দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল মঙ্গলবার প্রকাশ হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকারী তিন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উত্তীর্ণ না হলে কোন শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে না। সেই অর্থে এটিকে শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা (আগে ছিল এস, এস, সি)।
আমার প্রশ্ন হল, এত অল্প বয়সে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ করানো জরুরী আছে কিনা?
কিছু কিছু শিক্ষাবিদ্গণ যেখানে পাবলিক পরীক্ষা হিসাবে S.S.C. কে বাদ দিয়ে সরাসরি H.S.C. থেকে শুরু করার পক্ষে সেখানে ৫ম শ্রেণীতেই পাবলিক পরীক্ষা শুরু করা হল ! এর প্রয়োজনীয়তা ও ঊপযোগিতা আছে কি?
সবচেয়ে খারাপ দিক হল - এই পরীক্ষায় সেই পুরনো মার্ক সিস্টেম, মেধা তালিকা ইত্যাদি ফিরে এসেছে। যদি পরীক্ষা নিতেই হয়, তাহলে বর্তমানে চালু S.S.C., H.S.C. এর মত গ্রেডিং পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন করা উচিত। বিকল্প হিসাবে একটি নির্দিষ্ট নম্বর প্রাপ্তির ভিত্তিতে সার্বিকভাবে 'পাস ফেল' দিয়েও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
মোদ্দা কথা, পুরনো পদ্ধতির মার্কিং, মেধা তালিকা ইত্যাদির মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার অসূস্থ প্রতিযোগিতা আমরা দেখতে চাই না। কারণ,এর মাধ্যমে প্রাইভেট কোচিং, শিক্ষকদের বাণিজ্যিক মনোভাব, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অসূস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে।
এই পাবলিক পরীক্ষা নিতেই যদি হয়, তাহলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিকে খেয়াল রেখে 'গ্রেডিং পদ্ধতি' বা 'পাস-ফেল' দিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হোক।
সম্মানিত ব্লগারগণ কী বলেন?