশ ফুট নিচের নদীতে পড়ে !!

তিস্তা নদী
কালিম্পং পৌছে দেখলাম কন কনে ঠান্ডা। মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে যেন এক অন্য জগতে পৌছে গেলাম। এখানকার মানুষগুলোও সব আলাদা। মানে চাইনিজ জাপানিজদের মত। ভাষাও আলাদা, নেপালি। এবার মনে হল, বিদেশে আসলাম।
কালিম্পং পাহাড়ের কোলে খুব সুন্দর একটা শহর। বাড়ি ঘরগুলো বেশ ছিমছাম। আমার বেশ ভালো লাগল। কথা ছিল আমাকে যেই আংকেল নিয়ে গিয়েছেন তিনি আমার থাকার একটা ব্যবস্থা করে আসবেন। কিন্তু দুঃখের কথা আমাকে অথৈ সাগরে ফেলে দিয়ে উনি চলে আসলেন। সকালে ওনারা চলে যাওয়ার পর হোটেল থেকে বের হলাম আশ্রয়ের সন্ধানে। কপাল ভাল, এক বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে জায়গা পেলাম। মাসে ১৬০০ রুপি, থাকা আর খাওয়া বাবদ। খুশি হলাম, কারণ বাড়িটা ছিল, আমি যেই স্কুলের বাংলাদেশি ছাত্রদের পড়াব তার উল্টোদিকের পাহাড়ের উপর। রাস্তা থেকে বাসায় উঠতে খবর হয়ে যেত। অন্তত ৮/১০ তলা পথ খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হত!


যাইহোক আমার দিন ভালই কাটতে লাগল।আমি থাকতাম মূল বাড়ীর নিচের দিকে সারিবদ্ধ কিছু কামরার একটিতে। ওই বাড়ির কাজের মেয়েটি প্রতিদিন সকাল ছয়টায় বেড টি নিয়ে আসত। আমি আবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। ঘুম চোখে কোন মতে কাপটা রেখেই আবার ঘুম। পরে উঠে এক চুমুকে সরবত খেয়ে নিতাম।ওই বাড়ির নিয়ম ছিল, ওরা সকালে একটু চা আর বিস্কুট খাবে, সকাল ১১টার দিকে ভাত, তরকারি অর্থাৎ দুপুরের মত ভারী খাবার খাবে, বিকেল চারটায় কয়েকটা বিস্কুট আর চা, এরপর রাতের খাবার ৯টা/সাড়ে নয়টায়।আমার অবস্থা বোঝেন, দুপুরে ক্ষিধায় মারা যাওয়ার অবস্থা, পরে রুমে বিস্কুট কিনে রাখতাম আর দুপুরে তাই খেতাম।


সকালে ঘুম থেকে উঠে পোলাপানের পড়াগুলো একটু রেডি করে রাখতাম আর বিকেলে পড়াতে যেতাম ওদের স্কুলের ক্লাসরুমে। স্কুলটার নাম ছিল “রকভ্যালে একাডেমি”। প্রায় শ’খানেক বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী ওখানে পড়াশোনা করত। আর সেই আংকেল এখানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এনে দিয়েছিলেন বলে ওনার বেশ প্রভাব ছিল স্কুলে। তাই এই স্কুলে বিদেশী শিক্ষক দ্বারা প্রাইভেট টিউশনি !!!



আমি যখন ওখানে ছিলাম, তখন “কাহো না পেয়ার হ্যায়” সিনেমাটি মাত্র মুক্তি পেয়েছে। মজার ব্যাপার, এই ছবিটা আমি ওখানে একটা চলনসই হলে তিনবার দেখেছিলাম, কোন বারই পরিকল্পনা করে আমার ইচ্ছায় নয়। মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মীয় যারা তাদের রেখে যেতে এসেছিলেন, তাদের একজনের অনুরোধে তার সাথে প্রথমবার দেখলাম। আমি তখন এই ছবিটা সম্পর্কে তেমন ভাল করে জানতামও না। কিন্তু ছবিটা দেখে আমার সত্যি খুব ভাল লাগল। পরে জানলাম, এটা একটা সুপারহিট সিনেমা। জীবনে প্রথম বড় পর্দায় হিন্দী সিনেমা দেখলাম, তাও আবার “কাহো না পেয়ার হ্যায়” !! ছবিটা দ্বিতীয়বার দেখি কুরবানী ঈদের দিন, আমার সব ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে, কারণ ওরা তখনও দেখার সুযোগ পায়নি। সেদিন কালিম্পং-এ সেভেন পয়েন্টেও ঘুরলাম। এই ধরণের পাহাড়ী লোকেশনগুলোতে ওরা সাধারণত “সেভেন পয়েন্ট”/”নাইন পয়েন্ট” এরকম বিভিন্ন প্যাকেজ অফার করে। যার যেটা খুশি দেখে নেয়। স্পষ্ট মনে নেই, কোথায় কোথায় গিয়েছিলাম বা জায়গাগুলোর নাম কি।
কালিম্পং এ আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল “গ্লেনারি পেস্ট্রি সপ”। ওখানে আমি প্রায়ই যেতাম পেস্ট্রি খেতে, বেশ ভালই ছিল।ওরা দার্জিলিং জেলায় একটা চেইন পেস্ট্রি সপ হিসেবে অপারেট করত। আমি যেখানে থাকতাম তার একটু উপরে পাহাড়ের উপর একটা সমতল জায়গা ছিলা। আমি প্রায়ই সেখানে বসে সামনে অবারিত পাহাড় পর্বতের উপর দৃষ্টি রাখতাম আর ওয়্যাকম্যানে “কাহো না পেয়ার হ্যায়” এর গান শুনতাম। গানগুলো আমার কাছে খুবই ভাল লাগত। আমি একটা অরিজিনাল ক্যাসেটও আমার সাথে নিয়ে এসেছিলাম। ওয়াকম্যানটা আমার ছিল না, আমার এক ছাত্রের বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিয়েছিলাম এই বলে যে, তোমার সামনে পরীক্ষা, এখন পড়াশোনায় মন দাও। কি চাপা, হা হা… ....







ক্যাকটাস গার্ডেন
কালিম্পং এ আরেকটা সুন্দর জায়গা ছিল, সেটা হল “ক্যাকটাস গার্ডেন”। রংবেরং এর বিভিন্ন সাইজের ক্যাকটাস। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ক্যাকটাস চাষ করে ওরা দেশের বাইরেও রপ্তানি করে।এছাড়া কালিম্পং কলেজের পার্কটাও বেশ সুন্দর একটা ঘোরার জায়গা। বিশেষ করে কপোত কপোতিদের জন্য। আর হ্যা, ওখানে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা বাড়ীও আছে। সেটাও দেখলাম।

কবি গুরু রবি ঠাকুরের বাড়ি
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ। হঠাৎ একদিন বাবার ফোন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি এসেছে, এপ্রিলের ৯ তারিখে আমার ক্লাশ শুরু। আমারতো মাথায় বাড়ি ! মজার ব্যাপার হল, অন্যদের যেখানে ক্লাশ শুরু হবার কথা শুনলে মন ভাল হওয়ার কথা আর আমার হল খারাপ। কারণ আমি এসেছিলাম তিন মাস থাকার টার্গেট নিয়ে, কারণ তাতে আমার ভাল একটা অংক আয় হত। কিন্তু ক্লাশ তাড়াতাড়ি শুরু হওয়ার ঘোষনায় সেই আশায় গুড়েবালি।



আমি যেই বাড়ীতে থাকতাম, তাদের মূল বাড়ীতে তিনটা মেয়ে থাকত। ওদের বাড়ী সিকিমে, কালিম্পং এ এসেছে পড়তে। নাম মনিতা, ভাবনা, অর্পণা। ওদের সবার সাথেই আমার বেশ ভাব ছিল। ভাবনাকে আমি আবার “মিস সিকিম” বলে ডাকতাম।ও দেখতে বেশ সুন্দরী আর লম্বা ছিল। আমি ৫ই এপ্রিল দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। আর ৪ তারিখ ছিল অর্পণার জন্মদিন। ওরা আমাকে অনুরোধ করল, অর্পণার জন্মদিন উপলক্ষে সবাই মিলে কফের নামে একটা জায়গায় ঘুরতে যাবে, আমিও যাতে ওদের সাথে যাই। একটা গাড়ী ভাড়া করেছে ওরা। কফের জায়গাটা সমুদ্র পিষ্ঠ হতে ৬৫০০ ফিট ওপরে, কালিম্পং থেকে দুই আড়াই ঘন্টার পথ।যাওয়ার পথে লাভা নামে একটা জায়গা পড়ে যেটাও একটা ট্যুরিস্ট স্পট। কফের গিয়ে ভালই লাগল। আমাদের গায়ের উপর দিয়ে মেঘের দল চলে যাচ্ছে, খুব সুন্দর একটা অনুভূতি। আর পাহাড়ী এলাকায় আসলে আপনি যেই পথে যাতায়াত করছেন, সেই পথের দৃশ্যই মূলত আপনার খুব ভাল লাগবে। পাহাড়ে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে যেভাবে ঢেলে দিয়েছে সেটা আমাকে সব সময়ই বিমোহিত করে।আর না দেখলে এই জিনিস অনুভব করা খুব কঠিন।
অর্পণার জন্মদিন উপলক্ষে আমি একটা কেক কিনেছিলাম আর ওরা নিয়েছিল কিছু চিপস আর রেড ওয়াইন। আমাদের ড্রাইভার আবার অর্পণার পরিচিতই ছিল অনেকটা বন্ধুর মত, তো সে একটু বেশী রেড ওয়াইন খেয়ে ফেলেছিল। ফেরার পথে ড্রাইভার সেইরকম ড্রাইভ করছিল, পরে জানতে পেরেছিলাম সে সারা রাস্তা মাতাল অবস্থায় ড্রাইভ করেছিল। আল্লাহ যে কি বাচান বাচিয়েছিল !!!
মজার ব্যাপার হল, কালিম্পং এর পাশের পাহাড়ই ছিল দার্জিলিং। ভেবেছিলাম, আমার এই এসাইনম্যান্ট শেষ হলে দার্জিলিং ঘুরে বাড়ী ফিরব। কিন্তু হঠাৎ করেই বাড়ী ফেরার সিদ্ধান্তে আর যাওয়া হল না। সেই দিন আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যত দ্রুত সম্ভব আমি দার্জিলিং বেড়াতে আসব। আসলে আমি পাহাড়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই প্রেমের ডাকে সাড়া দেয়ার কাহিনী আরেক দিন বলব...
