স্পষ্টতই
অন্তরালের ঘুমন্ত গল্পের সংলাপেরা দখল নিলো নীলের !
দৃশ্যত
বিবর্জিত , আবর্জনাসম হয়ে উঠে বিচ্ছিন্ন শব্দ সব।
ঘুমিয়ে থাকা মেঘদল
সাদা এবং নোংরা
ক্লান্ত এবং উচ্ছ্বসিত
তপ্ত হয়ে উঠে হঠাৎ
হঠাৎ বৃষ্টি হতে ,
বিশ্বাস করো আদমেরা মেঘেদের ক্লান্তিতে অবসাদ নেই , ওরা ক্লান্ত হয় উচ্ছ্বসিত বৃষ্টি হতে !
রিমঝিম ঝুপঝাপ ঝমঝম !
বৃত্তবন্দী সংলাপে ডুবে থাকা নীল দিগন্তের পুষ্প-দগ্ধ ছাই, হয়ে উঠে ঝর্ণাধারা !
শীতল হয়ে উঠা মস্তিস্কে কার্যত কোন ভাবনা নেই
সদ্য ফোটা লাল গোলাপের খুনি , দন্ডপ্রাপ্ত আসামী কিংবা সেই বোকা শব্দবালক
শব্দেরা ছলনা করেছিল বলে যে
খুনি হয়েছিল !
অথচ স্পষ্টতই , দৃশ্যত ছায়াবন্দী সিগ্যালের ঝাঁক কিংবা বর্ষার প্রথম বৃষ্টি কণা আর আপ্লুত করেনা ! আর ইচ্ছে হয়না সমুদ্রগামী পাখিদের ডানায় স্বপ্ন মেখে দিতে, ইচ্ছে হয়না বজ্রপাতের স্থিরচিত্র ধরে রাখতে !
মনে পড়ে করুণ ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠা গল্পের কথা
যা কিনা ছুটতে থাকা হরিণের সাথে পাল্লা দিয়ে
হেরে গেল , তারপর প্রিয় অসুখ নিদ্রাচ্ছন্নতায় অসহায় সমর্পণ !
হুম সেই গল্প , যে গল্পের প্রথম লাইনেই লিখা ছিল
“ব্যাক্তিগত আর্তনাদে জাগতিক বিষাদ পূর্ণ করে বস্তুত দুর্বলেরাই কেবল।“
গল্পের সদ্য ফোঁটা গোলাপের রঙ ক্রমশ আবর্জনা হয়ে উঠেছিল
বিবর্ণ আর পরাজিত শব্দবালক তাই আজন্ম তৃষ্ণা মেটায় লালে
অথচ
এখন কেবলই অন্ধকার , গলতে থাকে স্মৃতিকাতর শূন্য হৃদয়।
দৃষ্টিসীমায় গল্প অস্পষ্ট , আড়ষ্ট !
শব্দবালকের অসহায় আত্নসমর্পন
আরেকবার , সাদা এবং নোংরা মেঘদলের পতনে!