পোস্টার নিয়ে চলছে আলোচনা।
চুলচেরা বিশ্লেষনে মগ্ন শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এর শিক্ষার্থীরা।
স্বেচ্ছাসেবীরা পোস্টার লাগানোর জন্য প্রস্তুত ।
পোস্টার লাগানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নোটিশ বোর্ডে।
পোস্টার স্থান পেলো গেইটে (বন্ধ থাকে)।
পিলারই বা বাদ থাকবে কেন!
দেয়ালতো বাদ যেতেই পারে না।
ব্লগার রাতমজুর যে আটা লাগানোতে এত দক্ষ, আগে জানতাম না।
চটপটির পোর্টেবল দোকানদারের কি দায়িত্বের কমতি আছে? এলেন, নিলেন এবং লাগালেন।
যাত্রী ছাউনিতে মানুষ বসে বসে অপেক্ষাও করবে পোস্টারও দেখবে।
জীবনানন্দের ছায়াকেও একটি পোস্টার লাগানোর সুযোগ দিলাম অনেক ভেবে চিন্তে।
রাজসোহানের পিঠেই ছিলো পোস্টারের ব্যাগ। ৫ কেজির কম হবে না। কিন্তু বারণ করা সত্ত্বেও কেবল ছবি তোলার জন্য পোস্টার লাগাতে এগিয়ে এলো।
এ পথচারী যেনো পোস্টার না লাগালে অপমানিত হবেন। এগিয়ে এসে পোস্টার চেয়ে লাগাতে গেলেন। আমরাতো খুশিই খুশি!
এতো কষ্ট করে পোস্টার লাগালাম, এবারতো দেখার পালা। দেখছেন একজন পথচারী।
অটো রিক্সাটির পেছনে ছিলো একটি রাজনৈতিক পোস্টার। খুশিমনে এগিয়ে এসে বললেন "অপ্রয়োজনীয় পোস্টার না চাইলেও ঝুলাতে হয়, এবার একটা দরকারি কাজ করি"। অনুপ্রেরণা পেতেই আছি!
ইউনিফর্ম পরা মেয়েটি আমার ছোটবোন,মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। আর ছোট যে মেয়েটিকে দেখলেন, সে এক পথ শিশু। অনেকক্ষণ আমাদের পোস্টার দেখে ছবি তোলার সময় দৌড়ে এসে বললো "আমাকেও তোলেন"! তারপর আমাদের হাত থেকে পোস্টার নিয়ে উপস্থিত কয়েকজন ছাত্রীর কাছে পোস্টার বিলি করে।
মিরপুরে পোস্টার লাগানো শেষে ব্লগার শয়তান আমাদেরকে ডালপুরি, চা খাইয়ে দিনের সেরা কাজটি করেন। মিরপুরে পোস্টার লাগানোর সময় উপস্থিত ছিলেন ব্লগার বাংলাদেশ ফয়সাল, নাহোল, রাজসোহান, সবাক, রাতমজুর, জীবনানন্দদাশের ছায়া। শেষের দিকে আমাদের সাথে যোগ দেন ব্লগার দুরন্ত স্বপ্নচারী, পাত্থুরে, রাইজ, শয়তান।
মিরপুরের সবগুলো ছবির ক্যামেরায় ছিলেন ব্লগার বাংলাদেশ ফয়সাল এবং ক্যামেরা ছিলো ব্লগার রাতমজুরের।