গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সবচেয়ে করাপ্টেড সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) ঢাকার বাসায় অভিযান চালায় দুদক। দুদকটিম আলমারির নিচে বিশেষ কায়দায় রাখা নগদ ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে এবং ওই অভিযান থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা লকারগুলোর সন্ধান মেলে।
পরে এস কে সুরের লকার খুলে নগদ ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ৭০ লাখ টাকার এফডিআর ও এক কেজি সোনার অলংকার জব্দ করা হয়। সেই সময় সিলগালা করা লকার পাওয়া যায়। এমনিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকার ভল্টে লকার থাকে সেখানে কেন সিলগালা করা লকার এনিয়েই প্রশ্ন ওঠে দুদকের মনে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ লকারগুলো। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ লকারে রেখেছেন। ( আপনারা অনেকেই জানেন যে, যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিম বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক পরিদর্শনে যায় তখন তাদের ভাব দেখলে মনে হয় যেন ওরা চোর ধরতে গিয়েছে; সকালে কয়েক আইটেম দিয়ে নাস্তা করাতে হয় দুপুরে ১৪/১৫ আইটেম দিয়ে লাঞ্চ করাতে হয় আবার যাওয়ার সময় বড় বড় প্যাকেট ধরিয়ে দিতে হয় না হলে রেহাই নেই। তারা 9 কে 6 বানাবে নতুবা 6 কে 9 বানিয়ে আপনাকে ফাঁসানোর ব্যবস্থা করবে তবে সবাইনা ব্যতিক্রমও আছে) ওই সব বিশেষ লকারে গোপনে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
একইভাবে ক্স্টমস/এনবিআর/পুলিশ/সিটি কর্পোরেশন/এলজিআরডি এবং যেসব প্রতিষ্ঠানে অবৈধ্ভাবে অর্থকামানোর সুযোগ আছে সেই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা, ভাই-বোন, শশুড়-শাশুড়ী এবং শালা-শালী সবারই একাউন্ট, লকার তল্লাশি করলে এরকম লক্ষ লক্ষ সুর চৌধুরীর খোঁজ পাওয়া যাবে।
সুতরাং বিষটি সরকারের ভেবে দেখা দরকার; ইহা এখন সময়ের দাবী।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭