বিডিআর বিদ্রোহের সময় নিরীহ কিশোর চা-বিক্রেতা আক্তার এখন মৃত্যু কামনায় ব্যস্ত। কে বা কার ছোড়া গুলি এসে আক্তারের বুকে লেগেছে তার হিসেব করতে চায় না আক্তার এবং তার পরিবার। শুধু একটা মৃত্যু চায়। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি হোক সেই মৃত্যু।
২৫শে ফেব্রুয়ারী বিডিয়ার সদর দ্প্তরে গুলাগুলির শব্দ শুনে, অন্য সবার মত আক্তার ভেবেছিল কোন মহড়া হচ্ছে। ইচ্ছে তা শর্তেও দেখার সুযোগ নেই। প্রচন্ড ব্যস্ত সে। অল্প কয়েকদিন হল আক্তার চায়ের দোকানের কাজ ছেড়েছে। নিজের একটা ফ্লাক্স কিনেছে তা সারাদিন ধানমন্ডি লেকের পাড়ে চা বিক্রি করে।
নিজের ব্যবসা ফাঁকি দেওয়ার উপায় নেই। আর সকালের ৯টা থেকে ১০টা সময়টা তো তার খুব ব্যস্ততার মধ্যে যায়। কিভাবে দেখবে মহড়া ইচ্ছে হলেও সুযোগ নেই। ভাই দেহেন গুলিডা কিন্তু আমার অনেক দূরে লাগছে। আমি লেকের পাড় ছিলাম। গেইটের কাছে যাই না। আমারে লেকের পাড় থেইকা হাসপাতালে নিচ্ছে। এতদূরে থাকার পরও লাগছে আমার কোন দোষ নাই। ভাই আমি গেইটের কাছে যাই নাই। শুরুতে তার এই কথা বলার কারণটা, একটু পরই বুঝলাম। জিজ্ঞাসাবাদের জাতাকলের শুরুতে সবাইকে তাকে প্রথমেই বলে তুই গেইটের কাছে গেলি ক্যান।
গেল বার বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে বলে এসেছে তোমাদের কষ্টের দিন আর বেশিদিন থাকব না বলেই আক্তারের বাবা কাদঁছে। বছর কয়েক আগে ইঞ্জিনের নৌকা দূঘটনায় অকর্মণ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। সংসারের একমাত্র উপাজনের ব্যক্তি আক্তার। তিন তিন বার নদীর ভেঙ্গে নিয়েছে জমিজমা-ঘরবাড়ি। আর এখন বাবা পোলাডারে তুইলা নিতে চায় খোদা।
আক্তারের আয়ে সংসারের চাকা ঘুরে গিয়েছিল সত্যি। কিন্তু গেল কয়েক মাসে তার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে পরিবারটি আবার পথে বসে গেছে। এর মধ্যে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে । এই টাকার পুরোটাই এসেছে ধার-কর্জ আর মহাজনের সুদের ঋণ থেকে। তবুও পরিবারটি চায় আক্তার বেঁচে থাকুক।
প্রতিরাতে ঘুমাতে পারিনা ভাই। ব্যাথাটা এখনও করে। যদি একটু পত্রিকায় লেখার ব্যবস্থা করনে আমার চিকিৎসাটা হইত। আমি খুব আশা নিয়ে আমার বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মরত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করলাম।
সবাই বলল ওকে ঢাকায় আসতে বল একটা ফাটাফাটি স্টোরি করে দেব। আমিও ওকে ডাকলাম। ঢাকায় আসার পর শুরু হল অসুস্থ আক্তারের মিডিয়া বিড়ম্বনা। কারো সময় হয় না, সময় দেবার। প্রতিদিন অফিসে গিয়ে বসে থাকে আমাদের অসুস্থ আক্তার সবাই ব্যস্ত । কয়েকজন অবশ্য নিউজটা রাখল। আমি নিয়মিত ফোন দিচ্ছি আজ না কাল, পরশু। কিন্তু আক্তারকে রাখি কোথায়? ঢাকায় ওর থাকার জায়গা নেই। গ্রামের পরিচিত নিউমার্কেটের একটা ব্রয়ালার মুরগীর দোকানে রাত কাটায়। তা দুদিনের কথা বলে ওঠেছিল। দোকান থেকে তিনদিনের দিন বের হতে হল। কারণ কর্মচারী মালিকে না জানিয়ে থাকতে দিয়েছিল।
তারপর ধানমন্ডি ৪/এ রাস্তার ধারে ফুটপাতে ঘুমায়। এভাবে আরো দুদিন যদি একটা নিউজ আসে, একটা নিউজের আশায় দুদিন ফুটপাতে ঘুমিয়ে কাটায় আক্তার। বেশ কয়েকটা পত্রিকা আর দুইটা টিভি চ্যানেলে যোগাযোগের পর তাকে বাধ্য হয়ে পাঠিয়ে দেই।
এবার পালা করে যোগাযোগের চেষ্টা ভাই একটু নিউজটা ছাপানোর ব্যবস্থা করেন। এক একজনের একটা কৈফিরত একজন বলল ওর তো হিসাব নম্বর নেই। নিউজ হওয়ার পর মানুষ সাহায্য করবে কিভাবে? আমি ফোন দিলাম আক্তার একটা একাউন্ট কর। একাউন্ট হল আজ একমাসের উপর নিউজ ছাপা হয় না।
কিন্তু বিষয়টা পুরাতন তাই ছাপানোর কিংবা প্রচারের সুযোগ নেই। গেল মাসে আক্তার প্রতিদিনই আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। অতি বিনয়ের সাথে ভাই কোন পত্রিকায় কি ছাপালো?
এখন আর আমি ফোন রিসিভ করিনা। কারণ আমি আমার মিডিয়ার বন্ধুরা অপারগ। তাদের হাউজগুলো এই আক্তারের নিউজ প্রচারের আগ্রহী নয়। আজ একজনকে ফোন দিলাম ভাই একটা নিউজ পাঠিয়ে ছিলাম ঐ যে আক্তারের বিষয়ে । সরি ভাই একই সংবাদ তো জামাতের পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে আমি কিভাবে ছাপাই???
সকালে ফোন পেলাম আক্তার অসুস্থ। ঢাকায় আনা দরকার কিন্তু কি করব। আক্তারের বাবা ফোনে বলছে ছয় মাস যাবৎ ঘুম নাই চোখে বাপ। মরণ চাই, মরে না কেন?
আমিও আশায় আছি আক্তার মারা যাক। আমি সেই নিউজটা মেইল করব বিভিন্ন পত্রিকায় । হয়তোবা ভিতরে পাতায় নিউজ হবে। মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করবে আর আক্তারের পরিবার সেই পত্রিকা সংগ্রহ করে আরো কয়েকটা বছর বাঁচিয়ে রাখতে চাইবে আক্তারকে।
আপডেট ১ ২৪.০৮.০৯
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর খবর পেলাম। খাবারের নিশ্চয়তা পেয়ে তার বাবা মা আক্তারকে একটি তাবলিগ জামাতের দলের সাথে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমার সাথে কথা হয়েছে কিন্তু অন্য একজনের নাম্বার অনুরুধ করতে হয়। সুতরাং এখানে নাম্বারটা দিচ্ছি না। যদি কারো একান্ত দরকার হয় তাহলে চাইলে মেইলে পাঠাব। ওর বাবা আজ ঢাকায় আসবে কিংবা পথে আমি খবর পাঠিয়েছি আসলে যাতে দেখা করে আশা করি বিকালের মধ্যে যোগাযোগ হবে। পত্রিকায় প্রকাশিত কাটিং সংযুক্তি দিব দুপুরের পর।
আপডেট ২ ২৫.০৮.০৯
সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী নিয়মিতি আপডেট জানাতে পারছি না। আক্তারের বাবা এখন ঢাকায় আছে। উনি আক্তারের কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন যা আমি একটু পর আপডেট দিচ্ছি।
আক্তারে দুটি গুলি লাগে। একটি বুকে অন্যটি কাধে লাগে। বুকের গুলিটি বের হয়ে যায়। কিন্তু ডান কাধের গুলিটি হাড় মধ্যে থাকে এবং ডান কাধের হাড়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বেশ কয়েকটি টুকরো হয়। এই মুর্হূতে হাতটি কাধ থেকে অনেকটা নিচে ঝুলে গেছে এবং প্রতিনিয়ত ব্যাথ অনুভব হয়। বিশেষ করে রাতে ব্যাথা প্রচন্ড বাড়ে।
আক্তারের সর্বশেষ চিকিৎসার বিবরণ হল। গত মে মাসে সর্বশেষ ডাক্তার তাকে চিকিৎসা পরামর্শ দেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা শুনে কিছু ঔষধ লিখে দেন। ঐ মুহূর্তে অপারেশন করা সম্ভব নয় বলে জানান। পরে যোগাযোগের কথা বলেন এবং নিয়িমিত ফিজিও থেরাপি নিতে বলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে আক্তার গ্রামে চলে যায়।
আমরা গতকাল কয়েকজন মিলে আক্তারের বাবার সাথে কথা বলি। উপরে তথ্যগুলো উনার থেকে নেওয়া। সাময়িক ভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আক্তারের জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করা হবে। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। ঢাকায় থাকার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা আমাদের অফিসে হবে। আমাদের অফিসে ৮জন বগ্লার আছে তারা সবাই সাময়িক ভাবে কিছু টাকা দিবে আক্তারকে ঢাকায় আনার বিষয়ে। বগ্লার দেশজ, ইসলাম আরাফাত ব্যাংক একাউন্ট করা দায়িত্ব নিয়েছে।
তাছাড়া বিদেশ টাকা পাবার জন্য পেপল ব্যবহারের করা হবে। কিন্তু আমাদের কারো এই বিষয়টি নিয়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই তাই বগ্লার দের সাহায্য প্রয়োজন। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে টাকা সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে সুবিধা হয়। এজন্য বগ্লাদের সাহায্য চাইছি এবং কিভাবে আরো ভাল ভাবে চিকিৎসার করা যায় তার জন্য আপনাদের পরামশ চাই।
এখন আক্তার জয়পুরহাট একটি মসজিদে আছে।
অনেকে ফোন দিচ্ছেন, অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। জানা, জইন, এম বাসার, হাসান ভাই, মঞ্জু ভাই, খোমেনী, ভাস্কর, মুন্না, আরাফাত, ফয়সাল, লিটু, মারুফ, অন্যন্যা,তারেক ভাইসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার সীমাবদ্ধতার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করতে পারছি না।
আপডেট ৩
আক্তারকে সাহায্য পাঠানোর জন্য আক্তারের বাবা ও আমাদের একজনের নামে একটি যুক্ত ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে যেখানে আপনি আপনার সাহায্য পাঠাতে পারেন। আপনারা যারা সাহায্য পাঠাবেন তারা তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে সাহায্যের পরিমান ও তারিখ উল্লেখ্ করে ব্লগে মন্তব্য দিন এবং একটি ইমেইল পাঠান যাতে উল্লেখ করুন
subject : help for Akther
e-mail body: sending amount xxxxxxxxx
sending date 00/00/00
sender information
e-mail address: [email protected]
[email protected]
Bank information
Account name : Islam Arafat & MD. Eshak Shikder
Account number: 12721090017033
Prime Bank, Shat mosjid Road, Branch,
Dhanmondi Dhaka, Bangladesh
আপডেট ২৭.০৮.০৯
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা
ইতিমধ্যে আক্তারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তার চিকিৎসার জন্য আমাদের উদ্যোগের কথা। আক্তারের চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে একা কাজ করা কঠিন। আবার আপনাদের শুধুমাত্র আর্থিক সহযোগিতায় নিয়ে এই কাজটি পুরোপুরি আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা আপনাদের পরামর্শ চাইছি। আজ সারাদিনের যেকোন সময় মঞ্জুভাই,আমাকে, জাহিদ অথবা আফাতকে আপনাদের পরামর্শ জানাতে পারেন কিংবা মেইল করতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি সরাসরি আলোচনা করা যায়।
মঞ্জুভাই monjuraul এ্যাট yahoo.com
মোবাইলঃ 01817 022341
আরাফাত: [email protected] ০১৭১৬০৮৮৬৯৫
জাহিদ: ০১১ ৯৬ ০৯ ৪৪৪ ২
মোট সংগ্রহ ১২০০০/=টাকা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল। পেপ্যাল $৯৫.০০ Account name : Islam Arafat & MD. Eshak Shikder
Account number: 12721090017033
Prime Bank, Shat mosjid Road, Branch
Dhanmondi Dhaka, Bangladesh
এছাড়া পেপ্যাল একাউন্ট হলো : [email protected] এটি ব্লগার ভাইটামিন বদি টাকা সংগ্রহরে বিষয়ে উনি বিশেষ সহযোগিতা করবেন।
শোভন: [email protected]. ০১৫৫২৪৪২৮১৪
অনেকের কাছ থেকেই সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। একাউন্ট খোলাসহ বিভ্ন্নি বিষয়ে সরাসরি সহযোগিতাও করেছে অনেকে। এখন পর্যন্ত কোন টাকা আসেনি। তবে আশা করছি শীঘ্রই আসবে। আর পুরো রমজানে আমরা বিশেষভাবে সকলের সহযোগিতা পাব অথ সংগ্রহের ক্ষেত্রে।
মিডিয়া বন্ধুরা
ব্লগের অনেক মিডিয়া কর্মরত বন্ধুরা যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের ধন্যবাদ। আমার সীমাবদ্ধতার জন্যএই বিষয়ে যে মিডিয়ায় আমি সংবাদটা ছাপাতে পারিনি। কিন্তু আজ খোমেনী, মাসুম, হাসান. মঞ্জুভাইয়ের মত অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা আছে আমাদের সাথে । আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের মেধা ও যোগ্যতায় আমার সীমাবদ্ধতাকে দূর করে দিবে।
প্রিয় ব্লগার
বগ্লিং করার সময় প্রায়ই কারো মন্তব্যে হতাশ হতাম। আবার কারো মন্তব্যে প্রেরণাও পেয়েছি। অফিসের কাজের ফাঁকে দিনে কয়েকবার সামুতে না ঢুকলে তো একটা অতৃপ্তি থেকেই যেত। অনেকেই বলেছে বোকা নাকি এই রকম একটা ভার্চুয়াল জগতের কারো মন্তব্যে মন খারাপ করে কেউ।
হ্যাঁ আমি মন খারাপ করি। কারণ এই ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দাগুলো তো মানুষ। তাদের প্রতিটি মন্তব্যই আমার কাছে জীবন্ত । তাই মন খারাপ হয়, মন ভাল হয়। আবার কোন রাসেল, মঞ্জু, তারেক, জাহিদ, আরজু, বাসার, রেজওয়ানা, মুয়েদ, কবির, হাসান. ভাস্কর, জইন,জানা মন্তব্য কিংবা ফোন প্রেরণা পাই মনে হয় আমি কিছু করতে পারব।
গতবার যে আকতারকে তিনদিন ঢাকায় রাখতে পারিনি শুধুমাত্র সামর্থ্য আর সাহসের অভাবে। কিন্তু এখন আমরা হাজার মানুষ আক্তার তোমার পাশে আছি। তোমার বুকের ব্যাথাটা হাজারটা বুক ছুঁয়ে গেছে। তেমনি একজন হাজার মাইল দূর থেকে ভোররাতে ফোন দিয়ে বলে ভাই ঘুম হচ্ছে না। সামুতে মন্তব্য করতে পারছিনা এখনও ওয়াচে আছি। কিছু কী করা গেল ছেলেটার জন্য। আমি এই মানুষগুলোর আবেগ অনুভূতিগুলোর মূল্যায়ন করতে পারছি না ব্যস্ততার কৈফিয়তে। অনেকের মন্তব্যের উত্তরও দিতে পারছিনা। একাই অনেকগুলো কাজ করতে হচেছ। পরিশেষে আবারও আপনাদের সহযোগিতা পরামর্শ চাইছি।
আপনাদের সকলের সহযোগিতায় প্রত্যাশায়।
আপডেট ০৪.০৯.০৯
প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী নিয়মিত আপডেট দিতে না পারার জন্য।
গত কয়েক দিনে আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়েছে। কিছু কিছু কাজ আমার একাই করায় বেশখানিকটা চাপের মধ্যে ছিলাম। পাশাপাশি চাকুরিটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা জন্যই আমি নিয়মিত হতে পারছিনা।
থানা-পুলিশ, ডাক্তার-উকিল, মানবধিকার সংগঠন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বারিধারা-ধানমন্ডি, গুলশান-বনানী, লালমাটিয়া-ফকিরাপুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে সদর ঘাটের লঞ্চ র্টামিনাল কিংবা সারা রাত নিউমার্কেটের ফুটপাতে মিলিয়ে পার করতে হয়েছে এই দিনগুলো। সর্বশেষে আমি নিজে অসুস্থ্ হয়ে পড়ি গত বুধবার রাত থেকে বুকের ব্যাথায়। এই সবসীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমি বেশ কয়েকবার আপডেট দিতে চেয়েছি। বাসায় ফেরার পর সিটিলেট জুম সার্ভিসের অসহযোগিতা আমার সীমাবদ্ধতাগুলোকে আরো প্রকট করে তুলে।
কৈফিয়ত না বাড়িয়ে এই কয়েকদিনের আপডেট গুলো জানাচ্ছি।
১. ব্লগার জানার আর্থিক ও বিশেষ সহযোগিতায় আক্তারকে প্রথমে আমরা বারিধারার এম এ ওহাব মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কাছে নিয়ে যাই। তিনি এক্সরে করতে দেন এবং ২য়দিন রির্পোট দেখে কাছে ড. শামছুদ্দিন আহমেদের কাছে রেফার করেন।
২. ড. শামছুদ্দিন আহমেদ প্রাথমিকভাবে এক্সরে রিপোর্ট দেখে একটি আপরেশনের জন্য পরামর্শ দেন। এটির প্রাথমিক ব্যয় ৭০-৮০হাজার টাকা। (শুধুমাত্র আপারেশ প্যাকেজ)
৩. ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তাকে দুদিন নেওয়া হয়েছে। সেখানেও এক্সরে করা হয়েছে। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে আবার আগামী মঙ্গলবার আবার যেতে বলেছেন।
৪. প্রথম আলোর হাসান ভাই ইতিমধ্যে আক্তারের সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রথম আলোতে রিপোর্টটি প্রকাশ প্রায় গতকাল ০৩.০৯.০৯। বেশ কয়েকজন প্রথম আলোতে যোগাযোগ করেন। তার মধ্যে একজন আজ সকালে ১১টায় ১০০০০/=টাকা দিয়ে যান। হাসান ভাইয়ের উপস্থিতিতে।
৫. প্রথম আলোর রিপোর্টের পর সরকারী পর্যায় থেকে যোগাযোগ করা হয়।
৬. ধানমন্ডি থানায় আক্তারকে নিয়ে একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি জিডি করেন। যার নাম্বার হল ১৯৪৮ , ২৭.০২.০৯।
৭. বিভিন্ন ব্লগাদের পরামর্শে আইন-সালিশ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সহযোগীতার করবে বলে জানিয়েছেন।
৮. আক্তারের বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একদিন ব্যবধানে গতকাল আক্তারকে আবার একটি এজিওর রেস্ট হাউজে পাঠানো হয়েছে।
৯. আক্তারের চিকিৎসার মূলকাগজপত্র একটি আইন প্রয়োগ সংস্থার কাছে রয়েছে। অল্প কিছু ফটোকপি তার কাছে ছিল কিন্তু গত বুধবার তাও হারিয়ে যায়। এই মুর্হূতে তাদের কাছ থেকে কাগজগুলো আনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তাই আক্তারের বাবাকে আবার আসতে বলা হয়েছে কাগজগুলো সংগ্রহরের জন্য।
১০. গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের একজনের পরামর্শে আপারেশনটি পঙ্গু হাসপাতালে করার জন্য। বরিবার পঙ্গু হাসপাতালের সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ করা হবে।
সর্বশেষ একটা খারাপ সংবাদ। আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওর ডান হাতটি ক্রমেই খুব ধীরে চিকন হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ফোন দিয়ে পরামর্শ জানাচ্ছেন। জানা, মঞ্জু ভাই, হাসান, মুয়েদ, জহির, তারেক, জাহিদ, নাম প্রকাশের অনিচছুকসহ সকল ব্লগারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপডেট ২৮.০৮.০৯
টাকা প্রাপ্তি বিষয়ক আপডেট
Sharif Nazmul গুলশান থেকে ১০০০০/=
জনাব কবির প্রাইম ব্যাংক শাখা বগুড়া থেকে ২০০০/=
মোট ১২০০০/=
[email protected]. - $50.00
কাজী রহমান $২৫.০০
আবু হাছনাত রোকন $২০.০০
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯