আল্লাহ পৃথিবীর মানুষকে বেশ কয়েকটি দলে ভাগ করেছেন। কুরআনে বলা হয়েছে ‘আমি তোমাদের বহু প্রকৃতিতে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনে নিতে পার’
তাই আমরা দেখি পৃথিবীতে বিভিন্ন সভ্যতার মানুষ আছে। যেমন
1) ভারতীয়
2) চীনা (পূর্ব এশিয়া)
3) শ্বেতাঙ্গ
4) আফ্রিকান
5) আরব
6) রুশ ও মধ্য এশিয়া
7) লাতিন আমেরিকান
আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে সৌন্দর্য, বৈচিত্র্য ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করার জন্য এসব পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন। এইসব সম্প্রদায়গত ভিত্তিতে আল্লাহর কাছে মানুষের মর্যাদা হয় না। কুরআনে বলা হয়েছে: ইন্নাল্লাযীনা আকরামাকুম ইনদাল্লাহি আতকাকুম- তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় করে। রাসুল (সা কখনও অনারব, হাবশী, পারস্যের মুসলমানদের প্রতি অবিচার করেননি।
সবচেয়ে উল্লেখ্য ব্যাপার হল উপরোক্ত সব জাতির মধ্যেই মুসলমান আছে। এবং বিপুল পরিমানে। হিন্দু-খ্রিষ্টান-ইহুদী ধর্মের মতো তাই ইসলাম ধর্ম সম্প্রদায়ের সংকীর্নতায় আবদ্ধ নয়। দুনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ, লাতিন আমেরিকান, আফ্রিকান বহু মুসলমান রয়েছে। এমন কোন বড় শহর নাই যেখানে কোন মসজিদ নাই। তাই সত্যিকার অর্থে ইসলামি সভ্যতাই একমাত্র বৈশ্বিক সভ্যতা। ইসলামই প্রথম বিশ্বায়নকে বাস্তবে রুপায়িত করেছিল।
বহু জাতির মুসলমানদের মধ্যে আমরা ভারতীয় বা হিন্দুস্তানী মুসলমানদের গোত্রভুক্ত। ইসলামের ইতিহাসে হিন্দুস্তানী মুসলমানরা কাজ, সাহিত্য, রাজনীতি, সংস্কৃতির দিক দিয়ে এক উচু স্থান দখল করে আছে। কাবুল থেকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত বিশাল জনপদে মুসলমানরা সৃষ্টি করেছে এক নিজেস্ব সংস্কৃতি।
তবে কোন কোন সময় মুসলমানদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ না বুঝে ভারত-আমেরিকা-ইসরাইলের মুন্ডুপাত করে থাকেন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে রাজনৈতিক ভাবে শত্রুকে মোকাবিলা যেন সাম্প্রদায়িকতায় অবনত না হয়। ভারত-আমেরিকা-ইসরাইলে বহু মুসলমান আছে। কোন দেশই ইসলামের শত্রু নয়। বর্তমানের এই জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ইসলাম সমর্থন করে না।
সবখানেই ভাল/খারাপ মানুষ আছে। ভারতে যেন শিবসেনা, আমেরিকায় ইহুদী লবী, ইসরাইলে জায়নবাদীরা আছে, তেমনি বাংলাদেশ/পাকিস্তানে আছে সুশীল সমাজ-সাম্রাজ্যবাদীদের চেলা-নাস্তিক মহল। এদের সবার চরিত্র ও লক্ষ্য একই।