somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে কারনে বলিনা -ভালোবাসি

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ছোটকাল থেকেই রুপ,গুনের পুঁজারী। যেহেতু স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে এই সব বিশেষন আছে এমন মেয়ের অভাব নেই, তাই আমারও কখনও প্রেমে পড়ার মানুষের অভাব হয় নাই। আমার অভাব শুধু একটা জিনিসের আর সেটা হলো প্রপোজ করার সাহস।আমি এই পর্যন্ত কোন মেয়েরে সরাসরি মুখে প্রপোজ করতে পারি নাই।এখন মনে হয় নিজের বউরেও মনে হয় করতে পারবো না।তবে আমার এই প্রপোজ ভীতির জন্য আমি দ্বায়ি নই।দ্বায়ী হলো এক রুপ,গুন সম্ৃদ্ধ কিশোরী। আমার কাছে অবশ্য তাকে বাঘিনী মনে হয় ( :( )।আমি তখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। বাসা মগবাজার আমবাগানের কাছে।আমি যেই স্কুলে পড়তাম, সেখানকার অনেকেই এই এলাকায় থাকতো। তো আমরা এক সাথে বরফ-পানি, ব্যাডমিন্টন খেলতাম।কিছুদিনের ভিতর লক্ষ্য করলাম এক মেয়ে বরফ-পানি খেলার সময় শুধু আমাকেই ধরে। আমারতো মেজাজ গরম।একদিন দিলাম ঝারি।সেই মেয়ে কেঁদে বাসায় চলে গেল।এই মেয়ে আবার আমার সাথে স্কুলে একই ক্লাসে পড়তো।স্কুলেও টিফিন টাইমে আমরা খেলাধুলা করতাম।সেইখানেও একই অবষ্থা। আমি ঠিক করলাম, ও আমাকে বরফ করতে আসলে আমি আর দৌড় দিবো না। ও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমাদের সাথে আর খেলতো না।আমাদের স্কুলে একটা বিষয় ছিল হাতের কাজ জাতিয়।ছেলেরা সাধারনত ড্রয়িং নিত আর মেয়েরা এর বদলে গান নিতে পারতো। এদিকে যেই মেয়ে গানে ১ম হয় আমি তার প্রতি দুর্বলতা অনুভব করা শুরু করলাম।কথা নাই, বার্তা নাই সেই মেয়ের আশেপাশে ঘুরঘুর করা শুরু করলাম।আমি কারো নাম উল্লখ করবো না।কিন্তু সুবিধার জন্য সবার নামের ১ম অক্ষর ব্যবহার করবো। আমি যেই মেয়ের প্রতি দুর্বল সেই মেয়ের নাম "বি" আর যেই মেয়ে আমাকে খেলাতে বিরক্ত করে সেই মেয়ের নাম "পি"। পি এর আমার প্রতি এই ব্যবহারের কারণ জানতে পারলাম, কয়েকদিনপর। আমদের বাসার নীচে থাকে এক ছোট মেয়েকে দিয়ে আমার কাছে প্রেমপত্র পাঠালো।আমি না বুঝে আমার ২ বছরের বড় বোনকে দিলাম। বোন সেই মেয়েকে ডেকে এনে খুব কড়ে বকা-ঝকা দিল।মেয়ে সেই বকার শোধ নিল তারপরদিন স্কুলে।যখন পিটির ঘন্টা পড়লো তখন আমরা সবাই ক্লাস থেকে নীচে যাই পিটির জন্য।সেই মেয়ে তার ২ বান্ধবীসহ আমার পথ রোধ করে দাঁড়ালো। ক্লাস একটু ফাঁকা হতেই আমাকে প্রশ্ন করলো,"কেন আমি তাকে ভালোবাসি না?"। ওর ২ বান্ধবী ছিল খুব উঁচু-লম্বা টাইপ।কিছু মেয়ে থাকে না, পাশ করতে পারে না।সেইরকম বান্ধবী ওর। আমি কোনমতে বললাম, তুমি "বি" এর মত গান গাইতে পারো না,তুমি স্টুডেন্টও ভালো না আর আমাকে খালি বরফ করো।"পি" মনে হয় এইসব শুনার জন্য প্রস্তুত ছিল। আমাকে বললো, তুমি কোনদিন ভালোবাসা পাবে না কারণ তুমি ভালোবাসা বুঝো না। আর আমি কিন্তু গানে সেকেন্ড হই, অনেকের মতে আমি "বি" এর চেয়ে ভালো গান করি। আল্লাহ সবাইকে সব কিছু দেয় না বলে "পি" আমার গালে তার সারাজীবনের সন্চিত শক্তি দিয়ে চড় মারলো। আমি সিরিয়াসলি প্রায় কেঁদে দিছিলাম।একটা মেয়ের শরীরে যে এত শক্তি থাকতে পারে আমার জানা ছিল না।ও আমাকে চড় মেরে দৌড়ে পিটিতে চলে গেল। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি হেডস্যার আমাকে বলছেন, এই বদমাস পিটিতে যাস নাই কেন। বলে কান ধরে টানতে টানতে সিরিতে এনে ছেড়েদিলেন। ভাগ্য আর কারে বলে। এক দিনে দুই পিটানি।

সেই থেকে বুঝলাম, ভালোবাসার কথা বলতে নেই। ভাগ্য ভালো যাকে ভালোবাসি তাকে বলিনাই, বললে যে কপালে কি ছিল আল্লাহই জানে।

"বি" আমাদের স্কুল ছেড়ে চলে যায় ক্লাস সিক্সে।এই ৩ বছরে আমি তাকে ভালো লাগার কথা বলতে পারি নাই।ও বোধহয় আজও জানে না, আমি তাকে কি পরিমান টিংটিং করতাম।আর "পি" এর সাথে সেই ঘটনার পর থেকে আমার আর কথা হয়নি। আমরা এস.এস.সি পর্যন্ত এক সাথে পড়েছি।

"বি" এবং "পি" তোমরা যদি এই ব্লগে থাকো, তাহলে আমাকে জানাবে পোস্ট মুছে দিবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৮
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মিশন কিংস পার্টির

লিখেছেন sabbir2cool, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩



মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক দল গঠন করার। নব্বই দশক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সরাসরি পেরে উঠতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সরাসরি না করলেও তার অধীনস্থরা এটা করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=খন্ড কাব্য ১-৪=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮


১।মনের অসুখ, মন আকাশ বৃষ্টির ভারে নুয়ে পড়েছে
চোখে বৃষ্টি নামার আগেই তুমি, বলো ভালোবাসি
অথবা চোখে তাকিয়ে বলো এ কাজল চোখে মানায় না বৃষ্টি
বলো, তুমি হাসো মন খুলে
ব্যস! চাই না কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

“বিবেকহীনদের জন্য কিছু প্রশ্ন”

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফেসবুকে দেখি কিছু মানুষ “আপা আপা” বলে চাটুকারিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মনে হয় তাদের আত্মা পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে, তবু তারা অন্ধভক্তি ছাড়বে না! প্রশ্ন হলো—আপনারা কি সত্যিই অন্ধ, নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সারজিস আলম : শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া একজন স্বপ্নবাজ তরুণ

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫০


জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের অগণিত তরুণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান। বিগত সরকারের আমলের ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ: সেনাবাহিনী ও এনসিপির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষাপট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৬


শাহাবুদ্দিন শুভ :: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×