ব্লগে গত কয়েকদিন ধরে রাগ ইমন সংক্রান্ত ফাইটিং দেখে ইন্টারনেটে দরকারী কাজগুলোও করতে পারছি না। আশরাফ রহমানের ব্লগে ত্রিভুজের একটি মন্তব্যে যার শুরু।
কেউ সেই ব্লগটি দেখে আসলে (Click This Link) দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অনেক দূর হবে। লক্ষ্যনীয়, যে অনেকে যে ত্রিভুজের মন্তব্যকে খারাপ বলছেন, তাদের কেউ কিন্তু তাতক্ষনিক ভাবে সেই ব্লগে কোন প্রতিবাদ করেন নি। তাদের মনে হল সেই মন্তব্যটা খারাপ যখন তীরন্দাজ পরে একটা একপেশে, একচোখা পোষ্ট করলেন। সত্যকে বিকৃত করতে যে প্রগতিশীলদের জুড়ি নেই তা আবারও বোঝা গেল।
ত্রিভুজের মন্তব্যটা ছিল পুরোটা এই:
""কিন্তু , আমার যেটা জানতে ইচ্ছে করছে তা হল , প্রতিভার এই বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে , আর সারা পৃথিবীর মুসলমানদের মুসলমান হিসেবে কি এলো গেল ?"
হুমম..... রাগ ইমনদের কি আর আসবে যাবে? রাস্তায় জামা কাপড় খুলে চলার স্বাধীনতা পেলে উনারা সবচেয়ে খুশি হতো.. নিজেদের অপার সৌন্দর্য দেখানোর একটা সুযোগ সৃষ্টি হতো........... (আরো কঠিন কিছু বলতে ইচ্ছে করছে... কন্ট্রোল করলাম....)
আর প্রতিভা পাতিলের এই বক্তব্য নতুন কিছু নয়... ধর্মনিরপেক্ষতার আসল চেহারা দেখানো মাত্র..... ....
শেষে একটা প্রশ্ন.... এই টপিকে 'মুক্তিযুদ্ধ' চলে আসলো কিভাবে? কুমিরের উপদ্রবে তো ব্লগে থাকা যাবে না মনে হচ্ছে....

ব্লগ কোন পাঠশালার ক্লাসরুম নয়। এখানে সবাই প্রায় অন্যের প্রশংসা-নিন্দা, ঝারি-পাম দেন। আমরা কথ্য যে ভাষা বলি প্রায় তাই ব্লগে লেখি। কারন ব্লগের লেখাগুলো তাতক্ষনিক ভাবে লেখা হয়। সমান্তরালভাবে ব্লগিং করার সময় মনে হয় আমি তার সাথে কথা বলছি। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আমরা তাই খুব নিবিড় মানে মনে যেসব কথার জন্ম হয় তাই বলি। তবুও যেহেতু এটা লিখিত ফরম্যাট, তাই শালীনতার প্রথা বজায় রাখা অবশ্যই দরকার।
পর্দা একটি ফরজ ইবাদত, ঠিক যেরকম নামাজ-রোজা ফরজ। মূর্খ্যরা জানুক পর্দা মানে মেয়েদের কাপড় দিয়ে মুড়ে দিয়েই শেষ নয়। পর্দা অনেক বড় একটি বিষয়। আর নারী-পুরুষ দুইয়েরই পর্দা করা ফরজ।
ত্রিভুজ যে মন্তব্যটা করেছেন তাকে আমার মন্তব্যের ধারাবাহিকতায় একটা উত্তর বলেই মনে হয়েছে, ব্লগে লম্বা মন্তব্যের লাইনে যেমন হয়। অনেক সময় মন্তব্য ছাড়িয়ে যায় পোষ্টকে। ঐপোষ্টে বোঝাই যায়নি ত্রিভুজ অন্যরকম কিছু বলেছেন কিনা। আমি বলছিনা কোন মেয়ের ল্যাংটা হয়ে হাটা এসব কথা বলা খুব উতসাহজনক। আমি বলছি ঐ ধারাবাহিকতায় সেটাকে কোন অশ্লীল বলে মনে হয়নি-শুধু একটা instant reaction মনে হয়েছে।
ব্লগে অহরহ গালি-অশ্লীল গল্প-কদর্য লেখালেখির বন্যা বয়, প্রগতিশীলরা সোতসাহে আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু এবার হঠাত করে শালীনতার সীমা আলোচনা মনে হল......ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না।
যাক, আগে টিভি-সংবাদপত্রে-পোষ্টারে আওয়ামী লীগাররা প্রপাগান্ডা চালাত, আনায়াসে বলতে পারত পৃথিবীর তিন ভাগ স্থল আর একভাগ জল। কিন্তু এই ব্লগযে নিঠুর জায়গা হে।
এখানে সবকিছু ট্রেস আউট করা যায়--চিচিং ফাক করা যায় সহজেই। কাজেই----আগের মত গলা ফাটিয়ে মিথ্যা বলার দিন শেষ।