ঢাকা, আগস্ট ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--মিয়ানমারের পরিবর্তে ভারতের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে এ সংক্রান্ত এক সভার পর কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মুজিবর রহমান একথা জানান।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের তিন দিকেই ভারতের সীমান্ত রয়েছে। তাই ভারতের মধ্য দিয়েই আমাদের এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত।"
>> বড় খাতারনাক যুক্তি
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, "ভারতের মধ্য দিয়ে হাইওয়েতে যুক্ত হওয়া গেলে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বেশ উপকৃত হবে।"
>> হায়রে উপকার। ৩৮ বছরে হলো না। ফারাক্কা, টিপাই, তালপট্টি, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা(২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ বাংলাদেশী কে হত্যা করে বিএসএফ)।
শেখ মুজিবর রহমান জানান, দুটি রুটের মাধ্যমে ওই হাইওয়েতে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; একটি বেনাপোল-ঢাকা-সিলেট এবং অন্যটি বাংলাবন্ধ-ঢাকা-সিলেট।
প্রথম রুটটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর সিলেটের তামাবিল সীমান্ত হয়ে এটি আবার উত্তরপূর্ব ভারতের আসামে ঢুকবে।
দ্বিতীয় রুটটি ভারত থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের বাংলাবন্ধে প্রবেশ করবে এবং তামাবিল সীমান্ত হয়ে আবার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে।
>> এইটার নাম এশিয়ান হাইওয়ে?!! নাকি ভারতীয় হাইওয়ে?
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ কেউ কেউ এভাবে ভারতের মধ্য দিয়ে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে বলছে, রুটটি বাংলাদেশে প্রবেশের পর টেকনাফ সীমান্ত হয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত।
কমিটির সদস্য বিএনপি সাংসদ নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সরকার দলীয় সাংসদরা হাইওয়ের রুট সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দিইনি।"
সরকারকে প্রথমত রুটের নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এরপরই চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তবে কমিটির আরেক সদস্য আওয়ামী লীগ সাংসদ গোলাম মওলা রনি মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, "যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের তেমন বাণিজ্য নেই তাই এশিয়ান হাইওয়ে টেকনাফ হয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো মানে নেই।"
"টেকনাফ হয়ে কুনমিংয়ের মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্ত হলে আমরা মোটেই উপকৃত হবো না। কারণ কুনমিং এবং চীনের ওই অংশের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই", বলেন এই সাংসদ।
>> যেভাবে নাই বলছে তাতে মনে হয় আসলেই কিছু নাই? ভবিষৎতে কি হওয়ার সম্ভবনা নাই? নাকি এই ৫ বছরই সব হয়ে যাবে? মানে ডিজিটাল হয়ে যাবে?
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার চীনের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'প্রাচ্যমুখী' পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করে।
>> যা ভারতের বিএনপি অপছন্দের অন্যতম কারন। আবার আ.লীগ k পছন্দের এবং অনুগত হওয়ার শ্রেষ্ট কারন।
তবে বিএনপি সরকার তাদের পাঁচ বছরের (২০০১-২০০৬) মেয়াদে এশিয়ান হাইওয়ের রুট চূড়ান্ত করেনি। তারা মিয়ানমার হয়ে ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার করতে একটি আন্তঃসীমান্ত হাইওয়ে নির্মাণেরও চেষ্টা চালায়।
>> যা ভারতীয় কূটনীতির কারনে মিয়ানমার সরকার ধীরে চলো নীতি গ্রহন করে।
বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে এ ব্যাপারে একটি চুক্তি সই করে।
>> ভারত প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে প্রথম পছন্দ করলে ও পরে এই সব চুক্তি নিয়ে মার্কিন লবির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে কোনাঠাসা করে।
১৯৯২ সালের এপ্রিলে বেইজিংয়ে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে স্থল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় এশিয়ান ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট গঠনের বিষয় অনুমোদিত হয়। ২০০৩ সালের নভেম্বরে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট অন দি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়। চুক্তিটি কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ৪ জুলাই থেকে। চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত ছিল একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ লাখ ৪১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ এশিয়ান হাইওয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এর প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়। আর্থিক সহায়তা স্থগিত হয়ে যাওয়ার ১৯৭৫ সালের দিকে এর অগ্রগতি স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে গত শতকের ৮০ ও ৯০ দশকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন এর কাজে নতুন গতির সঞ্চার করে। ১৯৯২ সালের ৪৮তম অধিবেশনের পর এটি এসকাপের ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অন্যতম একটি বিষয়ে পরিণত হয়।
আমাদের সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা এবং দেশ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি বাড়াবাড়ি রকমের কিছু হবে? এরা জেনে শুনে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে!!! নেত্রী কে খুশি করার জন্য এলোমেলো যুক্তি দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে!! সত্যেই অবাক করার বিষয় অথচ এই ব্লগ সহ অন্যান ব্লগে এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে অনেকেই পোষ্ট দিয়েছে সুন্দর যুক্তি দিয়ে।
আমাদের এমপি শেখ মুজিবুর রহমানের যুক্তি সত্যেই ভয়ানক এশিয়ান হাইওয়ের নামে। এরা যে জনগণের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত তাতে কোন সন্দেহ নাই! একেকটা মীর জাফর, মীর মদন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১৯