শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার যখন একটি দেশের সরকার নিশ্চিত করতে পারে না তখন সেই সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের উপরে ভ্যাট ধার্য করার চেষ্টা নীতি নির্ধারকদের বিবেক ও নৈতিকতার অন্তঃসার শূন্যতার পরিচয় দেয়। নীতি নির্ধারকদের ধারনা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সচ্ছল পরিবারের ছেলে মেয়েরা... তাহলে জানাই আমার অফিসের অফিস এ্যাসিস্টেন্ট পড়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যার বাবা একজন প্রাইভেট কার ড্রাইভার...আমার স্ত্রী একটি মেয়ের পড়ালেখার আংশিক খরচ চালায় যার বাবা একজন বাবুর্চি আর মা একটি বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে। আমি নিজেও একটি প্রথম শ্রেণীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি এবং একটি চাকুরীর জন্য যে পরিমাণ লড়াই করতে হয়েছে তাতে আমি বুঝি শুধু পাশ করার পরি এই ছেলে-মেয়ে থের জন্য কি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। মাননীয় নীতি নির্ধারক গন... আমার নিজের বৃত্তের ভেতরের খবর আমি আমি দিলাম...জানিনা আরও কত এমন লড়ে যাওয়ার গল্প নীরবে রচিত হচ্ছে প্রতিদিন...এই লড়াকু ছেলে-মেয়েরা শুধু মাত্র একটা নতুন দিনের প্রত্যাশায় আজকের সঞ্চয়-উপার্জন পড়াশোনার জন্য বাজী রেখেছে...বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলবো না...কারণ এই মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিলো সরকারের।
ভ্যাট বসলে এই প্রান্তিক লড়াকু ছেলে-মেয়ে গুলোর হয়তো স্বপ্ন গুলো অধরাই থেকে যাবে...তাই কাল যদি কোন অন্ধকার রাস্তায় আমার অফিস এ্যাসিস্টেন্টকে অন্যের উপর ক্ষুরে ধার পরীক্ষা করতে দেখি কিংবা গৃহ পরিচারিকার মেয়ে কে ললিতার ভূমিকায় দেখতে পাই তবে এর দায়ভার আপনাদের উপর ই বর্তাবে...