২০০৯ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে অফিশিয়াল ট্যুরে গিয়েছিলাম কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ। ট্যুরে এ পর্যন্ত যেখানেই গিয়েছি, দর্শনীয় কোন জায়গা থাকলে ঘুরে দেখেছি। আজ কটিয়াদির মসূয়াতে সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির কিছু ছবি এবং তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সংক্ষিপ্ত এ ইতিহাস স্থানীয় জনৈক বয়ো:জেষ্ঠ্য ব্যাক্তির থেকে সংগৃহীত।
কিভাবে যাবেন:
কটিয়াদী বাস স্ট্যাণ্ড থেকে মসূয়া বাজার যেতে গাড়িতে ২০ মিনিটের মতো লাগবে। সেখান থেকে রিক্সাওয়ালাকে সত্যজিত রায়ের বাড়ি বললেই নিয়ে যাবে। আর কটিয়াদী বাস স্ট্যাণ্ড থেকে মসূয়া বাজার হয়ে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে যদি রিক্সায় যেতে চান, তাহলে ১ ঘন্টার মতো সময় লাগবে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
এই সম্পত্তিটির মালিক নগেণ্দ্র কিশোর রায় এবং উপেন্দ্র কিশোর রায়। কিন্তু প্রকৃত মালিক হিসেবে নাম জানা যায় হরি কিশোর রায়-এর যিনি একজন জমিদার ছিলেন। হরি কিশোর রায় তৎকালীন সময়ে কোলকাতা জজ কোর্টে ওকালতি করতেন এবং তিনি নি:সন্তান ছিলেন। তাঁর একজন সহোদর ছিলেন কালী কিশোর রায় যিনি একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ছিলেন।
কালী কিশোর রায়-এর ৫ সন্তান ছিল তার মধ্যে উপেন্দ্র কিশোর রায় ছিলেন তৃতীয়। হরি কিশোর রায় এই উপেন্দ্র কিশোর রায়কে দত্তক হিসেবে নেন। পরবর্তীতে নগেণ্দ্র কিশোর রায়, হরি কিশোর রায়-এর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নগেন্দ্র কিশোর রায় ১৯৩৫ সালে স্বর্গীয় হন। তার পরিবার ১৯৪৩ সালে এই সম্পত্তি পরিত্যাগ করেন। পরবর্তীতে কেয়ার টেকার (নায়েব) রাম কৃষ্ঞ রায় এই সম্পত্তির দেখভাল করেন।
সুকুমার রায় ছিলেন উপেন্দ্র কিশোর রায়ের ছেলে এবং সত্যজিত রায় ছিলেন সুকুমার রায়ের ছেলে। স্থানীয়দের মতে সত্যজিত রায় বাপ-দাদার এই ভিটাতে কখনো আসেননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সত্যজিত রায়ের এই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘোরার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমাদের দেশটা যে কত সুন্দর, তা না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। তবে ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে বেশ কিছু সমস্যা আমার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে যেগুলোর আশু সমাধান প্রয়োজন।
আরও ভ্রমণকাহিনী:
টাঙ্গুয়ার হাওড়: যার সৌন্দর্যের তুলনা সে নিজেই
বারিক্কা টিলা: বাংলাদেশের মানচিত্রে যেন ছোট্ট একটি ভূ-স্বর্গ