somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুখোশ উম্মোচন কিন্তু........( রি-পোস্ট এবং সম্পূর্ণ)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবু তাহের মিসবাহ
ইনকিলাবের মুক্তাঙ্গনে কিছু দিন আগে (মাওলানা) মওদুদী ও জামাতের সমলোচনা করে একটা ‘কড়া’ লেখা লিখেছেন সাইফুল আদল নামে জনৈক মুফতী সাহেব। সেই লেখার একটা চড়া জবাব দিয়েসেন গত১৭ই মে ইনকিলাবের একই পাতাই জনৈক আব্দুল আযীয । তিনি অবশ্য মুফতী নন ‘কলেজ লেকচারার’। লেকচারার সাহেব তার লেখার নাম দিয়েছেন ‘মুখোশ উম্মোচন’। তা মুখোশ তিনি ভালই উম্মোচন করেছেন তবে কিনা বেচারা মুফতী সাহেবের তকেরও যথেষ্ট ক্ষতি সাধন করেছেন।
আমার এক দ্বিনি ভাইয়ের অনুরোধে দুট লেখাই পড়লাম, তিনি বলেছিলেন তাই কষ্ট করে হলেও পড়তে। কষ্ট করেই পড়তে হলো। এত কষ্ট হলো যে প্রথমে ঝরলো চোখের পানি এখন ঝরছে কলমের কালি । দুঃখের বিষয় ‘মুফতী’ ও ‘অমুফতী’ শালীনতা উভয়েরই হাত ছাড়া হয়ে গেছে। দু’জনেরিই মনে রাখা উচিত ছিল ‘ এটা চার দেয়ালের বাইরে মুক্তাঙ্গন এবং আমাদের কলম ঠুকাঠুকি হতে পারে অন্যদের পুলকের কারন। লেকচারার সাহেবের ভাষায় মুফতী সাহেব না হয়, ‘অজ্ঞ- অপরিপক্ব, ঈষাকাতর, ফতোয়াবাজ ইত্যাদি। কিন্তু তিনি নিজে তো কিঞ্চিৎ বিজ্ঞতা ও পক্কতার পরিচয় দিতে পারতেন। মুফতী সাহেবকে তিনি আসমানি আয়াত ‘বিল্লাতী হিয়া আহসান’ (তর্ক করো সর্বত্তম পন্থায়) এর তালিম দিয়েছেন নিজের বেলায় কেন তিনি তা ভুলে গেলেন। ‘ফতোয়াবাজী’ হলো বাম পাড়ার গালি। এটা ব্যবহার না করেও তো মুফতী সাহেব কে হেদায়াত করা যেতো।
একটা বিষয় বড় অবাক লাগে জামাতের দলীয় আকিদা হলো রাসুলে খোদা ছাড়া আর কাউকে সমালোচনার উধ্বে‍‌ মনে করবে না’ সেজন্য মওদুদী সাহেব একেবারে কলজে পোড়ানো ভাষায় সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করে গেসেন। কিন্তু একই সুত্রে যখন মওদুদীর সামান্যতম সমালোচনাও করা হয় তখন জামাটি বন্ধুরা একেবাড়ে কোরতার বাইরে এসে পড়েন এবং বেচারা সমালোচনাকারীকে তুলোধুনো করে ছাড়েন। তাহলে কি আমরা ধরেনিব যে তাদের মতে ছাহাবা কেরামের সমালোচনা জায়েজ আর মওদুদী সাহেবের সমালোচনা না জায়েজ।
যাই হোক উভয় পক্ষকেইআমি অনুরোধ করবো, পত্রিকায় যা খুশী লিখুন এবং মুক্তাঙ্গনে যত ইচ্ছে বিতর্ক করুন, কিন্ত কলম যেন ‘বেপর্দা’ না হয় এবং লেখা যেন শালীনতার সীমা অতিক্রম না করে, এ বিষয়ে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।
লেকচারার আব্দুল আযীয সাহেব যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কিছু কথা বলতে চাই তার কথার জবাবে। কাদিয়ানী প্রসঙ্গে নিযামী সাহেব কী বললেন কেন বললেন এবং এবং মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের সাথে তার বক্তব্যের এর মিতালী কতটুকু সে প্রসঙ্গে নাই গেলাম, কিন্তু এটাতো পরিস্কার যে নিযামী সাহেবের মন্তব্য অন্তত এ যাত্রায় কাদিয়ানীদের শেষ রক্ষা করেছে, মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রীও এটাই চেয়েছিলেন। জামাত সব সময় গর্ব করে, আমরাও স্বীকার করি, কাদিয়ানী বিরোধী জিহাদে শ্রীক হ্যে মওদুদী সাহেব ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু জামাত এ কথা কেন ভুলে যায় যে, কাদিয়ানী বিরোধী জিহাদে মওদুদী সাহেব যাদের কাতারে শামিল হয়েছিলেন সেই ওলামায়ে কেরামই তাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন? ফাঁসির রায় ঘোষনার মূল রহসৎ অবশ্য এখনো অজ্ঞাত তবে এটা ঠিক যে এর ফলে আন্দোলন সেদিন ভিন্ন পথেচলে গিয়েছিলো এবং সে যাত্রা কাদিয়ানীদের শেষ রক্ষা হয়েছিল। জনৈক সাংবাদিক তাই মন্তব্য করেছিলেন মওদুদী হলেন হিরো, আন্দোলন হলো জিরো।
এ বিষয়ে আমি নিজে সিধান্ত মুলক কোন কথা বলছি না, আমি শুধু বলতে ছাই ওলামায়ে কেরাম অকারনে ফতোয়ার তীর দ্বারা কাউকে বিদ্ব করেন না । মওদুদী সাহেবএর কলম যত দিন সংযত ছিল ততদিন তারা তার উদার প্রশংসা করেছেন এবং তার পাশে এসে দাড়িয়েছেন, কিন্তু যখনই তার অসংযত কলম সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তখন উম্মতের আভিভাবক হিসেবে ওলামেয়ে কেরামকে বাধ্য হয়েই তার প্রতিবাদ করতে হয়েছে। অথচ বিভেদ সৃষ্টির দায়ে উলতো তাদেরই দায়ী করা হয়। বলুনতো কে মওদুদী সাহেবকে মজবুর করেছিল উম্মতের এমন নাজুক সময়ে এমন নাজুক বিযয়ে কলম ধরতে। তারপরেও ওলামেয়ে কেরাম বিভিন্নভাবে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন বিষয়টির গুরুত্ব তা কিন্তু তিনি তার কলম থামাতে রাজী হলেন না। তখন উম্মতের গোমরাহী থেকে হেফাজত করতে প্রতিবাদ করা ছাড়া ওলামায়ে কেরামএর আর কী উপায় ছিল??
মওদুদী বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কার সম্পর্কে তার অনুসারীরা একটু বেশী মাত্রায় উদ্বেলিত আব্দুর আযীয সাহেবও ব্যতিক্রম নন। কিন্তু বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কার তো হক আর না হক এর আলামত হতে পারে না সুতরাং এ নিয়ে এত হৈ চৈ করার কি কারন হল। বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কার তো আরও অনেকেই পেয়েছেন। আমাদের মাওলানা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নাদবী (রহঃ) কে জোর করে অনুরোধ করা হয়েছিলো। প্রথমে তিনি সম্মত হন নি, পরে আপন শায়খের আদেশে তিনি তা গ্রহন করেছিলেন, কিন্তু এ নিয়ে ভক্তকুলে এত হৈ চৈ হয়নি। প্রসঙ্গত আল্লামা নদবী (রহঃ) যিনি এক সময় আরব বিশ্বে মওদুদীকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন। পরবতী জীবনে কিন্তু তিনি শক্ত হাতে তার বি্রুধে কলম ধরেছিলেন। আল্লামা ন্দবীর বইটি (সম্ভবত বাংলায় অনুবাদ হয়েছে) প্রত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তিরই পড়ে দেখা উচিত।
আরব বিশ্বে মওদুদীর ‘গগনচুম্বী’ জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আব্দুল আযীয অনেক কিছুই বলেছেন কিন্তু আসল বিষইয়টি এড়িয়ে গেছেন। মুফতী সাহেবের এ প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি যে মওদুদীর এত বই আরবীতে তরজমা হল কিন্তু খেলাফত ও রাজতন্র বইটির তরজমা কেন হল না। কিসের ভঁয়ে আব্দুল আযীয সাহেবের ভাসায় আকিদাতুল উস্তায আল মওদুদী কিতাবটি আলিমরা লিখেছিলেন সউদী আরব তথা আরব বিশ্ব থেকে মওদুদীকে উৎখাত করার জন্য, কিন্তু তিনি নাকি যতি ভাবেন ততই অবাক হন যে আলিমদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ার কারন কী?
কারন আমাদের আলিমগ্ন বুখারী, মুসলিমের শায়খ হলেও আধুনিক প্রচার কলাকৌশলের ‘শায়খ’ নন। আপনাদের মোকাবেলায় এ ক্ষেত্রেও তারা বরং একেবারে বাচ্চা শিশু । তাই বাজার থেকে বই উধাও করে ফেলার কৌশল আমাদের ভোলাভালা আলিমদের কল্পনায়ও আসেনা। আপনাদের সংগঠন মজবুত কম্যুনিস্টদের চেয়েও মযবুত পক্ষান্তরে তখন এবং এখন সব সময় সংগঠনে আমরা আনাড়ী। নইলে আপনার যেখানে এমন একাট্টা এখানে আমাদের ঐক্য মাত্র তিন ভাগ। সুতরাং সৌদি আরব বা তাদের মুরব্বি আমিরিকা, কোথাও থেকে আপনাদের উৎখাত করা সম্ভব নয়। অবশ্য ওলামায়ে কেরাম একবার যদি এক হতে পারতেন তাহলে বুঝা যেন ইসলামী জনতা কাদেরকে ইসলামী শক্তি মনে করে তবে একটা কথা শক্তি ও সংগঠন যতই মজবুত হোক জামাতের সুদীঘ কালের বিশাল আয়োজনপূর্ণ রাজনীতির কিন্তু একতাই, জোয়ারের তোড়ে এগিয়ে যাওয়া এবং ভাটার টানে পিছিয়ে আসা। এটা কিসের আলামত, জামাতিদের অবশ্যই ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। পক্ষান্তরে সমস্ত কমজুরী সত্ত্বেও ওলামায়ে কেরাম যে এখনও রাজনীতির ময়দানে বহাল আছেন সে শুধু এই জন্যে যে তারা রাজনীতির জন্যে ইসলাম করেন না, ইসলামের জন্যে রাজনীতি করেন।
সুপ্রিয় আব্দুল আযীয গর্ব করে লিখেছেন বাতিলের মোকাবেলায় হকের প্রতিষ্ঠায় প্রায় দুই শতাধিক তেজোদিপ্ত যুবক অম্লান বদনে শীর দিয়েছে আমামা দেয়নি।
আমার জানা মতে জামাতী বন্ধুদের মুখে কিঞ্চিৎ দাড়ী থাকলেও কখনও মাথায় তাদের আমামা থাকে না, সুতরাং দেয়া না দেয়ারও প্রশ্ন আসে না। আমামাতো থাকে আলিমদের মাথায় তারা অবশ্য শির দেয় আমামা দেয় না, বিপদ কালে লেবাসও বদল করেনা। বেশিদূরে যাওয়ার প্রয়জন নেই মালিবাগ ও শহীদ বাড়িয়ায় কারা শহীদ হল? আফগানিস্তানে কারা জান দিল? সর্বপরি মার্কিন সরকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মাদ্রাসা গুলো নিয়ে কেন এত চিন্তিত? হল দখলের দাঙ্গায় মারা যাওয়া আর মসজিদ রক্ষার জন্যে জান দেয়া কি এক হল।
আব্দুল আযীয লিখেছেন ঐক্যের বানী নিয়ে প্রফেসর গোলাম আযাম সহ জামাতের নেতৃবিন্দ মরহুম হাফেজ্জী হুজুর, শাইখুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হক, চরমোনাই এর পীর সাহেব প্রমুখর কাছে বার বার ধর্না দিয়েছেন। কিন্তু......
জি আমিও বলি, এখানে একটা কিন্তু আছে। ইতিহাস সাক্ষী জামাতের বিভিন্ন দুঃসময়ে ওলামায়ে কেরাম বার বার আপনাদের পাশে দাড়িয়েছেন। কিন্তু প্রয়জনে ব্যবহার এটাই ছিল জামাতের ব্যবহার। ৭১এর কেয়ামতের পর যার ছায়ায় জামাত আত্মপ্রকাশ করেছিলো তার নাম খতিবে আযম মাওলানা সিদ্দিক আহমদ তিনি ভেবে ছিলেন এত বড় কেয়ামত জামাতের চরিত্রে নিশ্চয় পরিবর্তন ঘটিয়েছে। নাহ যথারীতি সেখানেও বড় একটা কিন্তু এসে হাজির হয়েছিল এবং খতিবে আযমের মত ব্যক্তিকে ব্যবহার হওয়ার মধুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছিল।
মওদুদী ও তার অনুসারীদেরকে ওলামায়ে কেরাম বার বার অনুরোধ করেছে মাকানে সাহাবা ও ইসমাতে আম্বিয়া এর মত নাজুক আকিদার বিষয়ে কলম বন্ধ রাখুন এবং ঐক্যের পথে আসুন। কিন্তু জামাতের এক কথা মওদুদী যা খুশী লিখবেন আমরা শুধু পরবো, তিনি যা খুশি বলেন আমরা শুধু শুনবো, প্রতিবাদ করলে বলা হবে আলিমরা ইসলামী ঐক্যর বিরোধী। তালগাছ আমার এমন ঐক্যতো হতে পারে শুধু ভারত বাংলাদেশের মাঝে।
হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) এর দরবারে গোলাম আযমের ‘ধর্না’ দেয়ার যে কথা আব্দুল আযীয সাহেব বলেছেন। আমি নিজেই তার সাক্ষী। গোলাম আযমের আব্দাল এবং হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) এর জবাব আমি নিজের কানে শুনেছি। আমার সৌভাগ্য সেদিন আমি দেখেছিলাম কেমন হৈ মুমিনের ঈমানী ফারাসাত। ধৈয্য ধরে গেলাম গোলাম আযমের দীর্ঘ ব্যান শুনে হযরত শুধু দুটি বাক্য বললেন ইত্তিহাদুল উম্মা ভাল কথা তবে কিসের উপর ইত্তিহাদ? শাড়ী তো নয়া কিন্তু দুলহান তো পুরানা। শুধু শাড়ী নয়, দুলহান বদল করুন। আকলমন্দের জন্য ইশারা কাফী আর গোলাম আযমকে তার শত্রুরাও আকলমন্দ মনে করে। তাই তার বুঝতে তার বিলম্ব হল না যে খতীবে আযম নন, ইনি অন্য কিছু। সুরাং আব্দুল আযীয সাহেবরা যাই করুন না ঐক্যের মারছিয়া শোনাবেন না।
আমি বলি না যে জামায়াত ও কাদিয়ানী একেবারে এক কাতারে। আমি শুধু বলতে চাই,কাদিয়ানীদের সাথে বিরোধের মূল বিষয় হল খতমে নবুয়ত। এটা ঈমান ও কুফুরের আকিদা। আর জামাতের সাথে বিরোধের মূল বিষয় হল ইছমতে নবী ও আদালাতে ছাহাবা। এটা হক ও গোমরাহির মাসআলা। ইসলামী উম্মাহর সর্বকালীন ও সার্বজনীন আকিদা এই যে নবীগন সকলেই মাসুম ও নিস্পাপ, কিন্তু মওদুদী বলেন নবীদের ইসমত কখনো কখনো তুলে নেয়া হতো যাতে প্রমানিত হয় যে তারা মানব ছিলেন। এটা সত্য হলে নবুয়াত ও রিসালাতের গ্রহন যোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্য হয়ে পড়ে। তদ্রুপ নবুয়তের ছোহবতপ্রাপ্ত ছাহাবা কেরামের একক ও সামগ্রিক আদালত ও ন্যায়পরতা স্বীকার না করলে দ্বীনের বুনিয়াদই ধসে যায়। সুতরাং এ বড় ভয়ংকর গোমরাহী। এটা ইসলামী ফেকাহর মাযহাবী ইখতিলাফ নয় এটা হক ও গোমরাহির বিরোধ।
আব্দুল আযীয বলতে চান, যে মওদুদী শত শত পৃষ্টা লিখেছেন ছাহাবা-প্রশস্তি’র উপর তিনি কীভাবে হতে পারেন ছাহাবার নিন্দাকারী।
দেখুন কেঊ যদি জেগে ঘুমুতে চান আমি তার নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটাবো না। তবে সত্যি যারা নিদ্রিত তবে সত্যি যারা নিদ্রিত শুধু তাদের জাগ্রত তার উদ্দেশে বলতে চাই শত পৃষ্টার প্রসংশা এক পৃষ্টার নিন্দাকে বৈধতা দান করে না। একমন দুধে এক ফোঁটা................এ তো আমাদেরই দেশের প্রবাদ। গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর ‘নবী প্রশস্তি’ শোনবার মত যাকে বলে পাক্কা আশেকে রাসুল। তার একটি মশহুর কবিতা পংতি হল মুহাম্মদ প্রেম হয় যদি কুফুরী কসম খোদার সেরা কাফের আমি দুনিয়ার।
গোলামের বাচ্চা ‘ছোট্ট’ একটা কাজ করেছে। নবীর শুরু থেকে আখিরী শব্দটি সরিয়ে দিয়েছে।
মওদুদী ছাহাবা প্রশস্তিও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য হতো যদি তিনি ছোট্ট একটা কাজ না করতেন, একটু একটু নিন্দা করে ছাহাবা কেরামের ‘আদালত ভবনের’ ইট খুলে না ফেলতেন। অমুক ছাহাবী ঘুষের লেনদেন করছেন, তহবিল তছরূপ করেছেন, অমুক ছাহাবী স্বৈরাচার ও স্বজনপ্রীতির পলিসিগ্রহন করেছেন। আপনিই বলুন এই ‘তবরুক’ বিতরনের পর প্রশস্তির কী মুল্য থাকে। তবু আমরা কৃতজ্ঞ কারন নামের আগে ‘হযরত’ ও নামের শেষে ‘রাদিয়াল্লা’ টুকু বহাল রেখেছেন। লেকচারার আব্দুল আযীয সাহেবের একটি লেকচার শুনুন- মওদুদীর সাহাবা সমালোচনা তো তার নিজস্ব নয় , আল বেদায়া আল কামিল তাবারী প্রভৃতি জগদ্বিখ্যাত ও সর্বজনস্বীকৃত ইতিহাসগ্রন্থ থেকে ‘আহরিত’। সুতরাং অপরাধ হলে ঐ ইতিহাসসংকলক জগদ্বরেণ্য ঐতিহাসিকদের হবে মওদুদীর কেন হবে?
জি, অতিসরল যুক্তি, এবং বহুবার ব্যবহৃত। কিন্তু স্বয়ং আল্লামা তাবারী যে তার কিতাবের ভূমিকায় সুস্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন এ সকল বর্ণনার সত্য মিথ্যার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু সংগ্রহ এবং সংকলন করেছি, পর্যালোচনা ও নির্বাচন করিনি, এ প্রশ্নের কি জবাব আছে ‘বড় হুজুর’ এবং ‘ছোট হুজুর’ দের কাছে?
বস্তুত এ বিষয়ে শেষ কথা হলো দুটি মাত্র শব্দ, ‘কালেকশন’ ও ‘সিলেকশন’। ঐতিহাসিকগ্ন যা কিছু পেয়েছেন বিনা বিচারে তা সংগ্রহ করেছেন এবং সনদ ও সুত্র উল্লেখ করে দায়িত্ব মুক্ত হয়েছেন। সেটাই ছিল তাদের তখনকার করণীয়। পরবর্তী কালের গবেষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সনদ ও সুত্র এবং অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে বর্ণনার সত্য মিথ্যা নির্ধারণ করা এবং গ্রহন-বর্জনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় ‘বড় হুজুর’ তা করেননি তিনি শুধু পছন্দের বর্ণনা গুলোকে বরন করেছেন আর অপছন্দের গুলো বিসর্জন দিয়েছেন। আমাদের অপরাধ আমরা ‘জী হুজুর’ বলতে পারি নি এবং বলতে পারবো না।
আচ্ছা, এসব তত্তকথা রাখুন এবং আজকের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি ভেবে দেখুন মাত্র ত্রিশ বছরের ঘটনা। কে স্বাধীনতার ঘোষক, জিয়া না মুজীব? আজো ফয়সালা হলো না। তাহলে এবার অংক কষে বলুন কয় ত্রিশে চৌদ্দশ বছর হয়। সেই চৌদ্দশ বছরের সুদূর অতিতে এবং প্রচারণার ধুম্রজালে অপরপারে ছাহাবা কেরামের কথা ও কর্মের সত্যমিথ্যা নির্ধারণের ‘টেলিস্কোবিক’ দৃষ্টিকি ‘বড় হুজুর’ দাবী করতে পারেন? তারপরো যিনি ইতিহাস ইতিহাস বলে চেচাবেন তিনি অতিঅবশ্যই ‘পাতি হাঁস’!
ইমাম ইবনে তাইমিয়া, মোল্লা আলী কারী, শাহ ওয়ালীউল্লাহ ও শাহ ইসমাঈল শহীদ এদের নাম নিয়েছেন (শাহ) আব্দুল আযীয। তিনি বলতে চান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ সকল বরেণ্য ইমামদের ছাহাবা সম্পর্কিত বক্তব্যের, মওদুদী সাহেব প্রতিধ্বনি করেছেন মাত্র। সুতরাং ইমামের নামাজ নষ্ট না হলে মুক্তাদির নামাজ কেন নষ্ট হবে?
হয় মুক্তাদির দুষ্ট হলে এমনও হয়। প্রথম কথা, ছাহাবা নিন্দা সবার জন্য স্মান অপরাধ। এখানে আগে-পিছে নেই ইমাম-মুক্তাদি নেই। দ্বিতীয় কথা, যে যুগের ইমামদের বক্তব্যে ভুল কিছু থাকলে, তা কিতাবের পাতায় সীমাবদ্ব ছিলো। তার প্রভাব সর্বপ্লাবী ছিলো না। পক্ষান্তরে প্রধানত বিশশতকের একাডেমিক, সাংগঠনিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার সুবাদে মওদুদীর ‘মতামত’ সর্বগ্রাসী রুপ ধারন করেছে, তাই তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তৃ্তীয় পূর্ববর্তী কোন ইমাম কোন ছাহাবীর শানে গোস্তাখী করেছেন এটা আসলেই মিথ্যা কথা।
আব্দুল আযীয সাহেব ইমামদের উদ্বৃতি এনেছেন এবং সেগুলোর কুশলী তরজমা করেছেন। সময়ের অভাবে আমরা তার কৃত তরজমা করেছেন মেনে নিয়ে বলছি, ইমামদের বক্তব্যের খোলাসা তো শুধু এই-(ক) শক্তি, প্রজ্ঞা ও অন্যান্য গুনে হযরত উসমান হযরত উমরের মত ছিলেন না।
এ বক্তব্যে দোষের কিছু নেই। হযরত উসমান (রাঃ)এর স্তর ও মর্যাদা যে হযরত উমরের পরে ছিল সেতো জানা কথা, যেমন হযরত উমর (রাঃ)এর স্তর হযরত আবু বকর (রাঃ)এর পরে ছিলো। তবে তারা সবাই আদর্শ খলিফা ছিলেন। নিজ নিজ সময় ও পরিস্তিতিতে তাদের নীতি ও পদক্ষেপ সঠিক ছিলো এবং পরবর্তীকালের উম্মতের জন্য তা আদর্শ।
হযরত উসমান (রাঃ) এর স্বভাবপ্রকৃতি হযরত হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (রাঃ) থেকে ভিন্ন ছিলো। কেননা হযরত উসমান কখনো কঠোরতার পরিবর্তে নমনীয়তার (সঠিক তরজমা ‘নম্রতার’) আশ্রয় নিতেন।
এ মন্তব্যেও আপত্তির কিছু নেই। কারন আসলেই তিনি ছিলেন স্বভাবনম্র। এই স্বভাবনম্রতার কারনেই তো তাকে নিজের জিবনের বিনিময়েও তিনি মদিনায় রক্তপাতের অনুমতি দেননি।
(গ) তার নিযুক্ত প্রশাসকদের মাঝে ছিদ্দিকী ও ফারুকী যুগের প্রশাসকদের গুন ও বৈশিষ্ট্য ছিলো না। ছিদ্দিকী, ফারুকী, উসমানী, আলাবীএই চার যুগের শাসক ও শাসিতদের মাঝে পার্থক্য থাকাই তো স্বাভাবিক, তবে তা হলো ন্যায় ও কল্যাণেরই স্তর তারতম্য, ভাল ও মন্দের নয়।
মওদুদী সাহেব যদি শুধু এইটুকু বলতেন তাহলে আমাদের নরম মাথা আর গরম হত না। কিন্তু মওদুদী সাহেব যা বলেছেন তার একটা নমুনা দেখুন-
খলিফা উমর (রাঃ)- এর নির্দেশ ছিলো, পরবর্তী খলিফা এ বিষয়ে দায়বদ্ব থাকবেন যে তিনি আপন গোত্রের সাথে কোন সুবিধামুলক আচরন করবেনা, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান থেকে এ ক্ষেত্রে কাঙ্ঘিত মানদণ্ড রক্ষা করতে পারেন নি। তার আমলে বনু উমাইয়াকে প্রচুর পরিমানে বড় বড় পদ এবং বাইতুল মাল থেকে বড় বড় দান প্রদান করা হয়েছিলো। (খিঃওয়াঃমুঃ পৃঃ৯৯)
শব্দ প্রয়োগ কুশলী বটে,কিন্তু ফল কি দাড়ায়। পূর্ববর্তী খলিফার আদেশ লঙ্ঘন, স্বজনপ্রীতি, বাইতুল মালের খেয়ানত এবং (আধুনিক যুগের) দলীয়করণ ও আত্মীয়করণ, এই নয় কি! সুত্রাং হে সৈয়দ মওদুদী! এখন আপনি যেখানেই আছেন, সেখানে আল্লাহ আপনাকে মাফ করুন।
হাদীস শরীফে এসেছে- যে শাসক সরকারী পদ বন্টনে স্বজন প্রীতি করে তার উপর আল্লাহর লানত (তারগিব ও তারহিব) এমনকি এ যুগের শাসকের জন্যও এটা অমার্জনীয় অপরাধ। তাহলে জান্নাতের সু-সংবাদ প্রাপ্ত উম্মতের তৃ্তীয় শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি, যার সম্পর্কে আল্লাহর নবীর ভবিষ্যত্দ্বানী হলো- ফেতনার সময় উসমান হেদায়াতের উপর সুদৃঢ় থাকবেন’ (তিরমিযী, আল বিদায়া)। একজন খলিফা নিহত হবেন এবং ফেতনা হবে, কিন্তু তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় নীতির উপর অবিচল থাকবেন। (আল বেদায়া-৭) তার সম্পর্কে এমন গোস্তাখী কীভাবে বরদাশত করা যায়! আমাদের প্রশ্ন নবুওয়তের ছোহবতধন্য উম্মতের তৃ্তীয় ব্যাক্তির খেলাফতের যদি এই অবস্তা হয় তাহলে এ যুগের মওদুদী যখন ‘আল্লাহর আইন অ সৎ লোকের শাসন’ কায়েম করবে তখন কি অবস্তা হবে?
শরীয়তের দৃষ্টিকোন ছাড়া নিছক ইতিহাসের দৃষ্টিতেও এ জঘন্য অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়। হযরত উসমান (রাঃ)- এর খেলাফত কালে ৪৭ জন প্রশাসক ছিলেন। ইতিহাসে তাদের নামের তালিকা আছে। (আল কামেল খঃ৩ পৃঃ৫০-৫১)

আদমের বেটা হিসেবে আবশ্য এই সাতচল্লিশ জনের সবাই হযরত উসমানের আত্মীয়। তবে ঐতিহাসিকগন এ দীর্ঘ তালিকা থেকে মাত্র পাঁচজনকে নির্ধারণ করেছেন, যারা দূর বা নিকট কোন না কোন ভাবে তার আত্মীয় ছিলেন।
যথা- মুয়াবিয়া (রাঃ), ওয়ালীদ ইবনে উকবা (রাঃ), সাইদ ইবনুল আছ (রাঃ) এই তিন জন ছিলেন উমাইয়া বংশের। তবে তাদের আত্মীয়তাও ঘরের আত্মীয়তা ছিলো না। অন্য দুইজন হলএন আব্দুল্লাহ ইবনে আমির (রাঃ) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে সাআদ ইবনে আবী সারাহ। এই পাঁচজনি ছিলেন আল্লাহর রাসুলের ছাহাবী।
ফেতনাকারীদের অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মজলুম ছাহাবী হযরত উসমান (রাঃ) যা বলেছেন এ যুগের ফেতনাকারীরাও শুনে রাখুন- তারা বলে আমি আমার খান্দানকে বেশী ভালোবাসি এবং তাদের বেশি দান করি। কিন্তু সে ভালোবাসা অন্যায় কাজে তাদের সাহায্য করে না, শুধু তাদের হক তাদের কাছে পৌছে দেয়, আর তাদেরকে আমি শুধু নিজের মাল থেকে দান করি। মুসলমানদের মাল না আমি নিজের জন্য হালাল মনে করি না অন্য কারো জন্য। আমিতো পূর্ববর্তী তিন যুগেও তাদের দান করতাম। খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহনের সময় আমি আরবের শ্রেষ্ঠ ধনী ছিলাম । অথচ এখন আমার হজ্জের জন্য দুটি উট ছাড়া কিছু নেই। (তার পর তিনি মদিনার হাজিরানদের জিজ্ঞাসা করলেন, আমার কথা সত্য নয়? তারা বলল আল্লাহর কসম সত্য)
মওদুদী সাহেব! আল্লাহর কসম সত্য! ইতিহাস যদি অন্য কিছু বলে তবে তা ছুঁড়ে ফেলুন এবং ‘জান্নাতী’ খলিফার কথা সত্য বলে গ্রহন করুন।
অবশেষে এই বলে আমি আমাএ লেখার ইতি টানছি, মওদুদী অ তার জামাতের প্রতি ওলামায়ে কেরামের ব্যাক্তিগত কোন বিদ্বেষ তখনো ছিলো না এখনো নেই , কিন্তু ছাহাবা কেরামের সমালোচনা ও দোষচর্চা তারা বরদাশত করতে পারেন না। সুতরাং সুপ্রিয় আব্দুল আযীয আপনি আপনার লেখার সমাপ্তিতে ঐক্যের যে আহবান জানিয়েছেন তা যদি আন্তরিক হয় তাহলে দয়া করে ছাহাবা কেরামের সমালোচনার ফিতনা পরিত্যাগ করুন, তারপর ঐক্যের কথা বলুন। ইনশাআল্লাহ ইস্পাত কঠিন ঐক্যের জন্য আমরা প্রস্তুত। আল্লাহ কবুল করুন আমিন।

শিক্ষক, আরবী ভাষা ও সাহিত্য
মাদরাসাতুল মাদিনা, ঢাকা



বিদ্রঃ আমি এ লেখাটি ব্লগে পোস্ট করায় আমাকে খুব চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ১১-০২ জুমার নামাজের পর জামাতি ইসলামী্র এক ছেলে আমাকে হেনস্তা করেছে আল্লাহ তুমি তাদের হেদায়াত দাও এবং ছাহাবা কেরামের সমালোচনা থেলে বিরত থেকে ব্যাক্তি স্বার্থে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করে ইসলামের স্বার্থে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার তাওফিক দাও। আমিন


২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×