সুইট পটেটো
উত্তরবঙ্গে মিষ্টি আলু, স্থানীয় ভাষায় 'সেকালু' এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। আমরা যখন ছোটবেলায় দাদুবাড়ি বেড়াতে যেতাম, তখন দেখতাম সকালে নাশতা হিসেবে সেকালু খাওয়া হচ্ছে। যেহেতু আমাদের বিশাল যৌথ পরিবার, তাই সেকালু সিদ্ধ করা হত বড় হাঁড়িতে। তারপর জনপ্রতি ৪/৫টি সেকালু দেয়া হত। খোসা ছিলে ছিলে সেই সেকালু মজা করে খাওয়া হত।
আমার দাদি আমাকে সেকালু অন্যভাবেও খেতে দিতেন। সেটা হল সেকালু সেদ্ধ করার পর স্লাইস করে জ্বাল দেয়া গুড়ের ভিতর ফেলে দেয়া হত। সেটাও কয়েকদিন ধরে খেতে দারুন লাগত। এই খাবারটার নাম শুনলে এখন হাসি লাগে- 'ট্যাপা'।
এখন আর মিষ্টিআলু বা সেকালু খাওয়া হয় না তেমন। কারণ ঢাকায় যে মিষ্টিআলু পাওয়া যায় সেটায় তেমন মিষ্টি নেই-স্বাদবিহীন, যেমন ঢাকার 'গেন্ডারী'তে নেই আমাদের উত্তরবঙ্গের 'কুশার' অর্থাৎ আখ এর মত মিষ্টি।
কয়েকদিন আগে কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখি মিষ্টি আলু বিক্রি হচ্ছে। আমার ছেলেটি কখনও মিষ্টি আলু দেখেনি, খাওয়া তো দূরের কথা। তবে ছবির বইয়ে দেখে সুইট পটেটো মান মিষ্টি আলু। ওর কথা ভেবেই কিছু মিষ্টি আলু কিনলাম। বাসায় আনার পরদিন বিকেলে বাচ্চার মা মিষ্টি আলু সিদ্ধ করল। আমার ছেলেটি খেলা বাদ দিয়ে খুবই উৎসাহভরে 'সুইট পটেটো' সিদ্ধ দেখছিল। তারপর তার মা যখন তাকে খোসা ছিলে খেতে দিল তখন তার প্রতিক্রিয়া ছিল এরকম-
'' আলু!!!!!''................''খাব না!!!!"
কাঁচামরিচ
আমার স্ত্রী প্রায়ই অভিযোগ করে আমি নাকি বাজার থেকে যে কাঁচামরিচ কিনি সেগুলোতে 'ঝাল' কম। তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচামরিচ কিনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোয়ালিটি সার্টিফিকেট পেলাম না।
শেষে একটা বুদ্ধি বের করেছি। মিরপুর ১ নম্বর কাঁচাবাজারে গিয়ে প্রত্যেক কাঁচামরিচ বিক্রেতার কাছ থেকে একটি করে মরিচ নিয়ে চিবিয়ে দেখব 'ঝাল' আছে কিনা। যেটা মুখে দিয়ে সবচেয়ে বেশি 'ঝাল' লাগবে সেইটাই কিনে নিয়ে আসব!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১