somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিরক্ষরতা বিষয়ক চাঞ্চল্যকর ভাবনা চিন্তা

১২ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নিরক্ষরতা বিষয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার পর থেকে এ এ নিয়ে আমার কৌতুহল আরো বেড়েছে। আপনারা মতামত দিয়ে আমার চিন্তা মাত করুন।

দেখুন পৃথিবীতে সাক্ষরতার হার এখনও অনেক কম, (সব মিলিয়ে) আর সাক্ষরতার ইতিহাসও অনেক নতুন। ১৬০০ সালে গুন্টারবাগের ছাপাখানা আবিষ্কারের পরই বই লেখা ও বই পড়ার ধুম পড়ে যায়। এর আগে পৃথিবীতে বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল সভ্যতায় (যেমন গ্রীসে, রোমান, ইসলামি, ভারতীয়, অটোমান) পড়া-লেখার কোন চল ছিল না।

ততকালে জ্ঞানার্জন ছিল ব্যাবহারিক ভিত্তিক। ছাত্ররা শিক্ষকের সাথে থেকে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করতো। শিখতো পরিবেশ, মানুষ, ঐতিহ্য থেকে।

খুবই সাম্প্রতিক সময়ে বই পড়া ও লেখা চালু হয় (১৭০০ সাল থেকে)। তাও গনসাক্ষরতার যুগ আসে ১৯৫০ সালের পর থেকে। তাই সাক্ষরতা একটি পাশ্চাত্য-উদ্ভাবিত, হাল নাগাদ, বৈষম্যমূলক, দুর্বল সিষ্টেম। নিরক্ষর হয়েও জ্ঞানার্জন করা যায়।

সাক্ষর হতেই হবে এই ধারনা বা নোশন সাম্রাজ্যবাদীদের অরোপিত, পুজিবাদিদের ফানুস।

লক্ষ্যনীয় যে কুরআন কিন্তু কোন লিখিত বই নয়। এটা মৌখিক ভাবে নাজিল হয়েছিল। বর্তমানে আমরা যে লিখিত কুরআন দেখি তা কুরআনের সামগ্রিকতার একটা অংশমাত্র।

তাই আসুন আমরা নিরক্ষরদের মূল্যায়ন করি। নিরক্ষরতা যুগ যুগ ধরে চলা আসা ইতিহাস, কোন পিছিয়ে-পড়া বিষয় নয়। নিরক্ষরতার অব্যক্ততার মধ্যেও থাকে অজস্র অস্পৃশ্য রত্ন, অপরদিকে সাক্ষরতার স্পষ্ট ব্যাখ্যার মধ্যে রয়েছে সমাধানহীনতার প্রবল সম্ভাবনা।
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

* ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’
* ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
* ‘নাটক কম করো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসসালামু আলাইকুম। ইদ মোবারক।

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৯



ঈদ এখন এক নিরানন্দময় উপলক্ষ্য।
কিতাবে আছে ধনী-গরীব অবিভাজনের কথা বরং এদিন আরো প্রকটতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয় বিভেদরেখা কেননা আমরা আমাদের রাষ্ট্র- সমাজব্যবস্থা ও জনগণকে সেভাবে দিয়েছি ঘিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদের শুভেচ্ছা: দূর থেকে হৃদয়ের কাছ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩

আসসালামু আলাইকুম,
আজ ঈদের দিন। চারদিকে উৎসবের আমেজ, হাসি-খুশি, নতুন জামা আর মিষ্টি মুখের আদান-প্রদান। আমি ইউরোপে আমার পরিবারের সাথে এই আনন্দের মুহূর্ত কাটাচ্ছি। কিন্তু আমার হৃদয়ের একটা কোণে একটা ফাঁকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে......

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০


বাংলা গানের ভাণ্ডারে কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী সংগীতের এক শক্তিশালী ধারা তৈরি করেছেন। তারই লেখা কালজয়ী গজল "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে এলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই যে আমার নানা রঙের ঈদগুলি ......

লিখেছেন অপ্‌সরা, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪২


পেছনে ফিরে তাকালে আমি সবার প্রথমে যে ঈদটার কথা স্মরন করতে পারি সেই ঈদটায় আমি পরেছিলাম আমব্রেলা কাট নীলচে বলবল রং একটা জামা এবং জামাটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×