somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৬

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” থেকে উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত সহ পুরো জীবজগত বিবর্তিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” এর জায়গায় একাধিক হলে বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব যেমন কারো পক্ষেই প্রমাণ করা সম্ভব নয় তেমনি একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” থেকে পুরো জীবজগতের বিবর্তন প্রমাণ করাও মানুষের পক্ষে অসম্ভব। ফলে বিবর্তন তত্ত্বকে কোনো ভাবেই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বলা যেতে পারে না। এখানে আরো স্মরণ রাখতে হবে যে, বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী “এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন” এর মাধ্যমে উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে। ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিবর্তন প্রক্রিয়াকে যদি পুনরাবৃত্তি করা হয় তাহলে বর্তমান জীবজগতের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবজগত বিবর্তিত হতে পারে। এটি তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেই হবে। নইলে বিবর্তনকে একটি পরিকল্পিত ও নির্ধারিত প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকার করতে হয় – যেটি তাদের মতবাদের বিরুদ্ধে যাবে। ফলে বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী ডারউইনবাদীরা হচ্ছে অসংখ্য, অপ্রত্যাশিত ও দৈব ঘটনার ফলাফল!

নিচের ভিডিও দুটিতে হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখার গতি লক্ষ্য করুন। পাখার গতি এত দ্রুত যে, খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না। প্রকৃতিতে এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। প্রশ্ন হচ্ছে হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখার অত্যন্ত দ্রুতগতি কি প্রথম থেকেই ছিল নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে? এরা যদি ভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে প্রথম থেকেই পূর্নাঙ্গ পাখা ও এত গতি এক সাথে থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে পাখার গতি ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়াই বা সম্ভব কী করে? পাখার গতি যখন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন হামিং বার্ড ও মৌমাছির দৈহিক অবস্থা কেমন ছিল? ভেবে দেখুন।





উপসংহার: হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখা, পাখার দ্রুত গতি, এবং দৈহিক অবস্থা যদি যুগপৎভাবে বিবেচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য কোনো প্রাণী থেকে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব নয় এবং এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোনো প্রমাণও নাই। ফলে প্রাণী দুটিকে প্রথম থেকেই পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের পুরোপুরি বিপরীত।

নিচের ভিডিওতে চিতাবাঘ ও হরিণের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে দৌড়ের প্রতিযোগীতা দেখুন। চিতাবাঘ এভাবেই হরিণ শিকার করে খায়। প্রশ্ন হচ্ছে চিতাবাঘ ও হরিণের অত্যন্ত দ্রুতগতি কি প্রথম থেকেই ছিল নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে? এরা যদি ভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে প্রথম থেকেই এত গতি থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গতি যখন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন প্রাণী দুটির দৈহিক অবস্থা কেমন ছিল? প্রাণী দুটির ক্ষীপ্র গতি আর জৈবিক বিবর্তন কি যুগপৎভাবে ঘটেছিল?



উপসংহার: চিতাবাঘ ও হরিণের মধ্যে যে প্রতিযোগীতা দেখছেন সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি, যেখানে ক্ষীপ্র গতির ব্যাপারও জড়িত। এরকম একটি পদ্ধতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য প্রাণী থেকে বিবর্তিত হতে পারে না এবং এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোনোই প্রমাণ নাই। ফলে প্রাণী দুটিকে প্রথম থেকেই সব কিছু সহ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক।

নিচের ভিডিওতে একটি মাছরাঙার মাছ শিকার করার পদ্ধতিটা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। বেশ উঁচুতে কিছুক্ষণ স্থির থেকে, যথাযথভাবে শিকারীর দিকে তাক করে, পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাছ শিকার করছে। মাছরাঙার এই মাছ শিকার করার কৌশল কীভাবে এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব? এই পদ্ধতি যদি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হতে থাকে তাহলে সেই মধ্যবর্তী ধাপগুলোতে মাছরাঙার দৈহিক অবস্থা ও শিকার করার পদ্ধতি কেমন হবে? আবারো ভেবে দেখুন।



উপসংহার: মাছরাঙা যে পদ্ধতিতে মাছ শিকার করে সেই পদ্ধতি সহ মাছরাঙার মতো কোনো প্রজাতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য কোনো প্রাণী থেকে বিবর্তিত হতে পারে না। ফলে এই প্রাণীকে একদম প্রথম থেকেই সব কিছু সহ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের সাথে কোনো ভাবেই যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
১৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

১. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৬

ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: হয়রান ভাই, আপনি তো এই বছরেই নো-বেইল পুরষ্কার পাইয়া যাইবেন মনে হইতাসে। যে হারে গবেষণা আর পোস্ট দিতাসেন, কোনদিন যে আপনে নো-বঈল পাইয়া যান, সেই দুশ্চিন্তায় আছি। আপনের গবেষণাধর্মী পোস্টে বাই ডিফল্ট মাইনাস।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৬

লেখক বলেছেন: ব্লগে ব্লগে কিছু লোক যে হারে হয়রানী হইতেছে তাতে নো-বেইল পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। মাইনাসে সমস্যা নাই। তবে স্বনামে ও ব্যাখ্যা সহ দিলে নিরপেক্ষধর্মী পাঠকরা উপকৃত হতেন।

২. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৬

জাওয়াদ হাসান বলেছেন: ২ নং প্যারায় এতগুলা উদাহরণ দেওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৬

লেখক বলেছেন: স্যরি! আমিও তাই ভাবছিলাম।

৩. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৪

চিন্তামুনি বলেছেন: সাপ দেইখ্যা ভয় পাইছি???? পড়তাম না । আমি ভাগি্‌,......। ভুই পাইছি। পালাইলাম......।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১৪

লেখক বলেছেন: :D

৪. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৫

সবুজপএ বলেছেন: হয়রান বাঈ এর মার্কা কি ?

তালগাছ ছাড়া আবার কি?



কেউ জেগে জেগে ঘুমালে তাকে কখনও জাগানো যায় না ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৯

লেখক বলেছেন: ব্লগে ব্লগে হয়রানী কেমন চলছে। স্বনামে হয়রানী হয়ে ঘুম থেকে জাগানো যায় না?

৫. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১১

আমাদের ইয়াহু বলেছেন: জগৎএর প্রত্যেকটি প্রানী জোড়ায়-জোড়ায়। তারা মিলন করে এবং মিলনের সময় স্বর্গানুভূতী পায়। একটি এককোষী এমিবা বা ব্যাক্টিরিয়া বিবর্তন হয়ে এরকম সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় তৈরী হয়েছে, এটা এক পাগল ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করতে পারেনা।



অবশ্য যারা জেগে জেগে ঘুমায়, আপনার এই লেখা তাদের কখনোই জাগাতে পারবে না।

৬. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমাদের ইয়াহু বলেছেন: জগৎএর প্রত্যেকটি প্রানী জোড়ায়-জোড়ায়। তারা মিলন করে এবং মিলনের সময় স্বর্গানুভূতী পায়। একটি এককোষী এমিবা বা ব্যাক্টিরিয়া বিবর্তন হয়ে এরকম সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় তৈরী হয়েছে, এটা এক পাগল ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করতে পারেনা।



অবশ্য যারা জেগে জেগে ঘুমায়, আপনার এই লেখা তাদের কখনোই জাগাতে পারবে না।

৭. ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: একটা সময় গেছে যখন বাংলাদেশের কিছু মানুষ নেশা করতো। কিন্তু এ নেশা শরীরের নেশা নয়, এ নেশা মতবাদিক নেশা। সমাজতন্ত্র নামক মতবাদের নেশা। হাতে গোনা গুটি কয়েক মানুষ। সুন্দর সুন্দর কথা বলতো তারা। ঐ কথামালা দিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে নেশার স্বাদ নিতে বলতো। কিন্তু মানুষ ঐ নেশায় আসক্ত হয় নাই। মার্কেটে খায় নাই ঐ মতবাদ। ঐ কিছু মানুষ এখন বুর্জোয়া রাজনীতি করে। আগে করতো সর্বহারার রাজনীতি, শ্রেণী সংগ্রামের রাজনীতি, শ্রেণী শত্রু খতম করার রাজনীতি, সর্বহারার একনায়কতন্ত্রের রাজনীতি। কিন্তু দিন পাল্টেছে। তারা এখন করে বুর্জোয়া রাজনীতি। কেউ হাছিনার দলে, কেউ খালেদার দলে। কেউ পাজেরো হাকায়, আবার কেউ শুকিয়ে মরে। অর্থাৎ বেকার। ঐ বেকারদের তো আর কোন কাজ নাই, তাই তারা নতুন নেশা ডারউইনবাদের অবতারনা করতে চাচ্ছে। মার্কেটে চলুক, বা না-চলুক। বেকারত্ব দূর না-হওয়া পর্যন্ত তারা ডারউইনবাদের নেশা করবে। যেমন এক সময় তাদের গুরুরা সমাজতন্ত্রের নেশা করতো। কিন্তু কথা হচ্ছে সমাজতন্ত্র যতদিন বেচে ছিলো ততদিন ডারউইনবাদের দরকার ছিলো। বিজ্ঞানের আবরনে, বিজ্ঞানের ছদ্মবেশে সমাজতন্ত্রের খুঁটি হিসেবে ডারউইনবাদের প্রাসঙ্গিকতা ছিলো। সমাজতন্ত্রকে বাচিয়ে রাখার জন্য। তখন ধর্মগ্রন্থের মতো সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশ সমূহে ছাত্রদের বাধ্য করে পড়ানো হতো। এখন সাধারণ মানুষ

সমাজতন্ত্রের কথাও ভাবে না। ডারউইনবাদের কথাও ভাবে না। বড়জোর একটা চাকুরী, ছোটখাট ব্যবসা এবং যারযার সাধ্যমতো আল্লাহ বিল্লাহ করে। ধর্ম পালন করে। আখেরাতের কথা ভাবে। তারুণ্যে এবং যৌবনে শৈথিল্য থাকলেও প্রৌঢ় বয়সে এসে আল্লাহকে ডাকে। আল্লার কাছে গোনাহ পাপের জন্য মাফ চায়। এত সময় কোথায় সাধারণ মানুষের ডারউইনবাদের নেশা করার জন্য। এখন ঐ কিছু মানুষের চেলা সাগরেদরা ডারউইনবাদের নেশা খাওয়াতে চাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তারা যদি তাদের গুরুদের মতো সময়মতো বাস্তব বুদ্ধির পরিচয় দিতো, তাহলো তাদের নিজেদের জন্যই উপকার হতো।



দেখুন কী হয়। কিছুদিন যাক। তারপর দেখবেন নেশা উত্‌রে গেছে। ডারউইনবাদ ছেড়ে আল্লাহ বিল্লাহ করবে। তাসবিহ্ জপবে। তাদের গুরুদের মতো।



যতকিছু দিয়েই বোঝান আপনি, কিস্‌সু হবে না। বিজ্ঞান দিয়ে, তথ্য দিয়ে, যে-কোনো কিছু দিয়ে। দে ওন্‌ট্ বি কন্‌ভিন্‌স্‌ড্, আই এ্যাম্ শিওর্। বলে রাখি, আর সাধারণ মানুষের নেশা করার সময় নাই। কিভাবে দ্রব্যমূল্য কমবে, কিভাবে দু'মুঠো ভাত সে চিন্তাই করে।



ধন্যবাদ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৫

লেখক বলেছেন: আপনার এ বিষয়ে বেশ ভাল ধারণা আছে মনে হচ্ছে। মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম। সম্ভব হলে সাধারণ পাঠকদের জন্য দু-একটি পোস্ট দিতে পারেন।

৮. ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩২

মহি আহমেদ বলেছেন: "ঠোঁট কাটা বন্ধু" ব্লগারের কমেন্ট পড়ে মনে হয় ওনি আসলেই ডারউইনবাদের নেশায় দিশে হারা তানাহলে যুক্তিক ব্যাখ্যা সহ মন্তব্য না করে কাউকে এভাবে হয়রানী মুলক কথাবার্তা বলে আক্রমন করেনা কোন বিবেকবান মানুষ।



এ পোষ্টের লেখককে ধন্যবাদ দিতে হয় এ জন্য যে তিনি আমাদের মত সাধারন পাঠকের উপকার করছেন ডারউইনবাদের বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পেতে।

৯. ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৩

ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: @মহি আহমেদ: আপনিও সব পড়ালেখা বাদ দিয়ে হয়রান ভাইয়ের মত কোরান পড়া শুরু করে দেন। দেখবেন কত কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছেন!!! কারণ কোরানের মধ্যেই পুরা গ্যালাক্সী আছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩

লেখক বলেছেন: সৎ সাহস থাকলে স্বনামে আসেন। কে হয়রান আর কে ধর্মগ্রন্থ নিয়ে পড়ে থাকে তখন দেখা যাবেনি।

১০. ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫

জাওয়াদ হাসান বলেছেন:

ভাই সব রাইখা অ্যানাকোন্ডার ছবি দিলেন কেন? সাপ কেউ পছন্দ করে না এইটা আপনি জানেন না?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৩

লেখক বলেছেন: স্যরি! অ্যানাকোন্ডাটা আমার পছন্দ হয়েছিল।

১১. ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৪৩

সরোয়ার হোসেন বলেছেন: পোষ্টের লেখক কিছু চরম সত্য পর্যবেক্ষন করেছেনঃ



"..... ব্যতিক্রমধর্মী কিছু উদাহরণ নিয়ে এসে বলার চেষ্টা করেন যে, প্রকৃতিতে যেহেতু অমুক-তমুক আছে সেহেতু সেটি বৈজ্ঞানিক বা প্রাকৃতিক। এভাবে প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিয়ে কোন কিছুকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। অথচ তারা যে সকল উদাহরণ হাজির করেন সেগুলো বেশ সীমিত কিংবা ব্যতিক্রমধর্মী।"





"অন্যদিকে প্রকৃতিতে অনাচার, ধর্ষণ, ও পুরুষের বহুগামীতা কিন্তু একেবারেই কমন ও ছড়াছড়ি। এগুলো উত্থাপন করা হলে ডারউইনবাদীরা ভোল পাল্টিয়ে অন্য ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন! "





১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫২

লেখক বলেছেন: এখানে 'অনাচার' এর জায়গায় 'অজাচার' (incest) হবে।

১২. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পোষ্টে +



@আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন- দেখুন কী হয়। কিছুদিন যাক। তারপর দেখবেন নেশা উত্‌রে গেছে। ডারউইনবাদ ছেড়ে আল্লাহ বিল্লাহ করবে। তাসবিহ্ জপবে। তাদের গুরুদের মতো।



একদম ঠিক বলেছেন

১৩. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৮

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: হ্যাটস অফ @ আশরাফ মাহমুদ মুন্না

১৪. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৫

কাকপাখি ২ বলেছেন: সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: হ্যাটস অফ @ আশরাফ মাহমুদ মুন্না

১৫. ১৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭

শুধু প্যচাল বলেছেন: রায়হান ভাই আসলেই অধিক ধার্মিকতায় ভুগছেন, উনাকেই বিবর্তন বাদ ভাইরাসে আক্রোমন করেছে। উনার সুস্থতা ফিরে আসার জন্য আসুন সকলে আল্লার দরবারে হাত তুলি.।আমিন। উনার সাথে যোগ দিয়েছে আর এক ভাই তিনি হইলেন আশরাফ মাহমুদ মুন্না । তিনি এখন মনে হয় চাকরি বাকরি পেয়ে বেশ ভালই আছেন, আর তাই আল্লাহর নামে তসবীহ গুনে যাচ্ছেন। সবই উনাকে আল্লাহ দিয়েছেনত তাই। আর যারা বেকার তাদের আল্লা দেয়নাই। আল্লাহ এত বড় সর্বশক্তিমান -তিনি যে কাউরে সরকারী অফিসে চাকরি দিয়ে দেন। মহাবিশ্বের এত কিছুর ভিতরেও মানুষকে ব্যবসা সফল করায় দেন, আবার কাউরে ঠ্যাং মারেন.।যাইহোক হাসি পায় এইসকল বিদ্যা পাপীদের কথা শুনে।



সে যাক, কথা হল বিবর্তন বাদ ঃ রায়হান সাহেব আপনার চোখের সামনে পর্দাটা সরান, চোখ ইচ্ছা করে আপনার বন্ধ সাথে আপনার চোখের সামনে কাগজের কালির অক্ষরে ছাপানো কোরানের অক্ষরগুলো দিয়ে সত্য আটকানো। আপনে সকল কিছু দেখা বুঝার আগেই আপনার মস্তিষ্ক বলেই দেয় -"বাবা রায়হান তুই এই জিনিস বিশ্বাস করবি? তোর বাবা দাদা শিখানো ধর্ম তোকে এটা মানতে দেয়? তোকে কি শিখানো হয়েছিল তাই তুই মনোনিবেস কর"। আর অমনি আপনেও চোখ পালটি মাইরে বসেন। আপনে শিক্ষিত হয়েছেন অনেক কিন্ত জ্ঞানী হন নি।



কেননা একটি সময় আপনাকে একটা গন্ডির ভিতর আটকে দেয়া হয়েছে- হয়ত আপনার পরিবার, নাহয় আপনার আত্নীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব কেউ একজন.।যাইহোক সেই বন্ধন হল অন্ধ, কুসংস্কার, রুপকথায় ভরা কোরান ও ইসলাম। উহা আপনার মস্তিষ্কে এমন ভাবে বেধে গেছে যে এর বাইরে যাওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব না।



জানি আমার এই কথা আপনার কুসংস্কার ঘেরা পুরু দেয়াল ভেদ করে মস্তিষ্কে যাবেনা। তাও বললাম আর কি।



কোরানের সর্বত্র বিবর্তনবাদ, জন্মান্তরবাদ, রুপান্তরবাদ দ্বারা পরিপূর্ন। কোরানকে বুঝতে এই বিষয়ের উপর যদি সম্যক ধারনা না থাকে, বা এই বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস না থাকে তাহলে হাযার সাধনা করেও লাভ হবেনা, হয় আপনার মত রায়হান পয়দা হবে সমাজে, নাহয় জোকার নায়কের মত হাজারো পশু পয়দা হবে এই জগতে। আর তাই হচ্ছে। কারন হল মুসলমানদের প্রথমেই এই ৩০ পারার কাগজের কোরানের আক্ষরিক অর্থে বেধে দেওয়া হয়েছে।

যারাই আপনাকে শিক্ষা দিয়েছে তারা এক ---, আর আপনাকেও তাই বানানো হয়েছে। আপনেও এখন অনেক শিশুকে ধরে সেই---- বানাচ্ছেন। লেজ কাটা শিয়ালের মত। লেজ কাটা শিয়াল বুঝত যে সে অসুন্দর, সবার থেকে বেমানান, কিন্তু আপনে সেটাও বুঝেন না।



বিজ্ঞান আর ধর্ম, পয়সার এপিঠ আর অপিঠ। ডারুইন আজ থেকে এত বছর পূর্বে সে চিন্তায় ছিল এই প্রকৃতি, সৃষ্টি নিয়ে এবং তার কথা ফেলায় দেয়ার মত না। তিনিত কিছু বলেছেন, আপনেত তাও বলতে পারেন না। আপনারা যারা কোরানের কাগজ নিয়ে মুখে চুমু খান, আজব্ধি দেখা গেলনা আপনাদের দ্বারা এই সৃষ্টির কোন উপকারে আসতে। সৃষ্টি নিয়ে কিছু করতে।



এইখানের মুন্না ভাইর মত বলতে হয়ঃ কিছু আছে যারা অধিক শিক্ষায় শিক্ষহিত, অক্ষর বিদ্যায় পারদর্শি হচ্ছে- অধিক টাকা কড়ি আছে হয়ত, হয়ত বা না, সব কিছুই আল্লাহ নেয়ামত বলে চালিয়ে দিচ্ছে তাদের কাজ হইল বিজ্ঞানের কিছু ভাল লাগলে তা কোরানের থেকে বের করে প্রমান করে দেয়া, ভাল না লাগলে কোরানের দ্বারা তার অমত ঘটানো। কিন্তু বিজ্ঞান আবিষ্কারের আগে কোন ভাবেই কোরান থেকে আজব্ধি কিছুই বের হলনা। আপনেও সেই দলের একজন। আপনে কি ভাইজান তবলীগ করেন নাকি? এই আর এক উদ্ভট জগত - যাইহোক



আমার মন্তব্য খারাপ লাগলে আমি দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

* ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’
* ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
* ‘নাটক কম করো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসসালামু আলাইকুম। ইদ মোবারক।

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৯



ঈদ এখন এক নিরানন্দময় উপলক্ষ্য।
কিতাবে আছে ধনী-গরীব অবিভাজনের কথা বরং এদিন আরো প্রকটতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয় বিভেদরেখা কেননা আমরা আমাদের রাষ্ট্র- সমাজব্যবস্থা ও জনগণকে সেভাবে দিয়েছি ঘিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদের শুভেচ্ছা: দূর থেকে হৃদয়ের কাছ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩

আসসালামু আলাইকুম,
আজ ঈদের দিন। চারদিকে উৎসবের আমেজ, হাসি-খুশি, নতুন জামা আর মিষ্টি মুখের আদান-প্রদান। আমি ইউরোপে আমার পরিবারের সাথে এই আনন্দের মুহূর্ত কাটাচ্ছি। কিন্তু আমার হৃদয়ের একটা কোণে একটা ফাঁকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে......

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০


বাংলা গানের ভাণ্ডারে কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী সংগীতের এক শক্তিশালী ধারা তৈরি করেছেন। তারই লেখা কালজয়ী গজল "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে এলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই যে আমার নানা রঙের ঈদগুলি ......

লিখেছেন অপ্‌সরা, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪২


পেছনে ফিরে তাকালে আমি সবার প্রথমে যে ঈদটার কথা স্মরন করতে পারি সেই ঈদটায় আমি পরেছিলাম আমব্রেলা কাট নীলচে বলবল রং একটা জামা এবং জামাটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×