তোমার স্পর্শের ঘ্রাণে বিমোহিত প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা
শরীরের গন্ধমাখা হলুদ রোদের একফালি-
খুঁজে ফিরি কাল হতে মহাকাল;
আদি হতে বিনাশের মাঝে
অথচ তুমি তো সাজাও নিত্য সর্বনাশা উদাসীনতার ডালি!
মরাল গ্রীবার কবোষ্ণ স্বাদে ডোবাতে চেয়েছি
পলকহীন দৃষ্টি, পেলব ত্বকের মসৃণতা
আর চুঁইয়ে পড়া নির্ভেজাল কমনীয়তায়;
চুমুক দেয়ার ধৃষ্টতা দেখাতে চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছি বারবার
মরীচিকার পেয়ালায় চুমুকে চুমুকে নীল হয়েও
মুগ্ধ তোমার সরলতায়।
কবিতায় কি আঁকা যায় হৃদয়ের ক্যানভাসে
ডানা ঝাপটানো সব আল্পনা?
ঠুনকো কাঁচের মত ভেঙে যাওয়া সময়ের সাথে প্রতিদিন-
জড়াতে চেয়েও পারিনি তোমায়,
পাথর চোখের জমাট অবহেলায়
মুঠো মুঠো নোনাজল ভেঙেছে আমায়;
ইচ্ছেগুলো অনন্তে হয়েছে বিলীন।
বুকপকেটে লেপ্টে রাখা একমুঠো স্বপ্নের ঝাঁকে
প্রষ্ফুটিত তুমি নিকষ আঁধারে যেন দীপশিখা-
রোদের গন্ধমাখা বিকেলের হলুদ সময়ে
হেঁটে যায় ইচ্ছেরা সব, তোমার প্রত্যাশার বিবরে
শৃঙ্খলিত আমি অনন্তসময়; এসো বদলে দাও বিবর্ণ ভাগ্যলেখা।
সময়াভাবে ব্লগে আর তেমন তৎপরতা নেই। মাঝেমধ্যে দুএকটা পোস্টে কমেন্ট করা হলেও বেশিরভাগ সময় শুধু লগইন অবস্থায় নিজের উপস্থিতি জাহির করেই খালাস। তারপরও সুহৃদদের অনেকেই খোঁজখবর নেন। তাঁদের মধ্যেই একজনের অনুরোধ ছিল অনেকদিনের লেখনীর খরা কাটিয়ে কিছু একটা লেখার। তাঁর অনুরোধেই মূলত "কিছু একটা" লেখার চেষ্টা করলাম। নিন্দার দায়টুকু মাথা পেতে নেব।
উৎসর্গঃ শিখা রহমান- যাঁর কবিতার প্রতিটি ছত্র নতুন করে কবিতা বুঝতে শেখায়।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০