বৃটিশ কনজারভেটিভ দলের এমপি মিস এ্যান মেইন, বব ব্ল্যাকম্যান এবং নিক বোয়া গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসেন ডিএফআইডি (ডিপার্টমেণ্ট অব ফরেন ইণ্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট) এর কার্যক্রম দেখতে।ডিএফআইডি বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে ২৫০ মিলিয়ন পাউণ্ড সাহায্য দিয়ে থাকে।এমপি সাহেব/সাহেবানদের উদ্দেশ্য ছিলো ডিএফআইডি কোন কোন খাতে টাকা গুলো খরচ করছে তার একটা পরিষ্কার ধারনা নেয়া। তো এসে তারা যা যা পেলেন তার একটা তালিকা ছাপা হয়েছে দ্যা টেলিগ্রাফে । আসুন তালিকাটাতে একনজর চোখ বুলাই:
- ৫০ লক্ষ পাউণ্ড দেয়া হয়েছে বিবিসি বাংলার 'বাংলাদেশ সংলাপ' নামক অনুষ্ঠানটির জন্য।
- ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার পাউণ্ড দেয়া হয়েছে একটি ফোন লাইনের জন্য।
-২১.২ মিলিয়ন একটি রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে, যা বাতিল করা হয় পরে কারন তদন্তে দেখা যায় যে, প্রকল্প বাজেটের ১০ শতাংশরও কম রাস্তার কাজে ব্যয় হয়েছে। (এই নির্লজ্জ চোর গুলারে কি করা যায় )
-২২.৭ মিলিয়ন পাউণ্ড রাষ্ট্রায়াত্ত খাতে দেনার ভারে জর্জরিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে।
- ১৩.১ মিলিয়ন পাউণ্ড ১৭০০ জন সিভিল সার্ভেণ্ট এর প্রশিক্ষণে "to develop and deliver pro-poor policy and practice”। (আমি জানিনা এইটা খায় না মাথায় দেয়)
- ২ লক্ষ পাউণ্ডেরও বেশী তথ্য আইন অধিকার..ব্লা ব্লা ব্লা
টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্রিটিশ জনগনদের মন্তব্য গুলো আর দিলামনা।নিজেদের খুব ছোট মনে হবে ।যাদের ইচ্ছে অদম্য তারা এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন।
আমি জানিনা এই সব টাকা কোথায় যায়, কিন্তু বর্হিবিশ্বে আমরা খুব ছোট মন নিয়ে চলি।খুব ছোট হয়ে যাই এই সব রাজনৈতিক নিলর্জ্জ বেহায়াপনা দেখলে। বিবিসি বাংলার একটা অনুষ্ঠান করতে ৫০ লক্ষ পাউণ্ড !!! লাগে? সেই অনুষ্ঠানের কার্যকারীতাই বা কতটুকু? যে রাস্তার প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ডিএফআইডির টাকা ছাড়াও চলে, সেখানে ডিএফআইডিকে আমরা কেন 'না' বলি না। সিভিল সার্ভেণ্টদের কোন প্রশিক্ষনে ১৩.১ লক্ষ পাউণ্ড ব্যয় হতে পারে?
আমরা যেন বহি:বিশ্বের সেই দুষ্ট গরীব, যে সদা 'অভাবে স্বভাব নষ্ট' প্রমানে ব্যস্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২৬