ভালোবাসা আমার জীবনে আসে নাই। এখানে ভালোবাসা বলতে আমি যা বুঝাচ্ছি তা হলো কোন মেয়ে আমাকে জীবনে বলে নাই "আমি তোমাকে লভ(স্টাইল কইরা ডিজুস পোলাপান কয়) করি, তোমাকে ছাড়া আমি বাচঁবোনা"। কিন্তু তারপরও কোন শালায় কইতে পারবো না আমি কোন প্রেমিকের চেয়ে কম কষ্ট পাইছি, এমনকি কয়েক গামলা পানিও যে ফালাইছি তাতেও আমার পরিচিতজনদের কোন সন্দেহ নাই।কিন্তু কেউই জানে না আমি কখন কার জন্য কানছি।মাঝে মাঝে আমি নিজেও ঠিক মনে করতে পারি না কার জন্য আমি বেশী কষ্ট সহ্য করছি। তবে যখন যারে চাইছি পাগলের মতই চাইছি।আমার চাওয়ায় কোন খাঁদ ছিলনা যদিও আমাকে ভালোবাসা দেয়ার ব্যাপারে উনারা সবসময় খুবই চুজি ছিলেন। চুজি মানে কেউ নাই তো দে জান, আর টাইম নাই তো মার ল্যাং। এই ল্যাং খাইতে খাইতে আজ আমার হাঁটতে একটু কস্ট হয়। যাই হউক আসল কথায় আসি।
ভালোবাসা দিবসে কি করন যায় এইটা নিয়া আমি সবসময়ই বড় চিন্তায় থাকি।লাভার নাই তো কি হইছে, আমি তো লাভ করছি, তাও আবার একটা না কয়েকটা।তো প্রেমিক-প্রেমিকারা যেমন সারাদিন একসাথে সময় কাটায়, আমিও তেমনি আমার ভালোবাসার উনাদের নানান কথা চিন্তা করি।সবই অবশ্য অতীত।আমি নিজে নিজে কল্পনা করে কিছুই বানাই না।বানানোর টাইম পাই না, এত ঘটনা রিপিট করতে করতে ভালোবাসার দিন শেষ হইয়া যায়।
আজ সকালে প্রথম যারে মনে পড়লো সে আর কেউ না মিরপুরের রা_লা।আহা কি সুন্দর ছিল দেখতে।আমার বিকালে গোল্লাছুট খেলতাম।সেই রা ষবসময়ই আমারে ধরতে যায়।আমি যতই রাগ করি তার কোন মাথাব্যথা নাই।কে কি মনে করলো সেই দিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।আস্তে আস্তে আমিও উনার প্রতি লভ ফিল করা শুরু করলাম।কথা নাই বার্তা নাই একদিন বিকালে শুনি পরেরদিন উনারা সিলেটের কোথায় যেন চলে যাবে।উনার বাবার পোষ্টিং হইছে।যাওয়ার আগের দিন সেই কি কান্না।চিঠি দিও, পত্র দিও টাইপ গান টানও গাইছিল নাকি মনে নাই।তয় আমি কোন চিঠি দেই নাই।আসলে দিছিলাম কিন্তু সে কোন রিপ্লাই দেয় নাই।পরে এই নিয়া যখন কথা তুলি তখন শুনলাম উনি কোন চিঠি দেয় নাই।ভালো কথা তাইলে আমি কোন চিঠিও দেই নাই।আমি জানতে পারি উনি পাশের বাসার এক ছেলেকে নিয়মিত চিঠি লিখতো যদিও উনাদের প্রতিদিন ক্লাসে দেখা হইতো।
ব্যাপার না, আমি কিছু মনে করি নাই। আমার ও ক্লাসমেট আছে। এবার ক্লাসমেটের কথা মনে পড়লো।
উনি এখন দিব্যি এক ছেলের মা হয়ে সুখেশান্তিতে সংসার ধর্ম পালন করতেছেন। উনার সাথে আমার ছিল সেই রকম ক্লোজ সম্পর্ক।একদিন আমাকে না দেখলে উনার নাকি খবার এ রুচি হয় না।এই কথা শুধু আমার ক্লাসমেটের না, উনার 'মা'-রও।আমরা নিজেরা সবাইকে বলতাম আমরা খুবই ক্লোজ।কিন্তু পোলাপান কেউ সেই কথা শুনেনা,তাদের এক কথা ডাল মে কুছ কালা হে। আমরা একই স্কুলে পড়তাম, একই এলাকায়ও থাকতাম।একদিনের কথা-
আমাদের স্কুলে পড়তো আমাদের দু'জনেরই আর এক বন্ধুর জন্মদিনে আমাদের একসাথে যাওয়ার কথা।কোন একটা কারণে আমি যেতে পারি নাই।কিন্তু উনি এবং আমার এলাকার আর এক বন্ধু সেই জন্মদিনের পার্টিতে যায়।আমার সেই এলাকার বন্ধু এবং আমরা আরও কয়েকজন বিকালে একসাথে আড্ডা দিতাম।পরেরদিন আমার সেই বন্ধু এসে আমাকে একটা কথাই বলছিল, "She is madly in love with you, no matter you have 4 leg or 1 tail."
আমি সেই কথার কোন উত্তর দিতে পারি নাই, উত্তর আমি জানিওনা।কিন্তু যে এক শান্তি মনে পাইছিলাম তার সাথে কিছুরই তুলনা চলে না।
আরেকদিনের ঘটনা।আমি অনেকদিন পর উনার বাড়িতে গেছি।উনি শখ করে একটা আংটি পড়ে আছে, তাও আবার অনামিকায়।আমি কথায় কথায় বলে বসলাম, "আংটিটা খুলে আস, তোমাকে অন্যের অন্যের মনে হচ্ছে"। উনি কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকাই থাকলো আর তারপর আংটিটা ঠিকই খুলে ফেললো। অসম্ভব এক ভালোলাগায় মনটা ভরে গেল।সেইদিনই তো আমি তোমাকে তোমার ভবিষ্যতের সব ভুলের জন্য মাপ করে দিয়েছিলাম।এইসব ছোটখাটো ঘটনা কি প্রেম-ভালোবাসা করার চেয়ে কমকিছু?
উনার আরেকটি ঘটনা দিয়ে স্কুল লাইফ শেষ করবো। আমি বাইরে গেছি লেখাপড়া করতে।উনার সাথে আমার চিঠি দেয়ানেয়ার কথা ছিল।উনি কথামত অনেক চিঠিই লিখেছেন আমাকে।আর চিঠিভর্তি ছিল আবেগের ছড়াছড়ি।চিঠি পড়ে মন খারাপ থাকতো ২-৩দিন।উনি আমার ১ম চিঠি পায় নামাজে থাকা অবস্থায়।উনি নামাজ পড়ছিলেন আর উনার মা আমার চিঠি উনার জায়নামাজের কোনায় রেখে যান।এইসব কথা শুনলে মাথা ঠিক রাখা শক্ত।আমার মাথা এত শক্ত না, তাই আমি কাইত হ্ইয়া গেলাম।
এর এক বছর পরই উনার চিঠিতে আরেকজনের কথা উঠে আসতে থাকে।উনারা নাকি ভালো বন্ধু, আরো নানা কিছু। পরেরবার ঢাকায় এসে উনার ছোটবোনের কাছে জানতে পারি উনার অ্যাফেয়ার চলতেছে সেই ছেলের সাথে।কড়া ছারঝিলাম উনারে।উনি আবার আমাকে বলে, "আমার কাছ থেকে উনি এই ব্যাপারে অনেক সাহায্য আশা করেছিল"। ভাই কেমন লাগে কন? ছাদ থিকা লাফ দেই নাই আমার বাপ-মায়ের ভাগ্য।আমার জীবনের বড় কান্নাগুলার একটা সেইদিন কাইন্দা ফেললাম।
আইজ আর আগামু না।মন খারাপ হই গেছে। গান শুনতে মন চাইতেছে।
Tumi robe Nirobe
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৬