অভিবাসন জিন্দাবাদ! সবাই মিলে সব ধরনের অভিবাসনকে স্বাগত জানাই। ভেঙ্গে যাক শ্বেত-আধিপত্য, উবে যাক ভাষা-বর্ন-অন্চল ভিত্তিক ভুয়া জাতি রাষ্ট্র। খোদার ধরায় তারই দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হোক।
অভিবাসন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নীরব কিন্তু ব্যাপক প্রভাবশালী বিষয়। অভাবনীয় গতিতে সর্বত্র অভিবাসনের ফলে বিশ্বের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান চিরতরে বদলে যাচ্ছে। অভিবাসন হয়ে উঠছে পূর্ব-পশ্চিমের বৈষম্য মুছে ফেলার একমাত্র উপায়।
আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে রাশিয়া একটি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে পরিনত হবে। লস এন্জেলস এ ৭০ ভাগ লোক হবে অশ্বেতাঙ্গ। আগামি সম্ভবত একশ বছরের মধ্যে ইউরোপে প্রতি চার জনে এক জন মুসলমান মানুষ হবে। স্পেন ৫০ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক নিতে বাধ্য হবে (অন্যদেরও একই অবস্থা)। এশিয়া থেকে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী ইউরোপে নিবাস গড়বে।
চীনের প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক অভিবাসী, ভারতের আড়াই কোটি, পাকিস্তানের এক কোটি, বাংলাদেশের ৫০ লাখ।
শত বছর ধরে পশ্চিমা বিশ্ব যে নির্ভরশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (dependency theory of economics) গড়ে তুলেছে, পূজির বিশালত্বের সাহায্যে শোষনের নেটওয়ার্ক বসিয়েছে, বর্নবাদ প্রোথিত করে তুলেছে, সেসব তছনছ করে দিচ্ছে এই প্রবল অভিবাসন।