শেখ হাসিনা বিএনপিকে ক্ষমতা বঞ্চিত রাখতেই অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছেন বলে অনেকে মনে করেন। এখন সঠিক নির্বাচন হলে ক্ষমতা বিএনপির হাতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সেজন্য বিএনপি নির্বাচনের তাসবিহ পাঠ করছে এবং এন্টি বিএনপি নির্বাচন বিলম্ব হওয়া কামনা করছে। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে তাদের ক্ষমতা তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এদিকে আমেরিকা বাংলাদেশী পণ্যে ৩৭% শুল্ক আরোপ করার কথা বলেছে। তাতে লেংড়া গার্মেন্টস লোঞ্জা হওয়ার আশংকা।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস তাঁর ঘটে যত বিদ্যা-বুদ্ধি আছে তা’ ঢেলে দেশে উন্নতির আলো জ্বালাবার চেষ্টা করছেন। তারেকের ঘটে কি আছে তা’ আমার জানা নাই। তার ঘটে কি আছে সেইটাই হয়ত কেউ কেউ দেখতে চায়।তার কোলে একটা বিড়াল দেখছিলাম এবং শেখ হাসিনা কিছু চাষাবাদ করতেন গণভবনে। বিএনপির ছিল ১০% কিন্তু আওয়ামী লীগের পারসেন্ট আরো বেশী ছিল অনেকে মনে করেন। অনেকে তাদেরকে লুটেরা বলছে, তবে তারা এটা স্বীকার করে না। তবে জুলাই-আগস্টে তাদের হত্যাযজ্ঞ ব্যাপক ছিল। এটাই তারা বলে অপর পক্ষ করে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের বিষয়টা তারা কি করে ছিল? শাক দিয়ে কত আর মাছ ঢাকা যায়।
শেষ বয়সে ডক্টর ইউনুছ কোন ম্যাজিক দেখাতে পারলে তাঁকে তা দেখাতে সময় দেওয়া উচিত। বিএনপি তাঁকে দলে নিতে পারে। ডক্টর মনমোহন সিংকে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ছিল। বিএনপির সাথে ডক্টর ইউনুছের তেমন কোন ড্রিল হলে নির্বাচন আগে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের জন্য ডক্টর ইউনুছ ক্ষমতা ছাড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রেডক্টর ইউনুছ এনসিপিতে যোগ দিয়ে এনসিপি-বিএনপি জোটে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বিদেশীদের মধ্যেও তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ আছে বলে মনে হয়।
বিএনপির দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা ছিল। তারা আহামরি তেমন কিছু করতে পারেনি।জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের দোষগুলো তাদের মধ্যে ছিল। তাহলে ঠিক কি কারণে জনগণ তাদেরকে ভোট দিবে তা ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। হতে পারে ভোট দেওয়ার মত প্রার্থী না থাকায় ভোটাররা তাদেরকে ভোট দিবে কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য। এর চেয়ে বেশী আশার কথা তারাও শুনায় না এবং জনগণও তাদের থেকে বেশী কিছু আশা করতে পারছে না।
জনতার তাড়া খেয়ে বিএনপি ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ছিল এবং আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদেরকে বহুকাল বাটাবাটি করেছে। রানু বলেছে আওয়ামী লীগ পিছু হটেছে তীব্র আক্রমণের জন্য। দূর থেকে তারা ভেংচি কাটছে সেটা দেখা যাচ্ছে। জামায়াত-জাতীয় পার্টি এদিক-সেদিক ঢুঁ মারছে।দেশ এবং রাজনীতি ক্লান্তিকর অবস্থায় আছে। দেখা যাক ডক্টর ইউনুছ শেষতক কি করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩